রাজত্বে ফিরলেন জোকোভিচ

প্রকাশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ইউএস ওপেনের ট্রফি হাতে নোভাক জোকোভিচ। রোববার ফাইনালে আজেির্ন্টনার হুয়ান মাটির্ন দেল পোত্রোকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের ১৪তম গ্র্যান্ড ¯øাম শিরোপা জেতেন এই সাবির্য়ান তারকা Ñওয়েবসাইট
অসাধারণ এক সাফল্য-যাত্রা, দুদার্ন্ত এক প্রত্যাবতর্ন। নোভাক জোকোভিচের মতো গ্রেটের পক্ষেই এমনটা সম্ভব। চোটাঘাত আর ফমর্হীনতায় হতোদ্যম হয়ে পড়া সাবির্য়ান টেনিস তারকা নিজেকে ফিরে পেলেন নতুন করে। উইম্বলডনের পর জিতলেন ইউএস ওপেনের শিরোপা। রোববার রাতে আথার্র অ্যাশ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ৩ ঘণ্টা ১৬ মিনিটের লড়াইয়ে আজেির্ন্টনার হুয়ান মাটির্ন দেল পোত্রোকে ৬-৩, ৭-৬ (৭/৪), ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন তিনি। এর আগে দুবার ইউএস ওপেন জিতেছিলেন। তৃতীয়বার জিতে ফিরেছেন রাজত্বে। বছর শেষে র‌্যাংকিংয়ের শীষর্ স্থানটাও ফিরে পাওয়ার হাতছানি ৩১ বছর বয়সী তারকার সামনে। গুরুতর চোটে ভুগছিলেন। সেই চোট কাটিয়ে বছরের শুরুতে যখন ফিরলেন, খেলেন আরও বড় ধাক্কা। ফ্রেঞ্চ ওপেনের কোয়াটার্র ফাইনাল থেকেই বিদায়। ক্যারিয়ারটাকেই হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিলেন জোকোভিচ। র‌্যাকেট তুলে রেখে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন পাহাড় পবের্ত। ফ্রান্সের মাউন্ট সেন্ট-ভিক্টোরিতে আরোহণ করতে গিয়েই এই সাবির্য়ান তারকার উপলব্ধিÑ সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি, তার পক্ষে টেনিসেও আবার শৃঙ্গে আরোহণ করা সম্ভব। ওই উপলব্ধিই বদলে দিয়েছে জোকোভিচকে। নিজেই বললেন, টেনিসে নবজন্ম হয়েছে তার, ‘আবেগ দূরে সরিয়ে রেখে আমি টেনিস নিয়ে ভাবলাম; খেলাটাই আমাকে তৈরি করেছে।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘এর সবকিছুই ইতিবাচক ছিল। আমার মনে হলো, এই খেলাটায় নতুন করে জন্ম নিলাম আমি।’ সেই নবজন্মের দুমাস পর জোকোভিচের উইম্বলডন জয়। এবার জিতলেন ইউএস ওপেন। সাবির্য়ান গ্রেটের ক্যারিয়ারে এটি ১৪তম গ্র্যান্ড ¯øাম। কিংবদন্তি পিট সাম্প্রাসের পাশে এখন তিনি। তার থেকে এগিয়ে কেবল দুজনÑ টেনিসের দুই মহারথী রজার ফেদেরার (২০টি) আর রাফায়েল নাদাল (১৭টি)। ছেলেদের টেনিসে বছরের শুরুটা ছিল ফেদেরার আর নাদালের। শেষটা একান্তই নিজের করে নিলেন জোকোভিচ। ফেদেরার-নাদাল যুগেও তিনি ১৪টি গ্র্যান্ড ¯øামের মালিক। কে জানে, কোথায় গিয়ে থামবেন এই সাবির্য়ান। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘১০ বছর আগে হলে হয়তো বলতামÑ নাদাল এবং ফেদেরারের এই যুগের অংশ হয়ে আমি খুব একটা খুশি নই। সত্যি বলতে আজ আমি তাদের মতোই অনুভব করি। তাদের সঙ্গে দ্বৈরথ, ফেদেরার আর নাদালের বিপক্ষে ম্যাচ আজ আমাকে এমন খেলোয়াড় বানিয়েছে।’ এভাবে ফিরে আসতে পারায় জোকোভিচ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার কোচিং স্টাফদের। গুণগান গেয়েছেন সমথর্কদের। সমবেদনা প্রকাশ করেছেন প্রতিপক্ষ দেল পোত্রোর জন্য, ‘আবারও আমার প্রিয়তমার সাপোটর্ পেয়েছি, আমার ছোট্ট দলটার মানুষগুলোরও। যারা কঠিন সময়ে আমার পাশে ছিল। বছরের শুরুতে যখন আমি অস্ত্রোপচার করিয়েছিলাম, আমি বুঝতে পেরেছি হুয়ান মাটির্ন কেমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে। তবে তোমাকে এটা থেকেই শিখতে হবে। আমি চেষ্টা করেছি নিজের সেরা বের করে আনতে। আমার মনে হচ্ছিল, আজেির্ন্টনা আর সাবির্য়ার ফুটবল ম্যাচ হচ্ছে এখানে। তবে সমথর্করা কখনোই সীমা অতিক্রম করেনি।’ হেরেও দেল পোত্রো গাইলেন জোকোভিচের জয়গান, ‘এখন কথা বলাটা সহজ নয়। এমন একজন আইডলের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে পেরে আমি খুব খুশি। হেরে আমি হতাশ। তবে নোভাকের জন্য খুশি এবং জয়টা তার প্রাপ্যই ছিল।’