আবাহনীকে নিয়ে কোয়াটাের্র রাসেল

প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
গোলের পর শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের ফুটবলারদের উচ্ছ¡াস। বুধবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের কোয়াটার্র ফাইনালে উঠেছে তারা Ñসৌজন্য
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে ২-০ গোলে হারিয়ে মৌসুমসুচক টুনাের্মন্ট ফেডারেশন কাপের কোয়াটার্র ফাইনালে উঠেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। টানা দুই হারে আসর থেকে বিদায় নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা। তাতে শেষ আটে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে ‘সি’ গ্রæপের আরেক দল ঢাকা আবাহনীরও। ১৩ দলের ফেডারেশন কাপের তিন গ্রæপে তিনটি করে দল খেলছে, একটি গ্রæপে আছে চারটি দল। যে গ্রæপগুলোতে তিনটি দল, সেখানে কোনো দল একটি ম্যাচ হারলেই মহাবিপাকে পড়ে যাচ্ছে। ‘সি’ গ্রæপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর কাছে ১-০ গোলে হেরে তেমন বিপাকেই ছিল মুক্তিযোদ্ধা। শেষ আটের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে বুধবার শেখ রাসেলের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল তাদের জন্য বঁাচা-মরার। তাই মুক্তিযোদ্ধার ওপর প্রবল চাপ ছিল। তবে নিভার্র ছিল না প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা শেখ রাসেলও। বাঁচা-মরার এই ম্যাচে প্রথমাধের্ বেশ কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করেছিল মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ব্যথর্তার দায়ভার দলটির আক্রমণ ভাগেরই বেশি। ২৪ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন কোরিয়ান মিডফিল্ডার ইউসুকি কাতু। ডান প্রান্ত থেকে নিচু করে ক্রস বাড়ান বাল্লু ফেমাসাস। বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে শট করেছিলেন কাতু। কিন্তু গোলমুখে শেখ রাসেলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি তিনি। তার শট রুখে দেন রানা। ৩৯ মিনিটে গোলের আরও একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে মুক্তিযোদ্ধা। এবার ডান প্রান্ত দিয়ে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ভেতরে ঢুকে জোরালো শট নেন বাল্লু নিজেই। কিন্তু তার শট ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়। মিনিট তিনেক পর এই বাল্লুই আরেকটি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন কাতুকে। কিন্তু এই কোরিয়ানের শটে জোর ছিল না। অতি সহজেই বল গ্রিপ করেছেন গোলরক্ষক রানা। তবে ৭১ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেনি শেখ রাসেল। মুক্তিযোদ্ধার দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন রাফায়েল। এরপর কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। লিড ধরে রেখে জয়ের পথেও এগিয়ে যায় দলটি। এরপর ইনজুরি সময়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়াডর্ অ্যালেক্স গোল করলে ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল। ওই জয়ে এখন শেষ আটে তারা। টানা দুই হারে গ্রæপ থেকেই বিদায় মুক্তির।