ইংল্যান্ড-দ. আফ্রিকা টি২০ সিরিজ

ইংল্যান্ডের রেকর্ড গড়া জয়ে হোয়াইটওয়াশ দ. আফ্রিকা

প্রকাশ | ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
বিশ্বরেকর্ড জুটি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে সফরকারী ইংল্যান্ড। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ইংলিশরা জিতেছে ৯ উইকেটে! মঙ্গলবার রাতে কেপ টাউনের নিউল্যান্ডসে প্রোটিয়ারা ১৯২ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েও ইংলিশদের আটকাতে পারেনি। অথচ এতদিন কেপটাউনের এই ভেবু্যতে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯০ রান করতে পারেনি কোনো দল। তৃতীয় ও শেষ টি২০তে মঙ্গলবার ৯ উইকেটে জিতেছে ইংল্যান্ড। ফন ডার ডাসেন ও ফাফ ডু পেস্নসিসের অপরাজিত ফিফটিতে ৩ উইকেটে ১৯১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেভিড মালান ও জস বাটলারের ফিফটিতে হেসেখেলে ১৪ বল বাকি থাকতে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ইয়ন মরগারে দল। প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশের ফলে অস্ট্রেলিয়াকে হটিয়ে টি২০'রর্ যাংকিংয়ের শীর্ষে বসেছে ইংল্যান্ড। অজিদের সুযোগ থাকছে শীর্ষস্থান দখল করার। ভারতের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ জিতলেই তারা পুনরুদ্ধার করবে সিংহাসন। রাসি ফন ডার ডাসেন ও ফাফ ডু পেস্নসিসের শতরানের জুটিতে আশা জাগিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডকে দিয়েছিল রেকর্ড রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ। ডেভিড মালান ও জস বাটলারের ব্যাটে সফরকারীরা অনায়াসে সেই চ্যালেঞ্জ জিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে কুইন্টন ডি ককের দলকে। যদিও এদিন কেপ টাউনের নিউল্যান্ডসে এটাই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। আগের রেকর্ড ইংল্যান্ডেরই ছিল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে গত ২৭ নভেম্বর জিতেছিল ১৭৯ রান তাড়া করে। দ্বিতীয় ইনিংসে এই মাঠে আগের সর্বোচ্চ ছিল পাকিস্তানের ১৮৬, সেবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই রান করেও হেরেছিল তারা। জয়-পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর দেখার ছিল মালান সেঞ্চুরি পান কি-না। এক সময় ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১ রান, সেঞ্চুরির জন্য মালানের প্রয়োজন ২। দলকে জেতালেও তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি আইসিসি টি২০র্ যাংকিংয়ের শীর্ষ ব্যাটসম্যান। ৪৭ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। জেসন রয়ের আরেকটি ব্যর্থতার পর চতুর্থ ওভারে ক্রিজে আসেন মালান। শুরু থেকেই বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ছিলেন আক্রমণাত্মক। শুরুতে শট খেলে তিনিই বাড়ান রানের গতি। পরে শট খেলতে শুরু করেন বাটলারও। তাদের জুটি জমে যাওয়ার পর রান এসেছে দ্রম্নত। তাতে বাধা দিতে পারেননি স্বাগতিকদের কেউ। কাগিসো রাবাদাকে হারিয়ে আরও শক্তি হারানো দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা সেভাবে ভাবতে পারেনি দুই ব্যাটসম্যানকে। অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেটে ১৬৭ রানের জুটিতেই হয়ে যায় কাজ। দ্বিতীয় উইকেটে এটি বিশ্বরেকর্ড। আগের রেকর্ড ছিল শ্রীলংকার মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারার ১৬৬, ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। মালানকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া বাটলার অপরাজিত থাকেন ৬৭ রানে। এই কিপার-ব্যাটসম্যানের ৪৬ বলের ইনিংসে ৫টি ছক্কার পাশে চার তিনটি। চমৎকার ইনিংসের জন্য ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হন মালান। আগের ম্যাচেও ফিফটিতে ব্যবধান গড়ে দিয়ে জিতেছিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।