আজ অনুশীলনে ফিরছে টাইগাররা

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২১, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ঘরবন্দি জীবনকে মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে মনে হয়েছিল 'জেলখানা।' মোহাম্মদ মিঠুনের কাছে এই অভিজ্ঞতা ছিল খুবই কষ্টকর। আর তামিম ইকবাল বলেছিলেন হঠাৎ করে বের হয়ে তার কাছে আজব লেগেছে। চার দেয়ালের মধ্যে দমবন্ধ অনুভূতি হচ্ছিল কয়েকজনের। অবশেষে মুক্তি মিলছে সেই জীবন থেকে। আজ থেকে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে কয়েক গ্রম্নপে ভাগ হয়ে অনুশীলন করতে পারবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। নিউজিল্যান্ডে তৃতীয় দফা কোভিড পরীক্ষায়ও সবাই নেগেটিভ হওয়ার পর অনুশীলন শুরু করতে আর কোনো বাধা নেই। ক্রাইস্টচার্চের অদূরে লিঙ্কনে সাত জনের গ্রম্নপে ভাগ হয়ে আজ থেকে শুরু হবে ব্যাট-বলের অনুশীলন। প্রতি গ্রম্নপে ক্রিকেটার থাকবেন ৫ জন করে, সাপোর্ট স্টাফের সদস্য ২ জন। মুক্ত বাতাসে অনুশীলন শুরুর আগে খানিকটা মহড়া অবশ্য হয়ে গেছে বুধবার। নিউজিল্যান্ডে পৌঁছার পর এদিনই প্রথমবার দলগতভাবে জিম সেশন করতে পেরেছেন সফরকারী দলের ক্রিকেটাররা। ৩টি করে ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজ খেলতে গত বুধবার ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। প্রথম ৩ দিন পুরোসময়ই ঘরে আটকা থাকতে হয়েছে সফরকারী ক্রিকেটারদের। এরপর সারাদিনে ৪০-৪৫ মিনিটের জন্য বের হওয়ার সুযোগ ছিল কেবল হোটেলের লনে ও খোলা জায়গায়। পর দিন তা বেড়ে হয়েছে দুই বেলা। এরপর তিন বেলা মিলিয়ে আড়াই ঘণ্টার মতো সময় হোটেলের খোলা জায়গায় শ্বাস নেওয়ার সুযোগ মিলেছে। এই সময়টায় ফিটনেস নিয়ে কাজ করার একমাত্র উপায় ছিল যার যার হোটেল রুমে সাইক্লিং আর টুকটাক কসরত। এক সপ্তাহের হাঁসফাঁস সময়টা শেষ হওয়ায় বিসিবির কাছে পাঠানো ভিডিও বার্তায় স্বস্তির কথা জানালেন মোহাম্মদ মিঠুন, 'এতদিন আমাদের চলাফেরায় অনেক বাধা ছিল। এখন আস্তে আস্তে নরম্যাল হচ্ছে। আজকে জিম করার সুযোগ পেয়েছি। এক সপ্তাহ পর জিম ব্যবহার করতে পেরে ভালো লাগছে। ঘরের মধ্যে থাকা আসলেই অনেক কষ্টকর। খুব বেশি কিছু করার নেই, সারাদিন ঘরের মধ্যে থেকে। বিশেষ করে আমরা এখানে একটি সিরিজ খেলতে এসেছি কালকে থেকে মাঠে যেতে পারব, ভাবতেই আলাদা ভালো লাগা কাজ করছে। কাল থেকে আমরা যখন ক্রিকেট ট্রেনিংয়ে ফিরব, তখন আস্তে আস্তে মানিয়ে নিতে পারব।' নিউজিল্যান্ডে প্রতিবারই সফরে গিয়ে প্রচন্ড শীত আর ঠান্ডা বাতাসে জবুথবু অবস্থা হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। এবার এই সময়টায় আবহাওয়া নিয়েও স্বস্তির কথা শোনালেন মিঠুন, ১ এখনকার আবহাওয়া খুবই ভালো। আগে এখানে আবহাওয়ার কারণে যে ভুগতে হতো, এ রকম আবহাওয়া থাকলে এবার আশা করি সেটা হবে না।'