শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রস্তুতি ম্যাচ

আয়ারল্যান্ডের সঙ্গেও পারল না বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১৫ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
টি২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন টাইগার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান -ওয়েবসাইট

আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি নিয়ে ওমানে গেলেও ক্রিকেটের শর্টার ফরম্যাটের বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। প্রস্তুতি ম্যাচে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে চার উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী দল আয়ারল্যান্ডের কাছে ৩৩ রানে হারল লিটনরা।

বৃহস্পতিবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদের পিটিয়ে ঝড় তুললেন গ্যারেথ ডেনলি। এতে বড় সংগ্রহ তুলে নেয় আইরিশরা। ডেনলির ৫০ বলে ৮৮ রানে ভর করে ১৭৭ রান করে আইরিশরা। জবাবে ১৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত করতে পেরেছে ১৪৪ রান। বাংলাদেশের হয়ে সোহান ৩৮ ও সৌম্য করেন ৩৭ রান।

রান তাড়ায় চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবেছে বাংলাদেশ। দুই অঙ্কে পৌঁছেছেন মাত্র চারজন। এর মধ্যে বলার মতো রান করেছেন কেবল সৌম্য সরকার ও নুরুল হাসান সোহান।

প্রথম ওভারে চার বলে তিন রান করে ফিরে যান নাঈম শেখ। এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা লিটন দাস পরের ওভারেই হয়ে যান বোল্ড। মাত্র পাঁচ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। খাদের কিনারে পড়া অবস্থায় নেমে নিজের বাজে ফর্মের চক্র থেকে বেরুতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। রান খরায় থাকা অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান চার বলে চার রান করে বোল্ড হয়ে যান। দলের ১৫ রানেই তাই পড়ে যায় তিন উইকেট।

তিনে নামা সৌম্য সরকারই খেলছিলেন জুতসই। থিতু হয়ে তিনিই বাড়াতে থাকেন রান। তার সঙ্গে যোগ দিয়ে বেশিক্ষণ টেকা হয়নি আফিফ হোসেনের। ১৬ বলে ১৭ করা আফিফ থামেন বেঞ্জামিন হোয়াইটের বলে। পরে সোহানকে নিয়ে আরেকটি জুটি পান সৌম্য। তিনি এগুচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। তবে ৩০ বলে ৩৭ করে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে শেষ হয় তার ইনিংস।

সোহান অবশ্য বাকিটা সময় একাই বাড়িয়েছেন দলের রান। মার্ক অ্যাডাইয়ারের বলে ফেরার আগে ২৪ বলে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ রান। ১৭তম ওভারে তার বিদায়ে কার্যত শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের জেতার সম্ভাবনা। রান পাননি শেখ মেহেদী হাসান, শামীম পাটোয়ারির মতো তরুণরাও। শেষ দিকে তাসকিন আহমেদ (১১ বলে ১৪) কিছুটা রান আনলে দেড়শোর কাছে যায় বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে বল করতে নেমে আইরিশ ওপেনারদের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশের বোলিং। স্টার্লিং শুরুতেই ঝড় তোলেন। অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বিলবার্নিও মেলান তাল। পাঁচ চারে ১৬ বলে ২২ করে স্টার্লিং ফেরেন নাসুমের বলে। ২২ বলে ২৫ করা বিলবার্নিকে বোল্ড করে দেন তাসকিন। জর্জ ডকরেলকেও শিকার ধরেন তিনি। তবে এরপর আর সাফল্য আসেনি। হ্যারি টেক্টরকে নিয়ে ৯৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে বড় পুঁজিতে নিয়ে যান ডেলনি। টেক্টর কিছুটা মন্থর (২৩ বলে ২৩) থাকলেও ছক্কার বৃষ্টিতে তা পুষিয়ে ডেলনি পাইয়ে দেন বড় রান। এই ডানহাতি শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে আট ছক্কায় ৮৮ করে গড়ে দেন দুই দলের মধ্যে তফাৎ।

বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে ভালো বল করেছেন তাসকিন। এই গতিময় পেসার চার ওভারে কেবল ২৬ রান দিয়ে পেয়েছেন দুই উইকেট। অফস্পিনার শেখ মেহেদী উইকেট না পেলেও তিন ওভারে দেন মাত্র ১৫ রান। অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকার দুই ওভারে দেন কেবল ১৩ রান।

তবে বাকি তিন বোলারই ছিলেন বিবর্ণ, খরুচে। আইপিএল থেকে ফিরে মুস্তাফিজ প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ না খেললেও এই ম্যাচে নেমে তিনি ওভারপ্রতি ১০ করে রান বিলিয়েছেন। মুস্তাফিজের চার ওভার থেকে ৪০ রান নিয়ে নেয় আইরিশরা। প্রথম ওভারে উইকেট পেলেও বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ করেছেন হতাশ। তিন ওভারেই তিনি দিয়েছেন ৩৩ রান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে