বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ফুটবল বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব

কাতারের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল আজ মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন দল ও বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার ফুটবল দলের। দোহার দুহাইল আবদুলস্নাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের এই ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হবে। প্রতিপক্ষ শক্তিধর হলেও তাদের বিপক্ষে পয়েন্ট অর্জনের প্রত্যাশা বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার। অন্যদিকে কোচ জেমি ডেও মনে করছেন কাতার এগিয়ে থাকলেও তাদের বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ দল।

র্

যাংকিং হোক আর পরিস্যংখান কিংবা গ্রম্নপে অবস্থান সবদিক থেকেই বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে স্বাগতিকরা। ফিফার্ যাংকিংয়ে কাতার আছে ৫৯তম অবস্থানে। যেখানে বাংলাদেশ আছে ১৮৪তম স্থানে।র্ যাংকিংয়ের আকাশ-পাতাল পার্থক্যই বুঝিয়ে দিচ্ছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে তুলনা চলে না লাল-সবুজদের। তারপরও ঘরের মাঠে এই কাতারের সঙ্গেই যখন দুর্দান্ত লড়াই করেছিলেন জামাল-জীবনরা, তাই ভালো খেলার প্রত্যাশা করাই যেতে পারে। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলও প্রস্তুত হয়ে আছে দুর্দান্ত এক লড়াইয়ের লক্ষ্যে। পরিসংখ্যানও এগিয়ে রাখছে কাতারকেই। দুই দল এ পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে পাঁচবার। ২০০৬ সালে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের সেই ১-১ ড্র বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি। পরের চার ম্যাচে যথাক্রমে ৪-০, ৪-১, ৩-০ ও ২-০ গোলে হার। সব মিলিয়ে দুই গোল দিয়ে বাংলাদেশ দল হজম করেছে ১৪টি। এবার গ্রম্নপ 'ই'তে বাংলাদেশ খেলেছে ৪টি ম্যাচ। বাকি সব দলই ৫টি করে ম্যাচ খেলেছে। প্রতিপক্ষ কাতার ৪ জয় এবং এক ড্র'তে সর্বোচ্চ ১৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। যেখানে বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি বলতে ভারতের বিপক্ষে একটি ড্র। আর সেই ম্যাচের ১টি পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছে বাংলাদেশ দল।

তারপরও দলের হেড কোচ জেমি'ডের বিশ্বাস নিজেদের সেরাটা দেবে তার শিষ্যরা, 'গত ৫ সপ্তাহ ধরে ছেলেরা অনুশীলন করেছে। প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে। এখন আমরা শুক্রবারের (আজ) ম্যাচেই চোখ রাখছি। ম্যাচটা মোটেই সহজ হবে না। ছেলেদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা হবে। আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স করতে চেষ্টা করব।'

'আমরা জানি কাতার এশিয়ার সেরা দল। হয়তো তারা ম্যাচটা জিতেও যাবে। তবে আমরা এতটুকু ছাড় দেব না। চেষ্টা করে যাব অন্তত এক পয়েন্ট অর্জনের। ঘরের মাঠে আমরা কাতারের সঙ্গে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটি হেরে যাই। এখানের মাঠ ভিন্ন। খুবই সুন্দর মাঠ। স্বাভাবিকভাবেই কাতার হোম গ্রাউন্ডের সুবিধা পাবে। তবে আমরাও গত ৫ সপ্তাহ ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছি। তাদের বিপক্ষে খেলতে আমরা প্রস্তুত আছি।' যোগ করেন জেমি।

পাঁচ সপ্তাহের ট্রেনিংয়ের পর দলের অবস্থা এখন কেমন? কাতারের বিপক্ষের ম্যাচ নিয়ে আপনারা কী ভাবছেন? উত্তরে দলীয় অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেছেন, 'দলের অবস্থা এখন অনেক ভালো। গত পাঁচটি সপ্তাহ আমরা কঠোর ট্রেনিং করেছি। ৪টি ম্যাচ খেলেছি। তাই ফিটনেসের অবস্থা খুবই ভালো। দলের সবাই মোটামুটি শতভাগ ফিট আছে।'

কাতারে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন। ডিফেন্ডারদের ভুলেই বাংলাদেশ ম্যাচগুলো হেরেছে। এটা শোধরানোর জন্য আপনারা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? জামাল বলেন, 'অবশ্যই দলের যে কেউই ভুল করতে পারে। ডিফেন্ডাররাও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু আমাদেরকে আমাদের ভুলগুলো শুধরে নিতে হবে। সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। অনুশীলনে আমরা এই ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। সেগুলো নিয়ে কাজ করেছি। যাতে মূল ম্যাচে আর একই ভুল না হয়।'

কাতার খুবই কঠিন দল। তারা এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন। এমন দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলাটাই স্বাভাবিক। দলের রক্ষণ সামলাতে অন্যরাও কী ভূমিকা রাখবেন? জামাল বলেন, 'সবাই একসঙ্গে কাজ করব। সবাই একসঙ্গে ডিফেন্স করবে। সবাই একসঙ্গে আক্রমণেও যাবে। আমি মনে করি আমরা একটা দল। শুধু একজন ডিফেন্ডার, স্ট্রাইকার বা মিডফিল্ডার না, সবাই একটা দল হয়ে কাজ করব এবং দেশের জন্য একটা ভালো ফল নিয়ে আসতে চেষ্টা করব।

কাতারের মতো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য কী? উত্তরে জামাল বলেন, 'লক্ষ্য হচ্ছে অন্তত এক পয়েন্ট নেওয়া। তারা অনেক কঠিন দল। তাদের বিপক্ষে এক পয়েন্ট পাওয়া আমাদের জন্য খুবই ভালো ফল হবে। তবে অবশ্যই মানুষ চায় যতটা সম্ভব ভালো করতে। আমরা যদি খুব ভালো খেলতে পারি তিন পয়েন্টও প্রত্যাশা করতে পারি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে