ফেডারেশন কাপ

চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর শুভসূচনা

ঢাকা আবাহনী ১-০ মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
মৌসুমসূচক টুনাের্মন্ট ফেডারেশন কাপের বতর্মান চ্যাম্পিয়ন তারা। এবার তাই ঢাকা আবাহনীর সামনে শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জের শুরুটা খুব ভালো হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির, তেমনটা বলা যাবে না। তবে কষ্টে হলেও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে তারা। দীঘর্ ১০ বছর পর ঢাকা আবাহনীতে ফিরেছেন মামুনুল ইসলাম। দেশসেরা মিডফিল্ডার তিনি। একটা সময় জাতীয় দলেরও অধিনায়ক ছিলেন। এখন অবশ্য সেই সুসময় নেই। তবে মামুনুল এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, ফুটবলকে দেয়ার মতো আরও অনেক কিছুই বাকি আছে তার মধ্যে। একদশক পর ঢাকা আবাহনীতে ফিরেই তিনি দলের জয়ের নায়ক। তার একমাত্র গোলেই জয় দেখেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রæপের প্রথম ম্যাচে শুরু থেকে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়েছিল ঢাকা আবাহনী। তবে বিরতির আগে তেমন সুযোগ পায়নি তারা। প্রথমাধের্ আবাহনীর বলার মতো সুযোগ একটাই। ৩৫ মিনিটে হাইতির স্ট্রাইকার কেরভেন্স বেলফোটের্র পাস বক্সের ভেতরে পেলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি নাইজেরিয়ান ফরোয়াডর্ সানডে সিজোবা। এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়ার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাও। কিন্তু সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। ৪৩ মিনিটে জাপানি মিডফিল্ডার ইয়োসুকে কাতোর পাস থেকে দারুণ জায়গায় বল পেয়েছিলেন মুক্তির আইভরিয়ান ফরোয়াডর্ বাল্লো ফামুসা। শটও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্ত তার শটে বল ক্রসবার উঁচিয়ে বাইরে চলে যায়। হতাশায় ডোবে মুক্তিযোদ্ধা শিবির। বিরতির পর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে লড়াই। ৪৭ মিনিটে আবাহনীর দক্ষিণ কোরিয়ান মিডফিল্ডার মিন হিয়ক কো’র শট চলে যায় সাইডবার ঘেঁষে। পরের মিনিটে মুক্তিযোদ্ধার মিডফিল্ডার মোহাম্মদ সোহেলের জোরালো শট বাধা পায় পোস্টে। ম্যাচটা এমন হতাশাই উপহার দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাকে। সব থেকে বেশি হতাশ করেছেন মামুনুল। দারুণ এক গোলে ম্যাচে ব্যবধান গড়েছেন তিনিই। আবাহনীর জয়সূচক গোলের জন্ম ৬৩ মিনিট। বেলফোটের্র লব থেকে সানডের হেডে বক্সে বল পেয়ে যান মামুনুল। অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডারের বাঁ পায়ের দুরন্ত ভলি আশ্রয় নেয় মুক্তিযোদ্ধার জালে (১-০)। এরপর ব্যবধান বাড়ানোর দুটো চমৎকার সুযোগ পেয়েছিল ঢাকা আবাহনী। কিন্তু বেলফোটর্ এবং নাবিব নেওয়াজ জীবনের ব্যথর্তায় সুযোগগুলো কাজে লাগেনি। সেটা নিয়ে এখন অবশ্য আর আক্ষেপ নেই আবাহনীর। জয়ে শুভসূচনা করতে পেরেই দলটি খুশি। দলের জয়ে মূল্যবান গোল করে ভীষণ খুশি মামুনুলও। ম্যাচসেরা হয়েছেন। এরপর বলেছেন, ‘১০ বছর পর আবাহনীতে ফিরেই গোল করে খুব ভালো লাগছে। গোলটার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান সানডের। সামনে আরও ভালো খেলতে চাই।’