আবুধাবি টেস্ট

চালকের আসনে পাকিস্তান

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
মোহাম্মদ আব্বাস
পিটার সিডলের করা ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলটা মিড-অফে ঠেলেই দ্রæত প্রান্ত বদল করলেন ফখর জামান। সঙ্গে সঙ্গেই রেকডর্বুকে উঠে গেল তার নাম। প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখালেন এই বঁাহাতি। ফখর পর অধর্শত তুলে নিয়েছেন আজহার আলিও। তাদের কল্যাণে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ১৪৪ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ২৮১ রানে এগিয়ে থাকায় আবুধাবি টেস্টে চালকের আসনে বসে গেছে সরফরাজ আহমেদের দল। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৮২ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। এরপরও ১৩৭ রানের লিড পেল স্বাগতিকরা। সেটি সম্ভব হয়েছে পেসার মোহাম্মদ আব্বাসের বোলিং নৈপুণ্যে। পঁাচ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ১৪৫ রানে থামিয়ে দিয়েছেন তিনি। মাত্র ১০ টেস্টেই ৫০ উইকেট নেয়ার কীতির্ গড়ে ফেললেন আব্বাস। স্বদেশী পেসারদের মধ্যে কেবল ওয়াকার ইউনুস, সাব্বির আহমেদ আর মোহাম্মদ আসিফের রয়েছে এই অজর্ন। তবে পাকিস্তানের পক্ষে সবচেয়ে কম টেস্ট (৯) খেলে ৫০ উইকেট নেয়ার কীতির্টা লেগস্পিনার ইয়াসির শাহর। প্রথম দিনের শেষ বিকেলেই অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটসম্যানকে তুলে নিয়েছিলেন আব্বাস। এরপর দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই তিনি তুলে নেন শন মাশর্ (৩) আর ট্রভিস হেডকে (১৪)। খানিক বাদে ফেরেন মিচেল মাশর্ও (১৪)। তার উইকেটটি নেন ইয়াসির শাহ। অস্ট্রেলিয়ার বিপদ আরও বেড়ে যায় দলীয় ৮৫ রানে অ্যারন ফিঞ্চকে হারিয়ে। দারুণ খেলতে থাকা এই ওপেনার ব্যক্তিগত ৩৯ রানে বিলাল আসিফের বলে ফখরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর অধিনায়ক টিম পেইনকেও (৩) তুলে নেন বিলাল। এক শ’র আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শংকায় থাকা অস্ট্রেলিয়া আরও কিছুক্ষণ লড়াই করতে পেরেছে মারনাস ল্যাবুশানে আর মিচেল স্টাকের্র ব্যাটে। দলের পক্ষে তৃতীয় সবোর্চ্চ রান সংগ্রাহক ল্যাবুশানে (২৫) কাটা পড়েছেন রানআউটে। এরপর বিলালের তৃতীয় শিকার হয়ে দ্রæতই ফিরেছেন নাথান লায়ন (২)। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে স্টাকের্ক (৩৪) তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মত ইনিংসে পঁাচ উইকেটের দেখা পান আব্বাস। বোলারদের পর দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে এগিয়ে রেখেছেন ব্যাটসম্যানরা। যদিও শুরুটা ভালো ছিলনা তাদের। দলীয় ১৫ রানে স্টাকের্র শিকার হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ হাফিজ (৬)। এরপর আজহার আলীর সঙ্গে ৯১ রানের জুটি গড়েন ফখর। তুলে নেন টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। শেষতক ৮৩ বলে ৬৬ রান করে লায়নের বলে আউট হয়েছেন এই বঁাহাতি। বাকি সময়টা হারিস সোহেলকে নিয়ে নিবিের্ঘœই কাটিয়ে দিয়েছেন আজহার। যদিও ব্যক্তিগত ২ রানে একবার হারিসকে জীবন দান করেছে অস্ট্রেলিয়া। আজহার ৫৩ আর হারিজ ১৭ রানে অপরাজিত আছেন। পাকিস্তানের লিডটাকে আরও বড় করার লক্ষ্য নিয়ে আজ মাঠে নামবেন এই দুজন।