আমিরাতের টি২০ লিগ খেলতে চান সাকিব

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
আরব আমিরাতের নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি টি২০-এক্স টুনাের্মন্টে খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোডের্র (বিসিবি) কাছে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) চেয়েছেন সাকিব আল হাসান। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সাকিবকে অনাপত্তিপত্র দেয়ার বিষয়ে দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবেÑ ক্রিকইনফোকে এমনটাই বলেছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, ‘সাকিব টি২০ টুনাের্মন্টে খেলতে যাওয়ার জন্য অনাপত্তিপত্র চেয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেইনি। দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ ডিসেম্বরের ২৩ থেকে জানুয়ারির ১ তারিখ পযর্ন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি টি২০-এক্স আয়োজন করবে আরব আমিরাত। আবুধাবি, দুবাই ও শারজায় অনুষ্ঠিত হবে আমিরাত টি২০ লিগ। সাকিব তার আগে সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। আঙুলের চোটে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা হয়নি। তারপর থেকে মাঠের বাইরেই আছেন সাকিব। আরব আমিরাতে খেলতে প্রয়োজনে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজও খেলতে চান সাকিব। নিজেকে ফিট প্রমাণ করতে এই অলরাউন্ডার খেলতে চান আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজও। এরপর বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দুই টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩ ম্যাচের টি২০ সিরিজ শুরু হবে ২২ নভেম্বর। শেষ হবে ২২ ডিসেম্বর। মানে সাকিবের আমিরাতের লিগে খেলতে এমনিতে বাধা নেই। কিন্তু বাধা হলো তার চোট। আঙুলে পুঁজ জমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল সাকিবের। দেশের একটি হাসপাতালে পুঁজ বের করে অধিকতর চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে জানিয়েছেন আপাতত সাজাির্রর প্রয়োজন নেই। মাঠে ফেরা নিভর্র করছে সেরে ওঠার পর, যা দু-তিন মাসও লেগে যেতে পারে। জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলা হচ্ছেন না সে কারণে। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও তাকে পাওয়া যাবে কি না নিশ্চিত নয় বিসিবি। ক্যারিবীয় সিরিজের শেষভাবে তার মাঠে ফেরার সম্ভাবনা একটা থেকে যায়, যদি চোট পুনবার্সন দ্রæততম সময়ে ঘটে। আগামী রোববার বোডর্ মিটিংয়ে সাকিবের অনাপত্তিপত্র নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। খেলোয়াড়দের ঘন ঘন চোটে পড়ার প্রবণতায় বিভিন্ন টি২০ লিগে খেলতে দেয়া হবে কি না এরকম নানা বিষয়ে সেই সভায় সিদ্ধান্ত নেবেন বিসিবির কতার্রা। আগামী বছরই ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় উৎসব বিশ্বকাপ। তার আগে চোটগ্রস্ত আঙুল নিয়ে সাকিবের জন্য বিদেশি লিগে খেলাটা কতটা শোভনীয় হবে, সেই শঙ্কা থাকছেই। সবকিছু বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিসিবিকে। ২০১৯ বিশ্বকাপ পরিকল্পনার বিষয়ে গত রোববার এক বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবির কতার্রা। বৈঠকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাকিব-তামিমসহ চোটগ্রস্ত ক্রিকেটারদের চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চান বলে জানা গেছে। ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ শুরু হবে মে মাসে। তার আগে সাকিবকে নিয়ে বাংলাদেশের ভাবনাটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ ঘিরে। যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে খেলতে চান সাকিব, তাহলে তাকে মধ্য নভেম্বরের আগেই ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীণর্ হতে হবে। এদিকে ক্রিকেটবিষয়ক আরেকটি ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে সাকিবও জানিয়েছেন তার এনওসি আবেদনের কথা। নিজেকে পুরোপুরি ফিট করতে সম্ভাব্য সব অপশন খোলা রাখতে চান তিনি, ‘আমি যত দ্রæত পারি ফিটনেস ফিরে পেতে চাই। আমি সব দুয়ারই খোলা রাখতে চাই, যাতে করে প্রথম যেই সুযোগ আসুক সেটা লুফে নিতে পারি।’ সাকিব অবশ্য জানালেন সম্ভব হলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে রাজি তিনি। সেখানটাতেও রয়েছে অনিশ্চয়তা, ‘আমি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে চাই। যদি তা না হয় তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরতো রয়েছেই। এরপর আরব আমিরাতের টুনাের্মন্ট। এরপর বিপিএল আছে, নিউজিল্যান্ড সফর আছে।’