ক্যারিবীয়দের অভিষেকের তালিকা

তিন ম্যাচে ৯ জনের অভিষেক উইন্ডিজের

প্রথম ম্যাচ : আকিল হোসেন, আন্দ্রে ম্যাকার্থি, চামার হোল্ডার, জশুয়া ডি সিলভা, কাইল মায়ারস এবং এনক্রুমাহ বোনার। দ্বিতীয় ম্যাচ : জর্ন ওটলে। তৃতীয় ম্যাচ : জাহমার হ্যামিলটন এবং কিয়ন হার্ডিং।

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন ছিল ছয়টি। তবে অভিষেক হয়েছিল শুধুমাত্র ডানহাতি পেসার হাসান মাহমুদের। পরের দুই ম্যাচে সব মিলিয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে মোট দুটি, অভিষেক করানো হয়নি কাউকে। ওয়ানডে সুপার লিগের গুরুত্ব বিবেচনায় নিজেদের সম্ভাব্য সেরা দল নিয়েই খেলেছে বাংলাদেশ। তবে সেই সুযোগ ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কেননা; করোনা সতর্কতা ও ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে বাংলাদেশ সফরের দল থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছেন অন্তত এক ডজন ক্রিকেটার। যার ফলে অনভিজ্ঞ ও আনকোরা ক্রিকেটারদের নিয়েই ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে ক্যারিবীয় ক্রিকেট বোর্ড। যাদের মধ্যে ৯ জনকে প্রথমবারের মতো সুযোগ দিল ওয়ানডে ক্রিকেটে। বাংলাদেশ সফরের স্কোয়াড ঘোষণার পরই বোঝা গিয়েছিল, ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজে অভিষেকের মেলা বসাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ছয়জনের অভিষেক করিয়ে সে কথারই প্রমাণ দিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। সব মিলিয়ে তিন ওয়ানডে ৯ জনকে নতুন ক্যাপ তুলে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছয় অভিষিক্ত খেলোয়াড় ছিলেন আকিল হোসেন, আন্দ্রে ম্যাকার্থি, চামার হোল্ডার, জশুয়া ডা সিলভা, কাইল মায়ারস এবং এনক্রুমাহ বোনার। এই ছয়জনের মধ্যে আকিল হোসেন ও কাইল মায়ারস নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিতে পেরেছিলেন। বাকি চারজনই নাম লিখিয়েছিলেন ব্যর্থতার খাতায়। ব্যাটসম্যানদের ভয়াবহ বিপর্যয়ে সেদিন মাত্র ১২২ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাঁহাতি মায়ারস খেলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস। পরে বোলিংয়ে নেমে বাঁহাতি স্পিনে ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান খরচায় তিন উইকেট নেন আকিল হোসেন। এ ছাড়া ম্যাকার্থি ১২, জশুয়া ৯, বোনার ০ এবং চেমার হোল্ডার তিন ওভারে ২৬ রান খরচায় ছিলেন উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় ম্যাচে নতুন ক্যাপ পান শুধুমাত্র বাঁহাতি ওপেনার জর্ন ওটলে। ক্যারিবীয়দের আরেকটি হতাশাজনক ব্যাটিং প্রদর্শনীর দিনে ওটলে খেলেন ২৪ রানের ইনিংস। সোমবার সিরিজের শেষ ম্যাচে অভিষেক করানো হলো জাহমার হ্যামিলটন ও কিয়ন হার্ডিংকে। উইকেটরক্ষক হ্যামিলটন ৫৪ ও হার্ডিং ২০টি লিস্ট এই ম্যাচ খেলে ওয়ানডে ক্রিকেটের স্বাদ পেলেন। দেখার বিষয় তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে কেমন করেন।