পুরনো গুরুর কাছে সৌম্য

প্রকাশ | ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ব্যাটে রান নেই। মনোবল নড়বড়ে। আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি। সব মিলিয়ে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে সাঁতার কাটছেন সৌম্য সরকার। বারবার বিভিন্ন পর্যায়ে দিতে হচ্ছে কঠিন পরীক্ষা। তাতে ওলটপালট নিজের পরিকল্পনাও। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাঁচ বছর কেটে গেলেও নিজের অবস্থান এখনো পোক্ত করতে পারেননি। পারেননি নামের প্রতি সুবিচার করতে। এমনকি সামর্থ্যের জানান দিতেও পারেননি সৌম্য। বাংলাদেশ জাতীয় দলের আসা-যাওয়ার মধ্যেই আছেন তিনি। পায়ের নিচের মাটি সরে যাওয়ার আগে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার তাগিদ অনুভব করছেন এই বাঁ-হাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। এজন্য বয়সভিত্তিক কোচের দ্বারস্থ হলেন সৌম্য। যেন সবকিছু নতুন করে শুরু করতে চান। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের সঙ্গে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। একাডেমি মাঠে ঘণ্টাখানেক কাজ করেছেন শরীরের ভারসাম্য নিয়ে। শট খেলতে গিয়ে ভারসাম্য হারাচ্ছিলেন বাঁ-হাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। তাতে গড়বড় হচ্ছিল টাইমিংয়ে। তাইতো প্রায় ম্যাচে উইকেট ছুড়ে আসছিলেন। শিষ্যর সমস্যা ধরতে পেরে সেগুলো শোধরানোর কাজ করে যাচ্ছেন মিজানুর রহমান। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে তিনি বলেন, 'সৌম্যদের যে ব্যাচটা... অনূর্ধ্ব-১৭ থেকে আমি ওদের কোচ ছিলাম। ওরা মনে করে যে পুরনো স্যারদের কাছে ফিরে যাই। স্যাররা তো শুরু থেকে আমাদের দেখেছে, এখন কী অবস্থায় আছি...। সে আস্থা থেকে হয়তো বলছে স্যার একটু দেখেন।' মিজানুর আরও যোগ করেছেন, 'গতকাল কিছুক্ষণ ছিলাম, আজও কাজ করেছি। সৌম্য অনেকদিন ধরে বড় ধরনের রান করতে পারছে না। ও যেন কিছুটা তো হতাশ। যেহেতু আমাদের দিয়ে হাতেখড়ি, কিছু দায়িত্ব থাকে তাদের ওপর। আমরা যদি কিছুটা হলেও তাদের ফর্মে ফিরিয়ে আনতে পারি, সেটা আমাদের জন্যও ভালো লাগবে, সেই সঙ্গে ওদের জন্যও।' প্রিয় শিষ্যর কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা জানাতে গিয়ে বিসিবির এই বয়সভিত্তিক কোচ বলেন, 'অল্পকিছু টেকনিক্যাল সমস্যা তো হয়েছেই, নয়তো রান করতে পারত। সৌম্য বুঝতে পেরেছে যে ওর ব্যাটিংয়ে ভারসাম্যে কিছুটা সমস্যা ছিল। ওটা নিয়েই কাজ করা হচ্ছে, অন্য সব ঠিকঠাক আছে।' নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ওয়ানডেতে মাত্র ৩৩ রান ও তিন টি২০ করেছিলেন ৬৬ রান। শিষ্যদের অফ ফর্ম ভাবায় গুরুদেরও। তাইতো তাদের নিয়ে কাজ করার বাড়তি তাগিদ অনুভব করেন মিজানুরের মতো কোচরা, 'যারা আমাদের হাত দিয়ে উঠে এসেছে, তাদের আমরা ফলো করার চেষ্টা করি। যাদের গড়ে ওঠার পেছনে আমাদের সামান্যতম অবদানও আছে, এখন জাতীয় দলে খেলে তবুও আমরা তাদের ফলো করি যে কী রকম খেলছে। ভালো খেললে ভালো লাগে, অফ ফর্মে থাকলে কিছুটা তো খারাপ লাগেই।'