পেসার অনিকের নতুন শুরু

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
কাজী অনিক
দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এনসিএল দিয়ে আবারও ক্রিকেটে ফিরছেন কাজী অনিক। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায়, ২০১৯ সাল থেকে সব ধরনের ক্রিকেটে তাকে নিষিদ্ধ করে বিসিবি। কঠিন সেই সময়কে ভুলে আবারও নিজেকে প্রমাণ করতে চান অনিক। গতির ঝড় তুলে খেলতে চান জাতীয় দলে। আর নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে কোনো নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে, উদীয়মানদের সাবধানী হওয়ার পরামর্শ তার। ১৭ বছরের এক কিশোরের বোলিংয়ের গতি ১৪০ এর বেশি! কাজী অনিকের কথা মনে আছে হয়তো অনেকের। ২০১৮ যুব বিশ্বকাপে বাঁহাতে গতির ঝড় তুলে, যিনি এসেছিলেন আলোচনায়। পৃথী'শ স্ট্যাম্পটা উপড়ে ফেলার দৃশ্যটা যেন হলো অফ ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখার মতোই। সে সময়ে অনেকে ক্রিকেটবোদ্ধাই তাকে তুলনা করেছিলেন ভবিষ্যতের শন টেইট, শোয়েব আক্তার, ব্রেট লিয়ের সঙ্গে। শুধু বয়সভিত্তিক দলই নয়, এনসিএল কিংবা বিপিএলে সুইং আর বাউন্সে ২২ গজে প্রতিপক্ষের জন্য ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক। কিন্তু একটা ভুল কেড়ে নিল সবকিছুই। বাজে সঙ্গীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ঝুঁকিতে ফেলেন নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার। বিসিবির এন্টি ডোপিং কোডের ৮.৩ ধারা ভঙ্গ করে নিষিদ্ধ হন ২ বছরের জন্য। গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি শেষ হয় সেই নিষেধাজ্ঞার সয়মকাল। কাজী অনিক এখন যেন মুক্ত বিহঙ্গ। অনিক জানালেন, যা তার জীবন থেকে গেছে তা আর ফিরে দেখতে চান না। ভুল করেছেন, সে ভুল যেন স্বপ্নে দেখা না দেয় তার জীবনে। একজন ক্রিকেটারের জীবনে আপন ও কাছের বন্ধু তার পরিবার ও ক্রিকেটারই হতে পারে এমনটা বললেন নতুনদের উদ্দেশ্যে। ঢাকা মেট্রোর হয়ে যে এনসিএল দিয়ে জড়িয়ে ছিলেন বিতর্কে, দুই বছর বাদে আবারও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরছেন সেই এনসিএল দিয়েই। উৎরেছেন ইয়ো-ইয়ো ফিটনেস টেস্টে। তাইতো এই যুবার চোখে এখন নতুন শুরুর গল্প। কাজী অনিক বললেন, 'এনসিএল থেকে আমি বাদ পড়ি। সেই এনসিএল দিয়েই আবার ফিরতে চাই। যেভাবে আমার সবকিছু ঠিক ছিল, সেভাবেই আবার ফিরতে চাই। যেন আমার মধ্যে কোনো ঘাটতি না থাকে।' অনুপ্রেরণা মানেন সতীর্থদের। নাঈম-সাঈফ-আফিফ কিংবা হাসান মাহমুদরা এখন জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ। ভুলকে পেছনে ফেলে এবার সেই পথই মারাতে চান অনিক। ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ারের থাকবে উত্থান পতন। তবে ভুল করেও যেন কেউ ডোপের পথে পা না বাড়ায়। কালো দাগ না লাগায় তাদের ক্যারিয়ারে। নির্বাসনের সময়ে এই উপলব্ধিই এখন উপজীব্য কাজী অনিকের।