ড্রাফটের আগেই চিটাগংয়ে মুশফিক

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে খেলবেন জাতীয় দলের নিভর্রযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম Ñফাইল ছবি
গতবারের দল রাজশাহী কিংস ধরে রাখেনি তাকে। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের প্লেয়ার ড্রাফটের আগেরদিন পযর্ন্ত মুশফিকুর রহিম ছিলেন দলহীন। ফলে রোববার অনুষ্ঠিত প্লেয়ার ড্রাফটের মূল আকষর্ণ ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। তবে ড্রাফট শুরুর আগেই জানিয়ে দেয়া হয়Ñ ‘এ-প্লাস’ ক্যাটাগরিতে থাকা এই ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। একজনের বেশি ‘এ-প্লাস’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার দলে নেয়ার নিয়ম নেই বিপিএলে। চিটাগং ভাইকিংস ছাড়া ষষ্ঠ বিপিএলে অংশ নিতে যাওয়া অন্য ছয়টি দলই এই ক্যাটাগরির একজন করে ক্রিকেটার নেয়া হয়ে গিয়েছিল আগেই। একেবারে শেষ মুহ‚তের্ এসে চিটাগংও শূন্যস্থান পূরণ করেছে, ‘এ-প্লাস’ ক্যাটাগরির জন্য পূবির্নধাির্রত ৭৫ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিকে মুশফিককে দলে নিয়েছে। যে কারণে ড্রাফটে ওঠেনি এই কিপার-ব্যাটসম্যানের নাম। বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী একজন ‘এ-প্লাস’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়সহ আগের বছরে খেলা দল থেকে সবোর্চ্চ চারজন খেলোয়াড় ধরে রাখার সুযোগ পেয়েছিল দলগুলো। তার সঙ্গে এবার ড্রাফটের বাইরে থাকা দুজন খেলোয়াড়কে নিজেদের উদ্যোগে দলে নেয়ার সুযোগ দেয় কতৃর্পক্ষ। সব মিলে তাই ড্রাফটের আগেই ৬ জন ক্রিকেটার নিশ্চিত করতে পারত দলগুলো। চিটাগং ভাইকিংসও সেই ছয়জন ঠিক করে ফেলেছিল। শেষ মুহ‚তের্ মুশফিককে নেয়ায় তাদের একজনকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। কোপটা পড়েছে আফগান ক্রিকেটার নাজিবুল্লাহ জাদরানের ওপর। আন্তজাির্তক ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন মুশফিক। সব ফরম্যাটেই দলের সফল ব্যাটসম্যানদের অন্যতম তিনি। তবে গত বিপিএলে ভালো করতে পারেননি। রাজশাহী কিংসের হয়ে ১২ ম্যাচে একবারই হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন। ১৮.৫০ গড়ে করেছিলেন ১৮৫ রান। রাজশাহী তাকে ছেড়ে দিয়েছে এর পেছনে অন্যতম কারণ এটা। তাছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান এবার ‘এ-প্লাস’ ক্যাটাগরিতে থাকায় নিয়ম অনুযায়ী দুজনের মধ্যে একজনকে ছেড়ে দিতেই হতো। মুস্তাফিজকে ধরে রেখে শেষতক মুশফিককেই ছেড়ে দেয় রাজশাহী। অবশেষে সেই মুশফিক এখন চিটাগং ভাইকিংসে।