আরেক সেমিফাইনালে লড়বে নেপাল-মালদ্বীপ

ভারত-পাকিস্তান মহারণ আজ

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
অনুশীলনে ভারতীয় দলের খেলোয়াড়রা। সাফ সুজুকি কাপের সেমিফাইনালে আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে তারা Ñওয়েবসাইট
অনেক স্বপ্ন থাকলেও সাফ সুজুকি কাপের গ্রæপ পবর্ থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে তাই স্বাগতিকরা থাকছে দশর্ক হয়ে। গ্রæপ পবের্ নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের কাছে না হারলে কাটতে পারতো অন্তত ৯ বছরের হতাশা। সেই নেপালকেই নাকি মাঠে এসে সমথর্ন দেবে বাংলাদেশি দশর্করা! দলটির কোচ বাল গোপাল মহাজর্ন এমনটাই আশা করছেন। আজ সাফের সেমিফাইনালে বিকাল ৪টায় মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে নেপাল। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সব থেকে আকষর্ণীয় ম্যাচ, ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। মূলত ওই ম্যাচটিকে ঘিরেই দশর্কদের আকষর্ণ থাকবে। র‌্যাংকিংয়ে পাকিস্তানের (২০১) থেকে যোজন যোজন এগিয়ে ভারত (৯৬)। পরিসংখ্যানে এগিয়ে তারা। চিরপ্রতিদ্ব›দ্বীদের সঙ্গে ২৩ বারের লড়াইয়ে ১৪ বার জিতেছে ভারত। পাকিস্তানের জয় মাত্র তিনটি। বাকি ৬ ম্যাচ ড্র। আজও তাই স্পষ্টতই ফেভারিট হয়ে মাঠে নামবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তবে মহারণে স্নায়ুচাপ যে থাকবে, সেটাও স্বীকার করে নিয়েছেন ভারতের সহকারী কোচ ভেঙ্কটেস সঙ্গাম, ‘ভারত পাকিস্তান ম্যাচে ¯œায়ু চাপ থাকবেই। সেটা যেখানেই হোক। একে তো সেমিফাইনাল, অন্যদিকে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। তাই একটা বাড়তি চাপ থাকবেই। একটা চ্যালেঞ্জও থাকছে।’ পাকিস্তানের কোচ জশ নগোওরিয়া বলেছেন, ‘আশা করছি ভারতের বিপক্ষে খুব সুন্দর একটা ম্যাচ হবে। সেমিফাইনালে তাদের হারিয়ে ফাইনালে খেলতে চাই।’ দলীয় অধিনায়ক সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ‘সেমিফাইনাল ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূণর্। আমরা সাসপেনশন থেকে ফিরেছি। কঠোর পরিশ্রম করেছি। সেমিফাইনালে ভারতকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছি। তবে অন্য কোনো দল আসলেও সমস্যা ছিল না। আমরা জয়ের ব্যপারে আত্মবিশ্বাসী।’ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে আরেক সেমিফাইনালে মাঠে নামবে নেপাল আর মালদ্বীপও। র‌্যাংকিংয়ে নেপালের (১৬১) থেকে এগিয়ে মালদ্বীপ (১৫০)। দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ১৫ বার। এর মধ্যে নেপাল জিতেছে ৪টি, হেরেছে ৭টি এবং ৪ টিতে ড্র। অথার্ৎ পরিসংখ্যানে এগিয়ে মালদ্বীপই। তবে নেপালের কোচ বাল গোপাল মহাজর্ন আশা করছেন, জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করবে তার দল, ‘আমরা এখন নকআউট স্টেজে। আত্মবিশ্বাস ছিল বলেই সেমিতে এসেছি। মালদ্বীপ আমাদের পরিচিত প্রতিপক্ষ। আমরা আগেও বিভিন্ন টুনাের্মন্টে তাদের বিপক্ষে খেলেছি। অতীত ইতিহাস যাই থাকুক. আমরা জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে চাই।’ দলীয় অধিনায়ক ভিরাট মহাজর্ন জানালেন, সেমিফাইনাল জিততে তার দল আত্মবিশ্বাসী, ‘মালদ্বীপকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে আমরা খুশি। আগামীকাল (আজ) সেমিফাইনালে জয়ের ব্যাপারে দল আত্মবিশ্বাসী। তবে আমরা অধিক আত্মবিশ্বাসী নই। দেশের জন্য আমরা নিজেদের সেরাটা খেলব।’ নেপালি কোচ মনে করছেন, ঢাকা তাদের জন্য লাকি ভেন্যু। কারণ এর আগে বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শিরোপা জিতে নিয়ে গেছে তারা। বাংলাদেশের জনগণ তাদের সেমিফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করতে মাঠে আসবে এবং নেপালকে উৎসাহ দেবে বলে আশা করছেন তিনি, ‘বাংলাদেশ টুনাের্মন্টে নেই। আমাদের কাছে তারা হেরেছে। সেটি ম্যাচ ডে’র কথা। সেটা এখন অতীত। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের একটা বন্ধুত্বপূণর্ সম্পকর্ আছে। আর সে কারণেই বাঙালি দশর্করা কাল (আজ) মাঠে এসে আমাদের সমথর্ন জানাবে বলে আমরা আশা করছি।’ মালদ্বীপের কোচ পিটার সেগ্রেটও অতীতের পরিসংখ্যানে নজর না দিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে বলছেন। তিনি বলেন, ‘নেপাল খুবই কঠিন দল। তাদের সম্মান দেখাচ্ছি। অতীতে কি হয়েছে আমরা সেটি মাথায় রাখছি না। ম্যাচ ৯০ মিনিট বা ১২০ মিনিট হোক কিংবা পেনাল্টি শ্যুটআউটে গেলেও আমার দল জয়ের জন্য প্রস্তুত আছে। আমাদের কাছে ভবিষ্যৎটা গুরুত্বপূণর্। ফাইনালে পেঁৗছার জন্য ১-০ গোলের জয়ই যথেষ্ট। তবে আমরা আশা করছি, ম্যাচে চার থেকে পঁাচটা গোল হবে।’