লেবাননের জালে মারিয়াদের ৮ গোল

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
গোলের পর বাংলাদেশ অনূধ্বর্-১৬ দলের মেয়েদের উদযাপন। বুধবার এএফসি কাপের বাছাই পবের্ লেবাননকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা Ñবাফুফে
আগের দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের শক্তিধররূপে মেলে ধরেছিল লেবানন, সেই দলটিই বাংলাদেশের গোল উৎসবে ভেসে গেল খড়কুটোর মতো। বাহরাইনকে ১০-০ গোলে হারিয়ে এএফসি অনূধ্বর্-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পবর্ (গ্রæপ এফ) শুরু করা মারিয়া মান্দার দল বুধবার লেবাননকে হারিয়েছে ৮-০ গোলের বড় ব্যবধানে। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-লেবানন ম্যাচটি শুরু হয় সকাল সাড়ে ১১টায়। কাঠফাটা রোদ আর তীব্র গরমও দমিয়ে রাখতে পারেনি স্বাগতিক মেয়েদের। যে লেবানন আগের দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ১৪ গোল দিয়েছে, এদিন তাদের জালেই গুনেগুনে আটবার বল পাঠিয়েছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। বাহরাইন ম্যাচের ভুলগুলো এই ম্যাচে না করার অঙ্গীকার ছিল কোচের। সেই অঙ্গীকার অনেকটাই রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন মারিয়া-শামসুন্নাহাররা। এদিন বাংলাদেশের গোল উৎসবের সূচনা হয় ১৪ মিনিটে। লেবাননের দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের প্লেসিংয়ে প্রথম গোলটি করেন সাজেদা খাতুন (১-০)। এরপর ২০ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তহুরা খাতুন। অধিনায়ক মারিয়ার পাসে বল পেয়ে শট নেন এই ফরোয়াডর্, লেবাননের রক্ষণকে ফঁাকি দিয়ে বল আশ্রয় নেয় জালে। তিন মিনিট পর স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন এই তহুরাই। এরপর গোল হতে থাকে একের পর এক। ২৭ মিনিটে আনাই মোগীনি ডান প্রান্ত থেকে বল জড়ান জালে, ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর লেবাননের চার ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে ৩৯ মিনিটে বক্সে ঢুকে যে গোলটি করলেন সাজেদা, সেটা ছিল দারুণ। ম্যাচে এটি ছিল তার দ্বিতীয় গোল, তাতে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়াধের্ও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে ছোটনের শিষ্যরা। দলের ষষ্ঠ গোলটি আসে এই অধের্র তৃতীয় মিনিটেই। সাজেদার বাড়িয়ে দেয়া বল বঁা পায়ের গড়ানো প্লেসিং শটে লেবাননের জাল কঁাপান শামসুন্নাহার জুনিয়র। শামসুন্নাহার জুনিয়রের বাড়িয়ে দেয়া বলে যে শটটা নিয়েছিলেন বদলি মিডফিল্ডার সুলতানা, লেবাননের গোলরক্ষকের গায়ে লেগে বল ফিরে না এলে ৫৫ মিনিটেই সপ্তম গোলটা পেয়ে যেত বাংলাদেশ। তবে পরবতীর্ গোলের অপেক্ষাটা খুব দীঘর্ হয়নি। ৬৭ মিনিটে সুলতানার পাসে বল পেয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় আর দলের সপ্তম গোলটি করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। এরপর ৭৫ মিনিটে লেবাননের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন রোজিনা আক্তার। ইলামনির ক্রসে বল পেয়ে গোল করেন তিনি। ম্যাচের বাকি সময়ে পাওয়া সুযোগগুলো নষ্ট না হলে জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারত বাংলাদেশের। ৮২ মিনিটে ফাউলের কারণে একটি গোল বাতিল না হলে হ্যাটট্রিকটা হয়ে যেত শামসুন্নাহার জুনিয়রের। স্বাগতিক শিবিরে আক্ষেপ এখন অতটুকুই। তবে তৃপ্তি অনেক। আগের ম্যাচে ১০ গোল করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে আট গোল; ছোটনের শিষ্যরা বুঝিয়ে দিয়েছেÑ এবারও বাছাই পবের্ নিজেদের গ্রæপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে তারা।