শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় অর্জনের দুই যুগ পূর্তি

ক্রীড়া ডেস্ক
  ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ১৯৯৭ সালের ১৩ এপ্রিল কেনিয়াকে হারিয়ে আইসিসি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ট্রফি নিয়ে উচ্ছ্বাস করেছিলেন আকরাম খান-আমিনুল ইসলাম বুলবুলরা -ওয়েবসাইট

দুই যুগ পূর্ণ হলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জনের। ১৯৯৭ সালের ১৩ এপ্রিল কেনিয়াকে হারিয়ে আইসিসি ট্রফির শিরোপা জিতেছিল আকরাম খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল। পেয়েছিল বিশ্বকাপে খেলার টিকিট। এই এক ম্যাচে বদলে গিয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের গতিপথ। যার ধারাবাহিকতাতেই আজ বিশ্বমঞ্চে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন সাকিব-তামিমরা।

নব্বই-এর দশক। ক্রিকেটটা তখনো ঠিক জমে ওঠেনি এ দেশে। আবাহনী আর মোহামেডানের ফুটবল ম্যাচটাই তখন বেশি আবেগি করে তুলত সমর্থকদের। কিন্তু, ১৩ এপ্রিল ১৯৯৭ সাল। এই তারিখটা বদলে দেয় বাংলাদেশের ক্রীড়া জগৎকে। টেলিভিশনের সাদা-কালো কিংবা রঙিন পর্দায় সেদিন ম্যাচটা দেখা হয়নি এ ভূখন্ডের মানুষের। কিন্তু রেডিওর সেই জয়ধ্বনি এবং দেশজুড়ে রঙের মেলা তাতে কমেনি এতোটুকুও।

কুয়ালালামপুরের তেনাগা জাতীয় ক্রীড়া কমপেস্নক্স মাঠে ১২ এপ্রিল টস জেতেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আকরাম খান। ব্যাট তুলে দেন কেনিয়ার আসিফ করিম এবং সন্দ্বীপ গুপ্তার হাতে। কিন্তু দিনটা ছিল বাংলাদেশের। তাই তো রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন আসিফ। ৫৮ রানেই ৩ উইকেট হারায় কেনিয়া। এক স্টিভ টিকোলো ঢাল হয়ে দাঁড়ান বাংলাদেশের বোলারদের সামনে। ১৪৭ রানের এক নায়োকোচিত ইনিংস খেলেন তিনি। সঙ্গে মরিন ওদুম্বের ৪৩ যোগ হয়ে, কেনিয়ানদের রান দাঁড়ায় ২৪১।

স্কোর অনেক বড়, কিন্তু ওই যে বিধাতা এ দিন ছিলেন আকরাম-বুলবুলদের পক্ষে। মুষলধারে বৃষ্টি নামে মালয়েশিয়াতে। খেলা চলে যায় রিজার্ভ ডেতে। ঐতিহাসিক ১৩ এপ্রিল। ২৫ ওভারে বাংলাদেশের জন্য নতুন টার্গেট আসে ১৬৬ রান। প্রথম বলেই মার্টিন সুজি ফিরিয়ে দেন নাইমুর রহমানকে। কেঁপে ওঠে ৫৬ হাজার বর্গমাইল। রফিক আর নান্নু মিলে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন ভালোভাবে। তাদের বিদায়ের পর বাকি কাজটা করেন বুলবুল এবং আকরাম। কিন্তু রান আর উইকেটের হিসাব মেলাতে গিয়ে পথ হারায় বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট হারিয়ে সহজ ম্যাচটা কঠিন করে তোলে তারা।

ভীষণ বিপদে পড়া বাংলাদেশের সামনে শেষ ওভারে জিততে দরকার পড়ে ১১ রান। সে সময় ক্রিজে শান্ত ও পাইলট। এক পর্যায়ে দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন পাইলট। তারপরও ভক্তদের মনে ভয় ছিল, যদি না পারে বাংলাদেশ। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে দামি ছক্কাটা সেদিন হাঁকান খালেদ মাসুদ পাইলট। আর শেষ বলে দুজনের দারুণ বোঝাপোড়ায় জিতে যায় বাংলাদেশ। লেখা হয় নতুন এক ইতিহাস।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে