চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
এএফসি অনূধ্বর্-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপবের্র ‘এফ’ গ্রæপের খেলা (২০১৯) শুরু হচ্ছে আজ। স্বাগতিক বাংলাদেশের মিশন শুরু দুদিন পর। আসরে গোলাম রব্বানী ছোটনের দলের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। একই আশা নিয়ে এসেছে অন্যদলগুলোও। লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে যেতে আজ ঢাকার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে ১১টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হবে ভিয়েতনাম। একই ভেন্যুতে দুপুর সাড়ে ৩টায় লেবাননের প্রতিপক্ষ বাহরাইন। প্রতিপক্ষরা সবাই শক্তিধর। এরপরও ভালো কিছু করে দেখাতে চায় বাংলাদেশ। কোচ ছোটন জানালেন, ‘ডিসেম্বর থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মধ্যে আমরা তিনটি টুনাের্মন্টে অংশ নিয়েছি। যার দুইটার চ্যাম্পিয়ন একটিতে রানাসর্ আপ হয়েছি। সাফ টুনাের্মন্টে আমাদের যে ভুল ত্রæটিগুলো ছিল সেগুলো শুধরাতে চেষ্টা করছি। গতকাল শেষ সেশন করেছি। সুখের বিষয় হলো মেয়েরা খুব ভালোভাবে সেশনটা শেষ করেছে। ৪টি দলই র‌্যাংকিংয়ে আমাদের থেকে এগিয়ে। তবে মাঠের খেলাতে আমরা নিজেদের এগিয়ে রাখব।’ ফিফা র‌্যাংকিংয়ে অন্যান্য দলগুলো এগিয়ে থাকলেও এএফসির র‌্যাংকিংয়ে সপ্তম অবস্থানে বাংলাদেশের মেয়েরা। টুনাের্মন্টে খেলতে আসা বাকি দলগুলোও সমীহ করছে বাংলাদেশকে। তাদের মতে বাংলাদেশ শক্তিধর দল এবারের বাছাইপবের্। তবে কোচ ছোটন মনে করছেন কোনো দলই বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে নেই। সবারই সম্ভাবনা আছে, ‘অন্যান্য দলগুলো আমাদের সম্মান জানিয়েছে তাই তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। তবে এখানে কোনো দলই কিন্তু পিছিয়ে নেই। আমরা নিজেদের সেরা খেলাটা খেলব। গতবার কোয়ালিফাই করেছিলাম। এবারো করব ইনশাল্লাহ।’ টুনাের্মন্টের অন্যান্য প্রতিপক্ষ সম্পকের্ও ধারণা আছে ছোটনের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এর আগে আমরা ২০১৪ সালে আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলেছি। সেখানে তাদের ৬-০ গোলে হারাই। ভিয়েতনামের ম্যাচ ভিডিও দেখেছি। লেবানন, বাহরাইন সব কিছুতেই এগিয়ে। তবে আমাদের মেয়েরা কঠোর অনুশীলন করেছে। আর সে কারণেই তারা আত্মবিশ^াসী।’ দলীয় অধিনায়ক মারিয়া মান্দা বলেছেন, ‘আমাদের ঘরের মাঠে খেলা। দশর্করা আমাদের মাঠে এসে উৎসাহ দেবেন এটুকুই চাওয়া। আমরা আমাদের সেরা খেলাটাই উপহার দিব।’ সবের্শষ ২০১৩ সালে এএফসি অনূধ্বর্-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপবের্ খেলেছিল বাহরাইন। তবে এবারের টুনাের্মন্টে সব দলেরই সমান সম্ভাবনা দেখছেন বাহরাইন কোচ খালেদ হাসান, ‘সব দলেরই সম্ভাবনা আছে। যেকোনো দলেরই লক্ষ্য থাকে ফাইনাল রাউন্ডে খেলা। আমরাও এর ব্যতিক্রম নয়।’ লেবাননের কোচ ডেমির জিয়ান বললেন, ‘আমাদের লক্ষ্য মেয়েদের ফুটবলের উন্নতি করা। অভিজ্ঞতা অজের্নর জন্যই এখানে আসা। তবে এখানে ভালো করতে পারলে খুব খুশি হব।’ বাংলাদেশ ছাড়াও টুনাের্মন্টে ভিয়েতনামকে শক্তিধর দল হিসেবে দেখছে বাকি দলগুলো। দুই মাসের প্রস্তুতি নেয়া ছাড়াও কয়েকটা টুনাের্মন্টে খেলেছে তারা। দ্বিতীয় রাউন্ডের লক্ষ্য নিয়েই ঢাকায় এসেছে দলটি। দলটির কোচ এনগুয়েন থি মাই ল্যানও তাই বলছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য মূলপবর্। আপাতত দ্বিতীয় রাউন্ডে চোখ। এখানে খেলতে আসা কয়েক দলের ম্যাচ দেখেছি। স্বাগতিক বাংলাদেশই ফেভারিট। লেবাননও ভালো দল। তবে আমাদেরও সম্ভাবনা আছে।’ আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোচ কাচ হরিয়া আল তাহিরিও বাংলাদেশকে শক্তিধর প্রতিপক্ষ হিসেবেই দেখছেন, ‘আমি মনে করি সব দলই সেরা। সব দলেরই সবল-দুবর্ল দুইটা দিকই থাকে। লেবানন ও বাহরাইনের লেভেলটা ভালো। তবে স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশও শক্ত প্রতিপক্ষ।’