স্পিন সামলানোই জিম্বাবুয়ের চ্যালেঞ্জ

তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ আজ শুরু

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
দুদার্ন্ত কেটেছে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ। এবার টেস্ট সিরিজে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পালা টাইগারদের সামনে। সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি ম্যাচে সুযোগ দেয়া হয়েছে বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটারকে। ‘এ’ দল এবং এইচপি স্কোয়াডে ভালো করা ক্রিকেটাররা সুযোগ পেয়েছেন প্রস্তুতি ম্যাচের দলের। টেস্ট সিরিজের আগে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ আজ শুরু হচ্ছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। প্রস্তুতি ম্যাচটিকেই বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বিসিবি একাদশের খেলোয়াড়রা। অপরদিকে জিম্বাবুয়ের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ টাইগারদের স্পিন আক্রমণ। বাংলাদেশের কন্ডিশনটা স্পিনের জন্য ভালো বলেও জানিয়েছেন জিম্বাবুয়ে দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর। চোটের কারণে খেলছেন না সাকিব আল হাসান। তারপরও টাইগারদের স্পিন নিয়ে ভাবনায় জিম্বাবুয়ে দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর। প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের হয়ে খেলবেন ওয়ানডে দলের ফজলে রাব্বি, নাজমুল হোসেন শান্ত, রুবেল হোসেন ও আবু হায়দার রনির। এছাড়াও কিছুটা চমক দিয়ে এই দলে ডাক পেয়েছেন পেসার শাহাদাত হোসেন রাজীব। দলের বাকি সদস্যরা হলেন, মিজানুর রহমান, জাকির হোসেন, মোসাদ্দেক, আরিফুল হক, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান ও ইবাদত হোসেন। অনুশীলন ম্যাচ সামনে রেখে বিসিবি একাদশ অনুশীলন না করলেও পুরোদমে অনুশীলন করেছে অতিথিরা। রোববার সকাল থেকে তিন বিভাগে অনুশীলন করেছে তারা। টেস্ট ক্রিকেটে পেসারদের মধ্যে এখনো বাংলাদেশের দ্বিতীয় সবোর্চ্চ উইকেট শিকারি শাহাদাত হোসেন রাজীবের লক্ষ্য জহুর আহমেদে চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করে আলো ছড়ানো। জাতীয় দলে ফেরার রাস্তা প্রশস্ত করতে এবার প্রমাণ করার পালা আরও বড় মঞ্চে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনদিনের ম্যাচে। শাহাদাত হোসেন রাজীব রোববার জানান, ‘যখন জাতীয় লিগে খেলছিলাম, প্রথম ম্যাচেই আমার মনে হয়েছে টেস্ট ম্যাচ খেলছি। নিজের মাঝে এমন পরিবেশ তৈরি করছি যেন টেস্টই খেলছি। যদি টেস্টে সুযোগ আসে তাহলে যেন আন্তজাির্তক ম্যাচের যে চাপ সেটা মনে না হয়। তিন বছর পরও যেন আগের জায়গাতেই থাকতে পারি। চাই না কোনো চাপ নিতে। তবে হ্যঁা, প্রস্তুতি ম্যাচ আমার জন্য একটা টেস্ট ম্যাচ।’ রাজীব বলেন, ‘মন থেকে চাইছি সবচেয়ে বেশি উইকেট পেতে। বোলিংয়ের স্পেল দেখে যেন বলতে পারে শাহাদাত হোসেন আসছে। অনেকে আসে-যায়, খেলে, আমি ওরকমভাবে খেলতে চাই না। যতদিন খেলব বাঘের মতো খেলব। আমি যে কষ্ট করে যাচ্ছি সেটা সবাই দেখছে। কোনো ফাস্ট বোলার এমন পরিশ্রম করেছে কি না আমি জানি না!’ রোববার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে টেলর বললেন, ‘বাংলাদেশের যে জিনিসটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য, সেটি হলো স্পিন। ওদের (বাংলাদেশ) স্পিনারদের যেন আমরা ঠিকমতো খেলতে পারি সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের কয়েকজন দারুণ স্পিনার আছে। আর এই কন্ডিশনটাও তো স্পিনের জন্য ভালো।’ ‘তবে আমার বিশ্বাস আমাদের ব্যাটসম্যানরা চ্যালেঞ্জটা নেয়ার জন্য টেকনিক্যালি ও মানসিকভাবে প্রস্তুত। আমাদের বোলারদেরও বাংলাদেশের ২০ উইকেট নিতে হবে। বাংলাদেশ এই কন্ডিশনে নিজেদের সামথ্যর্ প্রমাণ করেছে আগেই, বেশ সফল ওরা। আশা করি আমাদের খেলোয়াড়রা এমনকিছু একটা করবে, যাতে ম্যাচের শেষপযর্ন্ত ফলটা যেকোনো পক্ষেই যেতে পারে।’ ‘সব খেলোয়াড়ের দীঘর্ ফরম্যাটের জন্য নিজেদের তৈরি করে নেয়ার একটা ভালো সুযোগ এটা। টেস্টের আগে আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই, তিনদিনের একটা ম্যাচ পেয়েছি আমরা। সেটার সবোর্চ্চ ব্যবহার করতে হবে আমাদের।’