বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

ফিট দল গড়ে তোলার লক্ষ্য হারুনের

আবারও আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বাংলাদেশ হকি দল। কোভিড পরিস্থিতিতে একমাত্র খেলোয়াড় দেবাশিষের করোনা আক্রান্ত হওয়া ছাড়া বড় কোনো হোঁচট নেই। তাই আশাবাদী কোচ হারুন।
ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

এমন বিশাল আসরে খেলার অভিজ্ঞতাটা হতে যাচ্ছে এবারই প্রথম। ঘরের নীল টার্ফে লাল-সবুজের জার্সিতে ভারত, পাকিস্তান, জাপান, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বড় দলের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছেন জিমি-মিমোরা। মূলত স্বাগতিক হওয়ার কারণেই এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ হকির মতো এমন বড় আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নেওয়ার সুযোগ এসেছে বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের সামনে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে হকি দলের ক্যাম্প। কয়েকদিনের অনুশীলন শেষে কোচ মাহবুব হারুণ জানালেন তার প্রাথমিক লক্ষ্য টুর্নামেন্টের আগে একটা ফিট দল গড়ে তোলার।

দীর্ঘদিন পর আবারও আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বাংলাদেশ হকি দল। কোভিড পরিস্থিতিতে একমাত্র খেলোয়াড় দেবাশিষের করোনা আক্রান্ত হওয়া ছাড়া বড় কোনো হোঁচট নেই। তাই আশাবাদী কোচ হারুন। ক্রিকেট-ফুটবলে জৈব সুরক্ষা দিতে খেলোয়াড়রা থাকেন হোটেলে। যেখানে হকি ফেডারেশন সম্পূর্ণই ব্যতিক্রম। জিমি-ওয়াসিমরা থাকছেন ফেডারেশন হোস্টেলে। তবে এতে তেমন কোনো সমস্যা দেখছেন না কোচ মাহবুব হারুন, 'আসলে এটা তো আমাদের একটা আলাদা হোস্টেল। ফেডারেশন চেষ্টা করছে তাদের যতটা নিরাপদ রাখা যায়। সেনিটাইজসহ আনুষঙ্গিক যেসব কার্যক্রম প্রয়োজন, সেগুলো করা হচ্ছে। ডাক্তার নিয়মিত থাকবে না। তবে সপ্তাহে একবার করে দেখবেন। কারও কোনো সমস্যা হলে তার জন্য তাৎক্ষণিক ডাক্তারের ব্যবস্থা রয়েছে।'

স্বাগতিক হওয়ায় এবারই প্রথম এত বড় আসরে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। অংশ নিচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, জাপান, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বড় দল। দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক এত বড় আসরে খেলবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তার ওপর কঠিন সব প্রতিপক্ষ। তাই আসর শুরুর আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে বাড়তি সতর্কে কোচ। এ প্রসঙ্গে হারুন বলেন, 'এখানে কিন্তু আমরার্ যাংকিং অনুযায়ী অংশগ্রহণের সুযোগ পাইনি। আয়োজক হিসেবে আমরা খেলতে পারছি। এখানে পাঁচটি দলের সঙ্গে আমাদের খেলার অভিজ্ঞতা আছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমরা দেশে কিংবা দেশের বাইরে গিয়ে চারটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব। ম্যাচগুলো হবে ১৫ ফেব্রম্নয়ারির পর।'

জাতীয় দলের নিয়মিত অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার রাসেল মাহমুদ জিমি মনে করেন টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই কাঙ্ক্ষিত ফিটনেস লেভেলে পৌঁছে যাবে পুরো দল। এ প্রসঙ্গে জিমি বলেন, 'এ মুহূর্তে আমরা ক্যাম্পেই থাকছি। এর আগেও এখানে থেকেছি। আমাদের যথেষ্ট নিরাপদভাবেই এখানে রাখা হচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতির কারণে একটা লম্বা বিরতি পড়েছে। দীর্ঘদিন আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে দূরে ছিলাম। যে কারণে নিজেদের পারফরম্যান্সে সামান্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে ক্যাম্প যেহেতু আবারও শুরু হয়ে গেছে। আমাদের হাতেও বেশ সময় আছে। আশা রাখি এর মধ্যে রিকভার করা সম্ভব হবে।'

তরুণ অভিজ্ঞদের মিশেলেই গড়া হয়েছে এবারের দলটি। যা দলের পারফরম্যান্সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর তাই জাতীয় দলের পাশাপাশি বয়সভিত্তিক দলগুলোর ক্যাম্পও নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন জিমি, 'আমাদের যদি অনূর্ধ্ব১৮ আর অনূর্ধ্ব২১ এর ক্যাম্পটাও নিয়মিত থাকে। তাহলে আমাদের একটা ব্যাকআপ লাইন থাকবে। তাহলে খেলোয়াড়ের সংখ্যাটাও বেড়ে যাবে।'

ডিফেন্ডার আশরাফুল ইসলামও আশাবাদী, 'কোচের পরিকল্পনাটা যদি আমরা সবাই ধরতে পারি। সে অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে পারি। ইনশালস্নাহ আমার মনে হয় যে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।'

আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে শক্তিশালী দলগুলোর ব্যাপারে নিজেদের খেলার কৌশল নিয়েও ভাবছেন তারা। তাদের মতে, পেনাল্টি কর্নারে সব টিম শক্তিশালী। তাই তারা পেনাল্টি কর্নারের ডিফেন্স, বল কনট্রোলিং নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন। এতে তারা ভালো কিছু করবেনও বলেও আশাবাদী। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছর ১১ মার্চ মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে শুরু হবে এশিয়ান হকির সর্বোচ্চ মর্যাদার আসর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে