শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
শেখ জামাল ৩-১ ব্রাদার্স, পুলিশ ২-১ আরামবাগ

ব্রাদার্সকে হারিয়ে আবাহনীকে পেছনে ফেলল জামাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে ঢাকা আবাহনীকে পেছনে ফেলে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেডকে। জামালের পক্ষে একটি করে গোল করেন ওটাবেক, সোলেমান সিলস্নাহ, পা ওমর জোবে। ব্রাদার্সের একমাত্র গোলটি করেন ফয়সাল মাহমুদ। এই জয়ে ২২ পয়েন্ট অর্জন করেছে জামাল। সমান পয়েন্ট থাকলেও গোলগড়ে পিছিয়ে থাকায় তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে ঢাকা আবাহনী। ২ পয়েন্ট নিয়ে ১২তম স্থানে আছে ব্রাদার্স।

অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে ২-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব। ১০ ম্যাচে পুলিশের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। তারা আছে অষ্টম স্থানে। মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে ১৩তম স্থানে আরামবাগ।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ৪ মিনিটে সোলেমান কিংয়ের বাড়িয়ে দেওয়া বল সতীর্থ রিসিভ করার আগেই বক্সে ক্লিয়ার করেন ব্রাদার্স ডিফেন্ডাররা। ৮ মিনিটে বক্সে বল পেয়ে হেড নেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সুলেমান সিলস্নাহ। কিন্তু বল অল্পের জন্য খুঁজে পায়নি জাল। ১১ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে বল দেন জামাল অধিনায়ক গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সুলেমান কিং। বল পেয়ে নুরুল আবসার বক্সে পাঠান পা ওমর জোবের উদ্দেশ্যে। কিন্তু জটলার মধ্যে থেকে বল ক্লিয়ার করেন ব্রাদার্সের ফুটবলাররা। ১৩ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে উজবেক ফরোয়ার্ড ওটাবেকের ফ্রি কিক বক্সে পেয়ে শ্যামল মিয়া পোস্ট লক্ষ্য করে শট নিতে গিয়েও ব্রাদার্সের ডিফেন্ডারদের বাধার মুখে পারেননি। তবে প্রথম কর্নারটি পেয়ে যায় শেখ জামাল। ওটাবেকের কর্নার বক্সে মিস করেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড পা ওমর জোবে। এরপর দুই মিনিটের মধ্যেই আরও দুইটি কর্নার পায় শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যরা। কিন্তু একটি সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি। ৩৩ মিনিটে সুযোগ এসেছিল ব্রাদার্সেরও। তবে উজবেক ডিফেন্ডার ফুরকাতের ফ্রি কিক চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে। ৩৪ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে পাওমর জোবের পাসে বক্সে বল পান সোলেমান সিলস্নাহ। গোলরক্ষককে কাটিয়ে কোনাকোনি শটে ব্রাদার্সের জাল কাঁপান এই গাম্বিয়ান (১-০)। ম্যাচে লিড নেয় শেখ জামাল। ৩৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার একটা সুযোগও এসেছিল তাদের। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক তিতমীর চৌধুরীকে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে পেয়ে শট নেন সিলস্নাহ। তবে প্রতিপক্ষের নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার মানডে ওসাইগীর বাধার মুখে স্বাভাবিক শটটি নিতে পারেননি সিলস্নাহ। ৪৫ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে অরূপ কুমার বৈদ্যর পাসে শট নেন শফিকুল ইসলাম সফী। তবে সহজ সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। এরই মধ্যে বা প্রান্ত থেকে সমীর উলস্নাহ যে শটটি করেন সেটিও বা পোস্ট ঘেঁষে চলে যায় বাইরে। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে জামালের শ্যামল মিয়াকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখান অরুপ কুমার। ফ্রি কিক পায় শেখ জামাল। তবে প্রথমার্ধে আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি তারা। ৫৯ মিনিটে বক্সের বাইরে বাঁ প্রান্তে ফ্রি কিক পায় ব্রাদার্স। জোসেফ নূরের ফ্রি কিক বক্সে মাথা ছোঁয়াতে গিয়েও বলের নাগাল পাননি সতীর্থরা। তবে নীরা হেড করে কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন। ৫৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে পা ওমর জোবে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন ব্রাদার্সের বক্সে। তাকে বাধা দিতে চেষ্টা করেছিলেন ডিফেন্ডাররা। কিন্তু দ্রম্নতগতিতে বল নিয়ে বুক দিয়ে নামিয়ে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন ওমর জোবে (২-০)। ৭৭ মিনিটে বক্সের খুব কাছেই সামনে ফ্রি কিক পায় শেখ জামাল। ব্রাদার্সের লম্বা মানব দেয়ালের উপর দিয়ে বাঁক খাওয়ানো স্পট কিকে জামালের তৃতীয় গোলটি এনে দেন ওটাবেক (৩-০)। ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি গোলরক্ষক তিতুমীর চৌধুরী। কিছুক্ষণ পরই তিতুমীরকে তুলে নিয়ে তার পরিবর্তে জাফর সরদারকে নামান ব্রাদার্সের কোচ। ৭৯ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ব্রাদার্সের জোসেফ নূরের শট বারে লেগে ফেরত আসে। পরের মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ফুরকাত জনের ফ্রি কিকে জটলার মধ্য থেকে পোস্টের খুব কাছ থেকে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ফয়সাল মাহমুদ (৩-১)। ব্যবধান কিছুটা কমায় ব্রাদার্স। ইনজুরি টাইমে সোলেমান কিংয়ের দূরপালস্নার শট অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। এরপরই সুলেমানের আরও একটি শট দারুণ দক্ষতায় আটকে দেন বদলি গোলরক্ষক জাফর। তবে ব্যবধান আর না বাড়াতে পারলেও শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে শেখ জামাল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে