স্বল্প প্রস্তুতিতেও বড় আশা

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ছেলেদের সাফ অনূধ্বর্-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে আজ নেপাল যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। টুনাের্মন্টে সবের্শষ ২০১৫ আসরে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। নেপালে এবার লড়াইটা তাই শিরোপা পুনরুদ্ধারের। ‘এ’ গ্রæপে নেপাল এবং মালদ্বীপকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে বাংলাদেশ। সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে। তাছাড়া প্রস্তুতিটাও ভালো হয়নি। প্র্রস্তুতির জন্য তেমন সময় পায়নি দলটি। এরপরও বড় কিছুর আশা তাদের। কোচ মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ বাবু জানালেন, আপাতত সেমিফাইনালে খেলাই লক্ষ্য তাদের। জাতীয় ফুটবল দলের পারফরম্যান্স যেমনই হোক বয়সভিত্তিক দলগুলোর ফলাফল বরাবরই আশাব্যঞ্জক। সাফ অনূধ্বর্-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখেও তাই ভালো কিছুর আশা বাংলাদেশের। তবে দলের প্রস্তুতি ভালো হয়নি। খেলোয়াড় বাছাই প্রক্রিয়াতেই সময় কেটে গেছে। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে চ‚ড়ান্তভাবে বাছাই করা ৩৫ জনকে নিয়ে নীলফামারীতে দুই মাসের অনুশীলন ক্যাম্প হয়েছে। এরপরও কোচ পারভেজ বাবু বললেন, ‘আমাদের গ্রæপ পবের্ দুইটি ম্যাচ খেলতে হবে। আমাদের লক্ষ্য প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে জয় লাভ করা এবং সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা।’ মূলত ছেলেদের কোনো অনূধ্বর্-১৫ দলই ছিল না এবার। তাই ট্রায়ালের মাধ্যমে এই দলটি গড়ে নীলফামারীতে দুই মাসের ক্যাম্পের ব্যবস্থা করেছিল বাফুফে। মাত্র দ্’ুমাসের প্রস্তুতি অবশ্যই তেমন কিছুই না। তবে দলের ফুটবলারদের কঠোর পরিশ্রমে ভরসা রাখছেন দলের কোচ। তাই সাফে ভালো ফলাফল আশা করছেন তিনি, ‘ছেলেরা নিজেদের মধ্যে আটটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। আমাদের দলে বিকেএসপির ১০ জন ফুটবলার রয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন সাভার বিকেএসপি, ৫ জন খুলনা এবং দ্’ুজন সিলেট বিকেএসপির। আর অল্প কয়েকজনের পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।’ যেখানে মেয়েরা দীঘের্ময়াদি ট্রেনিং করার সুযোগ পাচ্ছে, সেখানে ছেলে ফুটবলাররা সাফে খেলতে যাচ্ছে মাত্র দু’মাসের প্রস্তুতি নিয়ে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানান, ছেলেরা নেপাল থেকে ফিরে আসলে তাদের দীঘের্ময়াদি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।