আরামবাগের মধুর প্রতিশোধ

প্রকাশ | ১২ মে ২০২১, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিপিএল ফুটবলের টানা ১৫ ম্যাচের অপেক্ষা শেষে মঙ্গলবার প্রথম জয় পেয়েছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শক্তিশালী শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারানোর পর আরামবাগের ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস -বাফুফে
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের প্রথমপর্বে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের জালে গুনে গুনে ছয়বার বল পাঠিয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। দ্বিতীয় দেখায় সেই হারেরই মধুর প্রতিশোধ নিল আরামবাগ। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে জামালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ দিল অফিস পাড়ার দলটি। এটি একদিকে যেমন শেখ জামালের প্রথম হার অন্যদিকে আরামবাগের ও প্রথম জয়। এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট অর্জন করেও গোলগড়ে ব্রাদার্স থেকে পিছিয়ে থাকায় তলানিতেই থাকল আরামবাগ। জামালের ৩২ পয়েন্ট তারা আছে তৃতীয় স্থানে। ১৪টি ম্যাচে অপরাজিত থাকা শেখ জামাল হয়তো ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করতে পারেনি তলানির দল আরামবাগের কাছে এভাবে হারতে হবে তাদের। ১৫ ম্যাচের ৯টিতেই জয় আর ৫ ম্যাচে ড্র জামালের। যেখানে আরামবাগের অর্জন বলতে ছিল দুটি মাত্র ড্র। আর বাকি ১৩ ম্যাচেই হেরেছিল তারা। অবশেষে ১৬তম ম্যাচে এসে শক্তিধর প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই বড় জয় তুলে নেয় আরামবাগ। যদিও ম্যাচের শুরুতে লিড নিয়েছিল শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যরাই। অথচ প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের পর থেকে পুরোম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করল দুর্বল আরামবাগই। উড়তে থাকা জামালকে টেনে নিচে নামালো তারা। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুতে ম্যাচের ১৫ মিনিটে গোলমুখ খুলতে সমর্থ হয় শেখ জামাল। সতীর্থের থ্রোতে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন জামালের পা ওমর জোবে। সাইড ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন এই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড (১-০)। ৪০ মিনিটে কাজী রাহাতের থু্র ইন বক্সে থাকা জামালের ডিফেন্ডার মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের গায়ে লেগে বাইরে চলে যায়। কর্নার পায় আরামবাগ। কিন্তু কর্নার থেকে উড়ে আসা বলটি খুব সহজেই তালুবন্দি করেন জামালের গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান জিয়া। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে (৪৫+২) দারুণ এক গোলে সমতায় ফেরে দুর্বল আরামবাগ। বক্সের প্রায় দশগজ দূরে ফ্রি কিক পায় তারা। ফলস রান করেন ওমর। দূরপালস্নার স্পট কিকে বল গোল করেন উজবেক ফরোয়ার্ড আবদুকাদিরভ (১-১)। প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে ১-১ গোলের সমতায়। ৫৩ মিনিটে আরও একটি গোল করে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আরামবাগ। বা প্রান্ত থেকে কাজী রাহাদের লম্বা থ্রো ইন কাঁধ দিয়ে ক্লিয়ার করতে যান জামালের মনির আলম। বল পেয়ে যান আরামবাগের ফুটবলার ওমর ফারুক। পোস্টের বেশ কাছ থেকে হেড করে জালে জড়ান ওমর ফারুক (২-১)। ৫৬ মিনিটে আরামবাগের আক্রমণ প্রতিহত করতে গোলপোস্ট ছেড়ে সামনে বের হয়ে আসেন জিয়া। ফাঁকা পোস্ট পেয়ে সুযোগটা কাজে লাগাতে দেরি করেননি নিহাদ জামান উচ্ছ্বাস। শুয়ে পড়ে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন আরামবাগের এই তরুণ ফুটবলার (৩-১)। ইনজুরি টাইম যোগ হয় ৭ মিনিট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সময়েও ম্যাচে ফেরা হয়নি জামালের। তাই দুর্বল আরামবাগের কাছেই প্রথম হারের তিক্ত স্বাদটি পায় তারা। প্রথম পর্বে আরামবাগকে ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল শেখ জামাল। প্রথম জয়ে রেলিগেশন জোন থেকে বের হয়ে আসার একটা সম্ভাবনা তৈরি করলে আরামবাগ।