শেরেবাংলার নিরাপত্তায় নতুন সংযোজন

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিপাক্ষিক সিরিজে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। ঢাকায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজ সামনে রেখে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ করা গেছে। দেশে অনুষ্ঠিত অন্য আন্তজাির্তক সিরিজে খেলোয়াড় ও দশর্কদের নিরাপত্তায় মাঠে নিয়োজিত থাকেন একাধিক শৃঙ্খলা বাহিনীর অসংখ্য সদস্য। তবে এবারের নিরাপত্তায় সংযোজন হয়েছে নতুন কিছু। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ পুলিশে সংযোজিত হয়েছে দুটি রিমোটির্ল অপারেটেড ভেহিক্যাল (আরওভি)। জামাির্নর বিখ্যাত টেলিম্যাক্স কোম্পানি থেকে যা কিনতে খরচ করতে হয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা। দুটির মধ্যে অত্যাধুনিক যন্ত্রটি শনিবার প্রথমবার নামানো হয় অভিযানে। মিরপুরে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ ঘিরে নিরাপত্তা মহড়ার মাধ্যমে কাজ শুরু করেছে টেলিরোব। যার দাম প্রায় ৫ কোটি টাকা। জামাির্নর একজন প্রশিক্ষক ১০দিন ধরে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের পাঁচ সদস্যকে আরওভি ব্যবহারে প্রশিক্ষিত করে তুলেছেন। দুপুরে হলো মহড়া। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বাউন্ডারি লাইন ধরে টেলিরোব প্রদক্ষিণ করেছে পুরো মাঠ। দুই কিলোমিটার দূর থেকে রিমোটের মাধ্যমে টেলিরোবকে পরিচালনা করা সম্ভব। এর চাকা চারটি। ঘণ্টায় গতি ছয় কিলোমিটার। দেখতে অনেকটা ট্যাঙ্কের বেল্টের মতো। সংযুক্ত রয়েছে আটটি বিশেষ ক্যামেরা। যেকোনো পরিস্থিতি বা জিম্মি সংকটকালে টেলিরোবের মাধ্যমে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে সংকট মোকাবেলায় কথা চালাচালি করা সম্ভব। সন্ত্রাসীদের ছবি তুলে আনার পাশাপাশি তাদের শরীর স্ক্যান করা যায়। চাইলে এতে অস্ত্র সংযোজনও করা সম্ভব। এটি ব্যবহারে বোমা নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে ঝঁুকির মাত্রা কিছুটা হলেও কমবে।