অনেক কিছু দেয়ার আছে রোনালদোর

অবশ্যই, ফুটবলকে এখনো অনেক কিছু দেয়ার আছে রোনালদোর। সেপ্টেম্বরে একটা টুনাের্মন্ট আছে, উয়েফা নেশন্স লিগ। আশা করছি, ও দলের সঙ্গে থেকে তরুণদের গড়ে উঠতে সাহায্য করবে Ñফানাের্ন্দা সান্তোস

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
সম্ভবত এটাই শেষ সুযোগ ছিল। শেষ সুযোগটা কাজে আসল না, হলো না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নপূরণ। শনিবার উরুগুয়ের কাছে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছে তার দল পতুর্গাল। অনেকেই মনে করছেন, ৩৩ বছর বয়সী রোনালদো হয়তো অবসরে যেতে পারেন। তবে রোলানদো এ বিষয়ে এখন কোনো কথা বলতে চাননি। পতুির্গজ কোচ ফানাের্ন্দা সান্তোসেরও বিশ্বাস, ফুটবলকে এখনও দেয়ার মতো অনেক কিছু আছে সিআর-সেভেনের। আগের তিনটি আসরে সবমিলিয়ে তিন গোল, সেই রোনালদো এবার গ্রæপপবের্ই করে ফেললেন চার গোল। ফেরেঙ্ক পুসকাসকে ছাড়িয়ে ইউরোপের সবোর্চ্চ গোলদাতার খেতাবটাও নিজের করে নিলেন। সব মিলিয়ে ১৫৪ ম্যাচে ৮৫ গোল করা রোনালদো রাশিয়া বিশ্বকাপটা নিজেরই করে নিতে যাচ্ছিলেন। কি থেকে কী হয়ে গেল! শেষ ষোলোতে নিজের সেরাটা দিতে পারলেন না পঁাচবারের বষের্সরা তারকা, দলও পেল না জয়। ইউরোপজয়ীদের বিশ্বকাপ যাত্রা থেমে গেল দ্বিতীয় রাউন্ডেই। বিশ্বকাপটা নিজের করে নিতে পারলেন না রোনালদো। এক বুক চাপা কষ্ট নিয়ে এতক্ষণে হয়ত বাড়ি ফিরে গেছেন তিনি। চার বছর পর কাতারে যখন বিশ্বকাপ খেলতে নামবে পতুর্গাল, তার বয়স হবে ৩৭। ওই বয়সে দলে সুযোগ পাওয়া বড্ড কঠিন। অবশ্য বছর দুয়েক বাদে অনুষ্ঠেয় ইউরোতে খেলার সুযোগ পেতে পারেন রোনালদো। এছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ৫৫টি দেশ নিয়ে আয়োজিত উয়েফা নেশন্স লিগের উদ্বোধনী মৌসুম মাঠে গড়াচ্ছে। সেদিকে ইঙ্গিত করেই পতুির্গজ কোচ সান্তোস বলেছেন, ‘অবশ্যই, ফুটবলকে এখনো অনেক কিছু দেয়ার আছে রোনালদোর। সেপ্টেম্বরে একটা টুনাের্মন্ট আছে, উয়েফা নেশন্স লিগ। আশা করছি, ও দলের সঙ্গে থেকে তরুণদের গড়ে ওঠতে সাহায্য করবে।’ ইউরো জয়ের পর পতুির্গজদের আশা ছিল রাশিয়া থেকে কাপ নিয়ে দেশে ফিরবেন রোনালদো। সেটা হয়নি। এজন্য দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সান্তোস, ‘আমরা জানি, পতুর্গালে সবর্ত্রই টিভি সেটগুলোর সামনে কী পরিমাণ লোক জড়ো হয়েছিল আমাদের খেলা দেখার জন্য। এখানে থেকেই তাদের উপস্থিতি টের পাচ্ছিলাম আমরা। দেশবাসীদের উদ্দেশে একটা কথাই বলব- আপনাদের স্বপ্ন পূরণ করতে না পারায় আমরা খুবই দুঃখিত।’ রক্ষণাত্মক দল হিসেবে পরিচিত হলেও উরুগুয়ের বিপক্ষে পতুির্গজ ডিফেন্ডাররা নিজেদের সেরাটা দিতে পারেননি। সান্তোস মনে করছেন, সুয়ারেজ-কাভানি জুটিই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে ম্যাচটিতে। শুরুতেই বাসেের্লানা তারকার বাড়ানো ক্রসে হেডে জালে বল জড়ান কাভানি। দ্বিতীয়াধের্র শুরুতে হেড থেকেই পতুর্গালকে সমতা এনে দিয়েছিলেন পেপে। কিন্তু এরপর আবার কাভানি ম্যাজিক। ডান পায়ের দারুণ এক শটে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোলে পিএসজি তারকা দলকে পেঁৗছে দেন কোয়াটার্র ফাইনালে। তাদের প্রশংসা করে সান্তোস বলেছেন, ‘তাদের স্ট্রাইকাররা খুব শক্তিশালী। তারা অসাধারণ খেলেছে। একজন সামনে, একজন পেছনে। ইতোপূবের্ কখনো এভাবে গোল করতে পারেনি তারা।’ পুরো ম্যাচে বল পজিশন ধরে রেখেও প্রত্যাশিত ফল পায়নি পতুর্গাল। সান্তোস জানিয়েছেন, চেষ্টার কোনো ত্রæটি রাখেনি দলের খেলোয়াড়রা, ‘আমরা জানতাম, তাদের মাঝমাঠ খুব দৃঢ়। সেজন্য কিছু খেলোয়াড়কে জায়গা ছেড়ে দিয়ে খেলাতে হয়েছে। যাতে উরুগুয়ের রক্ষণে ফঁাক তৈরি করা যায়।।’