চাপের মুখে আর্চারির আত্মসমর্পণ

বাফুফের ভেনু্য জটিলতা কাটল

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
অবশেষে কাটল বাফুফের ভেনু্য জটিলতা। আর্চারি ফেডারেশন থেকে টঙ্গীর আহসান উলস্নাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে বিপিএলের ১২টি ম্যাচ খেলার অনুমতি মিলল ফুটবল ফেডারেশনের। দ্রম্নততম সময়ের মধ্যে এখন মাঠটিকে খেলার উপযোগী করে তুলতে কাজ শুরু করবে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ সময় আর্চারদের কোনো সমস্যা হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক। ঢাকার অদূরে একটি খেলার জায়গা পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত বাফুফে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের উত্তর বারিধারা ক্লাবের হোম ভেনু্য করা হতে পারে আহসান উলস্নাহ মাস্টার স্টেডিয়ামকে। গত শুক্রবার টঙ্গী আহসান উলস্নাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে বাফুফে ও আর্চারি ফেডারেশনের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি শনিবার নিশ্চিত করেছেন আর্চারি ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল। টোকিও অলিম্পকস শিয়রে দাঁড়িয়ে। প্রথমবারের মতো আসরটিতে সরাসরি খেলবে বাংলাদেশ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মেনে টঙ্গীর আহসানউলস্নাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে ফুটবল আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন। অনেকটা অসহায় হয়েই, অলিম্পিকসের আগে নিজেদের ট্রেনিং সেন্টার ফুটবলকে দিতে হয়েছে তাদের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এ মৌসুমের জন্য বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সঙ্গে আরও কয়েকটি মাঠ প্রয়োজন ছিল বাফুফের। করোনাকালে খেলোয়াড়দের নিয়ে দূরে ভ্রমণ করতে না চাওয়ায় ঢাকার আশপাশের এলাকা পছন্দের তালিকার শীর্ষে ছিল ফেডারেশনের। কিন্তু কুমিলস্না এবং মুন্সীগঞ্জের সঙ্গে আরেকটি স্টেডিয়াম কোনটি হবে তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। এরপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে টঙ্গীর আহসান উলস্নাহ মাস্টার স্টেডিয়ামটি বরাদ্দ দেওয়া হয় ফুটবলকে। আর্চারি ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে থাকলেও মাঠটিকে ফুটবলের জন্য দেওয়ায় অবাক হন সবাই। সমালোচনার ঝড় ওঠে ক্রীড়াঙ্গনে। কিন্তু সব আলোচনা-সমালোচনা দূরে সরিয়ে মাঠটিতে ফুটবল আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে ফুটবল ফেডারেশন। তবে মাঠটির একপাশে ঘন জঙ্গল এবং আরেক পাশে ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে থাকায় খেলার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন থাকছে বিস্তর। যদিও ম্যাচ শুরুর আগে নিজেদের প্রয়োজনমত সংস্কার করে নেওয়া হবে বলে জানালেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা এখানে ১২টি ম্যাচ আয়োজন করব। আমার মনে হয় না এতে আর্চারদের কোনো সমস্যা হবে। এখানে অনেক সমস্যা আছে সেটা জানি, আমরা চেষ্টা করব সব সমস্যা সমাধান করে ম্যাচ আয়োজন করতে। কোভিডের সময়টাতে আমরা দূরে যেতে চাইনি তাই এ মাঠটা নিয়েছি।' দেশের উঠতি একটি খেলা আর্চারি। সর্বশেষ সাউথ এশিয়ান গেমসে ১০টি স্বর্ণ যার বড় প্রমাণ। আর অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা তো আছেই। এ মুহূর্তে তাদের ট্রেনিং সেন্টারটি ফুটবলের দখলে চলে গেলে নষ্ট হতে পারে খেলাটির ভবিষ্যৎ। যদিও আর্চারদের সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দিলেন বাফুফে কর্তারা। সোহাগ বলেন, 'আর্চারদের একটা আন্তর্জাতিক লক্ষ্য আছে। আমরাও প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করতে চাচ্ছি। এটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একটা উইন উইন সিচুয়েশনে থেকে টুর্নামেন্টটা আয়োজন করতে চাই।' আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল বলেন, 'আমরা মাঠটা ফুটবলকে দিয়ে দিলাম। এখন এটা তাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন। তারা যদি চায় আমাদের আর্চাররা ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক, তাহলে যত কম ম্যাচ খেলা যায় সেটা তারা দেখবে। আমরা অলিম্পিকসে যাচ্ছি সরাসরি, সেখানে ভালো ফল করতে হলে আমাদের নিবিড় অনুশীলন করতে হবে। কিন্তু এখন যদি ফুটবল হয় এখানে তাহলে প্রস্তুতি কতটা হবে আমার সংশয় আছে।'