জাপানের সামনে ‘ফেভারিট’ বেলজিয়াম

আমরা জাপানকে খাটো করে দেখছি না, তাদের একটা শক্তিশালী দল আছে। তারা এই পযর্ন্ত এসেছে মানে হলো তারা ভালো দল Ñদ্রিস মটের্ন্স

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
জাপানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অনুশীলনে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন বেলজিক ফুটবলাররা। আজ জিতলে নিজেদের ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো শেষ আটে নাম লেখাবে দলটি Ñওয়েবসাইট
গ্রæপপবের্ তো অনেক চমকই উপহার দিল রাশিয়া বিশ্বকাপ। নকআউট পবের্ কি তেমন কোনো চমক দেখা যাবে? শেষ ষোলোর প্রথম দুটি ম্যাচে অবশ্য গ্রæপসেরা হয়ে আসা দলই জিতেছে। আজেির্ন্টনাকে কঁাদিয়েছে ফ্রান্স, পতুর্গালকে উরুগুয়ে। আজ রোস্তভ অ্যারেনাতে ভিন্ন কিছু দেখা যাবে বলে মনে হচ্ছে না। এশিয়ার প্রতিনিধি জাপানের বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবে বেলজিয়াম। গ্রæপপবের্ সবচেয়ে বেশি গোল করা দলের একটি বেলজিয়াম। তারা গোলমুখে সবচেয়ে বেশি শটও নিয়েছে। জিতেছে সবগুলো ম্যাচ। তাদের প্রতিপক্ষ জাপান বলতে গেলে শেষ ষোলোতে এসেছে ভাগ্যের জোরে। ‘এইচ’ গ্রæপে সেনেগালের সঙ্গে সমান পয়েন্ট আর গোল ব্যবধান সমান হয়ে যাওয়ার পর ‘ফেয়ার প্লে’তে কপাল খুলে যায় বøু সামুরাইদের। কিন্তু কোয়াটার্র ফাইনালের জন্য এমন কোনো সুবিধা পাবে না এশিয়ান পরাশক্তিরা। অতীতে কেবল দুবার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে খেলার সৌভাগ্য হয়েছিল জাপানের। সীমানা ওই পযর্ন্তই। বেলজিয়াম দুবার দ্বিতীয় রাউন্ডের গÐি পেরোতে পেরেছে। সবোর্চ্চ অজর্ন ১৯৮৬ সালের আসরের সেমিফাইনাল। তবে ওসব পরিসংখ্যান দিয়ে এখনকার বেলজিয়ামের শক্তি পরিমাপ করা যাবে না। একগুচ্ছ প্রতিভাধর ফুটবলারের সমাবেশে তারা হয়ে ওঠেছে দারুণ এক দল। যে দলটি ফাইনালে খেলার যোগ্যতা রাখে। কাজেই আজ রোস্তভ অ্যারেনায় জাপানের বিপক্ষে পরিষ্কার ফেভারিট বেলজিয়াম। তাই বলে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই তাদের। বছর দুয়েক আগে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ইউরোর কথাই ধরুন। বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্মের ফুটবলাররা কোয়াটার্র ফাইনাল পযর্ন্ত কি দুদার্ন্ত খেলাটাই না উপহার দিয়েছিল। এরপর কি হয়েছিল? ফেভারিট হিসেবে খেলতে নেমে ওয়েলসকের কাছে ৩-১ ব্যবধানে হার! বেলজিয়ামের মাঝমাঠের খেলোয়াড় দ্রিস মটের্ন্স তাই জাপানকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না, ‘ওয়েলসের বিপক্ষে ম্যাচটি খুব মনে আছে আমার। সবাই ভেবেছিল যে আমাদের সেমিতে যেতে কোনো সমস্যাই হবে না। এরপর আমরা টুনাের্মন্ট থেকে ছিটকে গেলাম। আমরা জাপানকে খাটো করে দেখছি না, তাদের একটা শক্তিশালী দল আছে। তারা এই পযর্ন্ত এসেছে মানে হল তারা ভালো দল।’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রæপ পবের্র শেষ ম্যাচে মূল একাদশের ৯ জনকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন বেলজিক কোচ রবাতোর্ মাটিের্নজ। তবে আজ পূণর্শক্তির দলই খেলাবেন তিনি। ইনজুরি কাটিয়ে আক্রমণভাগে ফিরবেন রোমেলু লুকাকু। দুদার্ন্ত ফমের্ থাকা এই স্ট্রাইকার ইতোমধ্যেই করে ফেলেছেন চার গোল। এছাড়া রক্ষণভাগের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থমাস ভামাির্লন আর অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানিও ফিট। জাপান দলে ফরোয়াডর্ শিনঝি ওকাজাকি ছাড়া আর কারও চোট নেই। লেস্টার সিটি তারকা ভুগছেন গোড়ালির ইনজুরিতে। তার খেলা অনেকটা অনিশ্চিত। তবে দলীয় কোচ আকিরা নিশিনোর দুশ্চিন্তার নাম রক্ষণভাগ। বেলজিক অ্যাটাকারদের সামলে রাখা কষ্টকরই হবে জাপানিজ ডিফেন্ডারদের জন্য। হ্যাজাডর্-লুকাকুদের সুযোগ দিলে রোস্তভ অ্যারেনা ভেসে যেতে পারে গোলবন্যায়। গ্রæপপবের্ পানামার বিপক্ষে ম্যাচে যেমটি দেখা গিয়েছিল। বিশ্বকাপে অতীতে একবারই দেখা হয়েছিল বেলজিয়াম-জাপানের। ২০০২ সালের আসরে গ্রæপ পবের্র ম্যাচে রেড ডেভিলদের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা। দুই দলের সবের্শষ সাক্ষাৎ গত নভেম্বরের প্রীতিম্যাচে। লুকাকুর গোলে ওই ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল বেলজিয়াম। বিশ্বকাপ মঞ্চে ওমন একটা গোল করতে চাইবেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা। বেলজিয়ামের আছে তারকা ফুটবলার, আছে ফমর্, টানা ২২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকডর্। জাপান দলে তেমন কিছু নেই। তবে আত্মবিশ্বাস আর বুকভরা সাহসই আজকের ম্যাচে লড়াইয়ের রসদ যোগাবে দলটিকে।