হারের দায় নিলেন হিয়েরো

কাতার বিশ্বকাপেও খেলতে চান রামোস!

প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
চার বছর বাদে যখন কাতারে বিশ্বকাপ খেলতে নামবে স্পেন, দলটির সোনালি প্রজন্মের কোনো ফুটবলারকে বুট পায়ে দেখা যাবে কি? বিশ্বকাপজয়ী তারকা আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জেরাডর্ পিকে, ডেভিড ডিলভা এবং পেপে রেইনা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, পরবতীর্ বিশ্বকাপে তারা থাকবেন দশর্ক সারিতে। শুধু সাজির্ও রামোস ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে খেলার আশা ছাড়েননি। কাজেই সোনালি প্রজন্মের একজন প্রতিনিধি দেখতে পারে স্পেন। কাতার বিশ্বকাপের সময় রিয়াল মাদ্রিদ সেন্টারব্যাক রামোসের বয়স হবে ৩৬। এমন বয়সে স্পেনের মতো দলে সুযোগ না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবুও দলের প্রয়োজনে পাকা দাড়ি নিয়েও মাঠে নামতে রাজি তিনি। রোববার মস্কোতে স্বাগতিক রাশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয়ার পর জাতীয় দলকে বিদায় বলে দেন ৩৪ বছর মিডফিল্ডার ইনিয়েস্তা। তার ক্লাব সতীথর্ ৩১ বছর বয়সী পিকে এখন অবসর না নিলেও কাতার বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। সোনালি প্রজন্মের আরেক মিডফিল্ডার ৩২ বছর বয়সী সিলভাও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৫৬ আন্তজাির্তক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রামোসের চিন্তাধারা অবশ্য ভিন্ন। রিয়াল মাদ্রিদ তারকা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ব্যথর্তা পরবতীর্ আসরে ভালো খেলতে প্রেরণা জোগাবে তাকে। এমনকি দলের প্রয়োজনে ২০২২ বিশ্বকাপে খেলতেও রাজি তিনি, ‘আমি আরও অনেকদিন খেলে যেতে চাই। বুকভরা ব্যথা নিয়ে আমি এই বিশ্বকাপ ছেড়ে যাচ্ছি। কাতার বিশ্বকাপে ধূসর দাড়িতে খেলতেও প্রস্তুত থাকব।’ স্পেনের জন্য সামনে উয়েফা নেশন্স লিগ চ্যালেঞ্জ, যা ২০২০ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই হিসেবেও কাজ করবে। কিন্তু স্পেন কি ফানাের্ন্দা হিয়েরোর ওপর ভরসা করবে? হুলেন লোপেতেগিকে বরখাস্ত করার পর বিশ্বকাপ শুরুর আগমুহূতের্ দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় তার কঁাধে। লা রোজাদের সাফল্য এনে দিতে পারলে হয়তো তার বিষয়ে কিছু ভাবতো স্প্যানিশ ফুটবল অ্যাসোসিশেয়ন (আরএফইএফ)। কিন্তু স্পেনের যাত্রা শেষ ষোলোতেই থেমে যাওয়ায় তার টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। যদিও বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি আরএফইএফ। অধিনায়ক রামোস অবশ্য হিয়েরোর প্রশংসাই করেছেন। এমনকি ফেডারেশন চাইলে তার অধীনে খেলতেও সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন রিয়াল তারকা, ‘আমরা আমাদের কোচকে নিয়ে গবির্ত। সংকটময় মুহূতের্ তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। আমাদের অবশ্যই তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। ফলাফল যাই হোক তিনি ভালো করেছেন। যদিও কোচ নিয়োগের বিষয়টি আমাদের ওপর নিভর্র করে না, তবে হিয়েরো থাকলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। অধিনায়ক হিসেবে আমি দলের কল্যাণই চাই।’ এদিকে, ফেভারিট হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে আসা স্পেনের অপ্রত্যাশিত বিদায়ের দায় নিজের কঁাধে তুলে নিয়েছেন হিয়েরো। দলের দায়িত্বে থাকা না থাকার প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে, চাকরি থাকা না থাকার বিষয়টি আমাকে একটুও ভাবাচ্ছে না। এটাকে এই মুহূতের্ গুরুত্বপূণর্ মনে করছি না আমি। আমাদের এখন একে অপরের দুঃখ ভাগাভাগি করতে হবে। কারণ, সোনালি প্রজন্মের অসাধারণ কিছু ফুটবলারদের নিয়ে আমরা অসাধারণ কিছু অজর্ন করতে চেয়েছিলাম। আমি প্রধান কোচ। তাই দায়টা আমারই।’