ভারতের অষ্টম নাকি মালদ্বীপের দ্বিতীয়?

সাফ সুজুকি কাপের ফাইনাল আজ

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আজ সন্ধ্যায় মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে বতর্মান চ্যাম্পিয়ন ভারত। শুক্রবার সংবাদ-সম্মেলনে আসা দুই দলের অধিনায়ক Ñবাফুফে
সাফ সুজুকি কাপের ফাইনালে আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় মুখোমুখি দুই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত আর সাবেক চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ। আসরে রেকডর্ সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত, এবার অষ্টম শিরোপার হাতছানি তাদের সামনে। অন্যদিকে প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ মালদ্বীপের সামনে। ৯ বছর আগে এই ভারতের কাছেই শিরোপা খোয়াতে হয়েছিল তাদের। আজকের ফাইনালে বিজয়কেতন ওড়াতে পারলে সেই হতাশা তো ভুলবেই মালদ্বীপ, এই আসরের গ্রæপ পবের্ হারের প্রতিশোধটাও নেয়া হবে দলটির। মঞ্চটা একই। ২০০৯ সালে এই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই সাফের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-মালদ্বীপ। মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেবার শিরোপা জিতেছিল ভারত। ৯ বছর পর আবার ফাইনালে মুখোমুখি দুই দল। মালদ্বীপের কোচ অবশ্য এটাকে প্রতিশোধের ম্যাচ হিসেবে দেখছেন না। তবে ভারতকে হারিয়ে দিতে আত্মবিশ^াসী তার দল। অন্যদিকে টুনাের্মন্টের বতর্মান চ্যাম্পিয়ন ভারতও চায় মালদ্বীপকে হারিয়ে দিয়ে শিরোপা ধরে রাখাতে। এ পযর্ন্ত একবারই সাফে শিরোপা জেতা হয়েছে মালদ্বীপের। সেটিও এই ভারতকে হারিয়েই। ২০০৮ সালে তারা ভারতকে হারায় সাফের ফাইনালে। কিন্তু পরের বছর এই ভারতই শিরোপা ছিনিয়ে নেয় মালদ্বীপের কাছ থেকে। এবার আবারও সুযোগ মালদ্বীপের সামনে শিরোপা ছিনিয়ে নেয়ার। ভারতের কোচ স্টিফেন ফিলিপ কন্সটেন্টাইন অবশ্য সুযোগটা দিতে চান না, ‘ফাইনালের জন্য দল প্রস্তুত আছে। দলের প্রস্তুতি ভালো। আমি আশা করব আগামীকাল আমরা ম্যাচটা জিতব।’ অনূধ্বর্-২৩ দল নিয়ে সাফে অংশগ্রহণের কারণটা কি অন্য দলগুলোকে দুবর্ল মনে করা? ভারতের কোচের উত্তর, ‘২৩ দল নিয়ে আসার কারণ অন্যদের দুবর্ল মনে করা না। মূলত এ ধরনের বড় টুনাের্মন্টে খেলার সুযোগ পায় না বতর্মান দলটি। ফাইনালে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ এই সাফের মঞ্চ। যদি এখানে সিনিয়র দল নিয়ে আসতাম তাহলে জুনিয়ররা এই সুযোগটা পেত না।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘মালদ্বীপকে আমরা খাটো করে দেখছি না। তারা নেপালের বিপক্ষে অসাধারণ খেলেছে। নেপাল অনেক ভালো টিম তাদের হারিয়ে তারা ফাইনালে। ফাইনালে ওঠা আমাদেরও প্রাপ্য ছিল।’ ভারতের অধিনায়ক সুভাশিষ বোস বলেছেন, ‘কোচকে ধন্যবাদ আমাকে পুরো দলের দায়িত্ব দেয়ায়। ফাইনালে খেলতে পারব সেটা জানতাম না। দু’বছর আগে ট্রফি জিতেছিলাম। সেটা ধরে রাখতে চাই। বাইরের দেশে এসেও গ্যালারিতে আমাদের এত দশর্ক দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আশা করি ফাইনালে আরও বেশি দশর্ক আমাদের সমথর্ন জানাতে আসবেন।’ মালদ্বীপের কোচ পিটার সেগ্রেট বলেছেন, ‘২০০৯ সালে আমি ছিলাম না। অতীতে কি হয়েছে সেটি নিয়ে ভাবছি না। আমি ভবিষ্যতের দিকেই তাকাচ্ছি। ৯ বছর পর আমরা আবার এখানে (ফাইনালে)Ñ সেজন্য দল নিয়ে আমি গবির্ত। ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে নেবÑ এটাই আমার প্রত্যাশা।’