শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে গেল সাবিনাদের

ম ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ২৫ জুলাই ২০২১, ০০:০০

এএফসি নারী এশিয়ান কাপে কঠিন গ্রম্নপে পড়েছে বাংলাদেশ। গ্রম্নপ 'জি'তে লাল-সবুজের মেয়েদের প্রতিপক্ষ জর্ডান ও ইরানের শক্তিধর দল। তাদের বিপক্ষে স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের লড়াইটা ছিল কঠিন। তবে ঘরের মাঠে খেলতে পারলে অন্তত স্বাগতিক হওয়ার আত্মবিশ্বাস নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া যেত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি আর হচ্ছে না। যদিও কথা ছিল সেপ্টেম্বরে সিলেটে হবে বাংলাদেশের বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো। কিন্তু শুক্রবার এএফসি থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে আয়োজক হতে পারছে না বাংলাদেশ। ম্যাচগুলো হবে নিরপেক্ষ কোনো ভেনু্যতে। তাই লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে গেল সাবিনাদের।

সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে নিজেদের গ্রম্নপের আয়োজক হওয়ার জন্য এএফসির কাছে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এতে মৌখিক আশ্বাসও দিয়েছিল এএফসি। কিন্তু বাংলাদেশ তাদের বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো সিলেটে খেলতে চাইলেও বর্তমানে দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে এএফসি বাংলাদেশকে গ্রম্নপপর্বের আয়োজক দেশ হতে দিচ্ছে না। পাশাপাশি বাফুফেও করোনা মহামারিতে কোনোরকম ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক নয় বলে জানা যায়। শুক্রবার এএফসি বাফুফেকে জানিয়ে দিয়েছে, বাছাইপর্বে স্বাগতিক হিসেবে থাকছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে গ্রম্নপ 'জি'-এর দুই দেশ ইরান ও জর্ডানও থাকবে না স্বাগতিক দেশের তালিকায়। গ্রম্নপ 'জি'-এর বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেনু্যতেই অনুষ্ঠিত হবে। দুই-একদিনের মধ্যেই নিরপেক্ষ ভেনু্যর কথা জানিয়ে দেবে এএফসি। নিরপেক্ষ ভেনু্য হিসেবে এএফসির কাছে কাতারকেই বেশি পছন্দ। কাতার যদি সম্মত হয়, তাহলে সেপ্টেম্বরে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের গ্রম্নপ 'জি'-এর ম্যাচগুলো কাতারেই অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বছর এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বের আসর বসবে ভারতে। বাছাইপর্বে ২৮টি দল খেলবে আট গ্রম্নপে। এ, বি, সি এবং ডি-তে রয়েছে চারটি করে দল। আবার অন্য চারটি গ্রম্নপ অর্থাৎ গ্রম্নপ-ই, এফ, জি, এইচ-এ রয়েছে তিনটি করে দল। বাংলাদেশের গ্রম্নপে তিন দল। তবে তিন দল হলেও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ জর্ডান ও ইরান অনেক শক্তিধর। তাই এমনিতেই লাল-সবুজের মেয়েদের জন্য মূলপর্বে খেলাটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এখন লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে গেল সাবিনাদের জন্য। তবে নারী জাতীয় দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন আশাবাদী, দীর্ঘদিন পর যেহেতু মেয়েরা কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাচ্ছে। সেখানে নিজেদের সেরাটা দিয়েই ভালো কিছু করবে তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে