কোহলির জন্যই নেতৃত্ব ছেড়েছেন ধোনি

আমি অধিনায়কত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছি কারণ আমি চেয়েছিলাম নতুন অধিনায়ক যেন ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেয়ার যথেষ্ট সময় পায়। নতুন অধিনায়ককে যথেষ্ট সময় না দিয়ে শক্তিশালী দল বাছাই করা অসম্ভব। আমি বিশ্বাস করি সঠিক সময়ে অধিনায়কত্ব ছেড়েছি

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
কাগজ-কলমে ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক বিরাট কোহলি হলেও মাঠে তার ওপর যথেষ্ট প্রভাব থাকে সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির। কোহলি নিজেও বেশ কয়েকবার বলেছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের সাবেক অধিনায়কের সিদ্ধান্তই তার সিদ্ধান্ত। সেজন্য প্রশ্নও উঠেছে, কেন অধিনায়কত্ব ছাড়লেন ধোনি? ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়ক নিজেই জানিয়েছেন উত্তরটা। কোহলিকে পযার্প্ত সময় দিতেই নেতৃত ছেড়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে সিরিজ শেষ না হতেই সবাইকে হতবাক করে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়েন ধোনি। শুধু তাই নয়, পঁাচ দিনের ক্রিকেটকেও জানালেন বিদায়। দুই বছর পর ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবেও ইস্তফা দেন ভারতের এই বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। ২০১৯ বিশ্বকাপ সামনে রেখে তার উত্তরসূরিকে দল তৈরি করার সময় দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। এশিয়া কাপ খেলতে দুবাইয়ের বিমানে ওঠার আগে ধোনি বলেছেন, ‘আমি অধিনায়কত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছি কারণ আমি চেয়েছিলাম নতুন অধিনায়ক যেন ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেয়ার যথেষ্ট সময় পায়। নতুন অধিনায়ককে যথেষ্ট সময় না দিয়ে শক্তিশালী দল বাছাই করা অসম্ভব। আমি বিশ্বাস করি সঠিক সময়ে অধিনায়কত্ব ছেড়েছি।’ সাম্প্রতিক কালে ভারত আইসিসির সব বৈশ্বিক শিরোপা জিতেছে ধোনির নেতৃত্বে। ২০০৭ সালে টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরে তার নেতৃত্বই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। এরপর ভারত ধোনির নেতৃত্ব জিতেছে ২০১১ বিশ্বকাপ ও ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে কোহলির হাতেই নেতৃত্বেরভার হস্তান্তর করেন ধোনি। ২০১১ সালে ভারতকে দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ানডে বিশ্বসেরা করা ৩৭ বছর বয়সী সাবেক অধিনায়কের বিশ্বাস তার সিদ্ধান্ত ফল দিতে বাধ্য। এশিয়া কাপে শিরোপা ধরে রাখার মিশনের আগে টেস্ট খেলেছে ভারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৪-১ এ হারের তেতো স্বাদ পেতে হয়েছে তাদের। প্রস্তুতি হিসেবে মাত্র একটি তিন দিনের ম্যাচ খেলেছে তারা। যথেষ্ট প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলায় দলকে ভুগতে হয়েছে মনে করেন ধোনি,‘ সরিজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ যথেষ্ট খেলতে পারেনি ভারত। এজন্য ব্যাটসম্যানদের মানিয়ে নিতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কিন্তু এটা (হার) খেলার অংশ। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় ভারত টেস্ট র‌্যাংকিংয়ের এক নম্বরে।’