জিম্বাবুয়ে ফেভারিট: মাসাকাদজা

আমরা তাদের বিপক্ষে অসংখ্য ম্যাচ খেলেছি। অতএব এখনও আমাদের সুযোগ আছে। আর আপনি যদি ফেভারিটের ট্যাগের কথা বলেন, আমি এটা জিম্বাবুয়ের ওপরেই রাখব।

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যথর্ সফর শেষে বাংলাদেশে এসেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। ওই সফরে তিনটি ওয়ানডে, তিনটি টি২০ ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই হওয়া এই দলটির বাংলাদেশের বিপক্ষে নিকট অতীতে নেই কোনো সাফল্য। ২০১৪ সাল থেকে টেস্ট এবং ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে সব কটি ম্যাচে আত্মসমপর্ণ করেছে দলটি। এরপরও আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে নিজেদেরেই ফেভারিট মানছেন জিম্বাবুয়ে দলপতি হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। মাসাকাদজা জিম্বাবুয়েকে ফেভারটি বলছেন প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ তাদের খুব চেনা বলে। তবে এই চেনা প্রতিপক্ষের সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে সুখকর স্মৃতি নেই তাদের। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে টাইগারদের কাছে টানা ১১ ম্যাচ হেরেছে জিম্বাবুয়ে। ২০০১ সালের পর দেশের মাটিতে তাদের কাছে কোনো সিরিজ হারেনি স্বাগতিকরা। গত ২১ বছরে মুখোমুখি ৬৯ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৪১টিতে। সেখানে জিম্বাবুয়ের জয় ২৮টি। তারপরও বাংলাদেশ সফরে এসে স্বাগতিকদের বিপক্ষে আশা দেখছে জিম্বাবুয়ে। শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে ম্যাচপূবর্ সংবাদ সম্মেলনে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা বলেন, ‘আমি মনে করি গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ বেশ এগিয়েছে, বিশেষ করে ঘরের মাঠে। আমরা তাদের বিপক্ষে অসংখ্য ম্যাচ খেলেছি। অতএব এখনও আমাদের সুযোগ আছে। আর আপনি যদি ফেভারিটের ট্যাগের কথা বলেন, আমি এটা জিম্বাবুয়ের ওপরেই রাখব।’ সিরিজ জয়ের এই প্রত্যাশার পেছনে জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের যুক্তি আছে। বাংলাদেশের চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ে সেই শক্তি তাদের আছে বলেই এমন কিছু বলতে পারছেন। সফরকারী দলটির সিংহভাগই সিনিয়র খেলোয়াড় এবং যারা অভিজ্ঞতায় পূণর্। দলে ফিরেছেন সদ্য সমাপ্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে বাইরে থাকা সিকান্দার রাজাও। আর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামসহ অন্যান্য মাঠ তাদের কাছে চিরচেনা। এছাড়াও জিম্বাবুয়ে দলের আরেকটি বড় সুবিধা হলোÑ বতর্মান স্কোয়াডের ছয়জনই বাংলাদেশের ঘরোয়া টি২০ টুনাের্মন্ট বিপিএলে খেলেন। কাজেই মাঠের লড়াইয়ে একটি প্রতিপক্ষ সম্পকের্ যতখানি অবগত থাকা প্রয়োজন তারা তা পুরোপুরিই আছেন। মাসাকাদজা বললেন, ‘সবাইকে দলে পাওয়াটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি প্লাস পয়েন্ট এবং একটি ইতিবাচক দিকও বটে। যদিও ইনজুরির কারণে গ্রায়েম ক্রেমার নেই।’ মাসাকাদজা আরও বলেছেন, ‘এখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলেছে জিম্বাবুয়ে। আমরা এখানকার কন্ডিশন ও বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের সম্বন্ধে আমাদের ভালো জানা আছে। দল হিসাবে আমাদের ভালো সুযোগ আছে। আমি মনে করি, প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূণর্ একটি সিরিজ হবে।’ দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যথর্ সিরিজের পর বাংলাদেশে এসে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচটিও বাজেভাবে হেরেছে জিম্বাবুয়ে। মাসাকাদজা জানালেন, ওই হার থেকেই এখন অনুপ্রেরণা খুঁজছে তার দল, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ও গতকাল (শুক্রবার) প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা ভালো করতে পারিনি। আমাদের নজর এখন রোববারের ম্যাচের প্রতি। এই সিরিজে কী অজর্ন করতে পারি সে বিষয়ের প্রতিই এখন আমাদের মনোযোগ। এখান থেকেই আমরা উপরের দিকে যেতে পারি। ছেলেরা এটাই চাইছে। দলের সবাই ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী।’ বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে জিম্বাবুয়ে দল কী কী বিষয়ে নজর রাখছে বা সতকর্তা অবলম্বন করেছে জানতে চাইলে মাসাকাদজা বলেন, ‘উপমহাদেশের উইকেটে খেলতে নামলে অবশ্যই আপনাকে স্পিনারদের প্রতি নজর রাখতে হবে। এখানকার উইকেটে স্পিনের প্রভাব আছে। আমরা এর জন্য প্রস্তুত। বিষয়টি আমাদের মনে আছে।’ বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণে শীষের্ সাকিব আল হাসান এখন দলে নেই। তাই জিম্বাবুয়ে বিশেষ কোনো সুবিধার কথা চিন্তা করছে কিনা, উত্তরে অধিনায়ক বলেন, ‘মিরাজের বিপক্ষে আমি খুব কম খেলেছি। কিন্তু তাকে অনেকবার দেখেছি। তার সম্পকের্ আমাদের ধারণা আছে। আসল বিষয় হচ্ছে, আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে, নিজেদের উপর আস্থা রাখতে হবে। আমাদের স্পিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।’