তিতলির প্রভাবে ফলহীন দ্বিতীয় রাউন্ড

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথমদিন সবগুলো ভেন্যুতেই খেলা হয়েছে। দ্বিতীয়দিন থেকেই শুরু ঘূণির্ঝড় তিতলির প্রভাব বিস্তার। তৃতীয় ও চতুথির্দন তো ভেসে গেল বৃষ্টিতেই। তাতে অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডের চারটি ম্যাচই। খেলা না হওয়ার কারণে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন রংপুর বিভাগের মাহমুদুল (৭২*) ও খুলনার আফিফ হোসেন ধ্রæব (৮১*)। আবহাওয়া ভালো থাকলে ফল হতে পারতো এ ম্যাচেও। চার সেঞ্চুরিতে তিনদিনে রানবন্যা হয়েছে রাজশাহীতে। স্বাগতিকদের হয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত (১৭৩), মিজানুর রহমান (১৬৫), জুনায়েদ সিদ্দিকী (১০০*) শতক হাঁকিয়েছেন। তাদের ছাপিয়ে ম্যাচ শেষে আলোচনায় লিটন দাসের ‘ডাবল’ সেঞ্চুরি। রাজশাহীর বোলারদের ছাতু বানিয়ে ১৪২ বলে ২০৩ রানের মারকাটারি এক ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলের এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। রংপুরের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৫১ রানেই। জবাবে তিন সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ৫৮৯ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে রাজশাহী। ৪৩৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে অবশ্য ভালোই জবাব দিচ্ছিল রংপুর। লিটন দাসের ১৪০ বলের ডাবল সেঞ্চুরিতে তৃতীয়দিন শেষে রংপুরের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৩১৯ রান। তখন ১১৯ রানে পিছিয়ে রংপুর। মাহমুদুল হাসান ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেওয়ার সুযোগটা শেষদিনে আর পেলেন না মাহমুদুল। ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন লিটন দাস। দুই দলই খেলতে পেরেছে একটি করে ইনিংস। রান হয়েছে প্রতি ইনিংসেই। শতক হয়েছে কেবল একটি। ১১২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলে ব্রাত্য থাকা খুলনার পেস-অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান। ৮১ রানের অপরাজিত ঝলমলে এক ইনিংস খেলেছেন তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেনও। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নুরুজ্জামানের ৭৪ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে বরিশাল অলআউট হয়েছিল ২৯৯ রানে। জবাবে একটা সময় ৮৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল খুলনা। সেখান থেকে খুলনাকে টেনে তোলেন মোহাম্মদ মিথুন, জিয়াউর রহমান ও আফিফ। মিথুন ৭২ করে ফেরার পর সপ্তম উইকেটে জিয়া ও আফিফের ১৫৫ রানের জুটিতে দলের স্কোর ছাড়ায় তিনশ। বুধবার জিয়া সেঞ্চুরি (১১২) করে ফেরার পরই বৃষ্টিতে আগেইভাগেই দিনের খেলা শেষ হয়ে গিয়েছিল। তৃতীয়দিনে ৮১ রানে অপরাজিত থাকা আফিফ শেষ দিনে সেঞ্চুরির সুযোগটা পেলেন না বৃষ্টির কারণে। সেঞ্চুরিয়ান জিয়াউর রহমান ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন। ফতুল্লায় ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর মধ্যেকার দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে ছিল ফলাফলের সম্ভাবনা। তৃতীয়দিন পযর্ন্ত খেলা গড়ালেও চতুথর্ দিনে পরাজয় মানতে হল বৈরি আবহাওয়ার কাছে। ম্যাচে ঢাকা মেট্টো ওপেনার সাদমান ইসলাম স্বরূপে ছিলেন। এবারের আসরে তুলে নিয়েছেন টানা দ্বিতীয় শতক। মাত্র ১১ রানের জন্য পাওয়া হয়নি ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক। একই দলের হয়ে জাতীয় দলের বাইরে থাকা স্পিনার আরাফাত সানির ৭ উইকেটও ম্যাচের প্রাপ্তি। ম্যাচ যদিও ফলহীন। প্রথম ইনিংসে ঢাকা বিভাগের ২০৬ রানের জবাবে ঢাকা মেট্রো করেছিল ২৮৭ রান। ১৮৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলা ঢাকা মেট্রোর ওপেনার সাদমান ইসলাম হয়েছেন ম্যাচসেরা। প্রথম ইনিংসে ৫৭ রানে ৭ উইকেট নেন ঢাকা মেট্রোর স্পিনার আরাফাত সানী। বুধবার তৃতীয়দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ঢাকা বিভাগের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৫০ রান। তিতলির কবলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কক্সবাজারে দ্বিতীয় স্তরের চট্টগ্রাম-সিলেট ম্যাচটি। প্রথমদিনের পর বাকি তিন দিনে একটি বলও গড়ায়নি মাঠে। চট্টগ্রামের ওপেনার সাদিকুর রহমানের সেঞ্চুরিই এ ম্যাচের উল্লেখযোগ্য দিক। আলোকস্বল্পতায় আগেভাগেই প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৮৭ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮২ রান করে চট্টগ্রাম। প্রথম দিনে সেঞ্চুরি করেন সাদিকুর রহমান (১০৬)। ইয়াসির আলীর ব্যাট থেকে আসে ৮৪ রান।