ঐতিহ্যের ঘণ্টা বাজাবেন আকরাম

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ক্রিকেটের মক্কাখ্যাত লডর্স গ্রাউন্ডে টেস্ট শুরুর আগে ঘণ্টা বাজানোর রীতি একযুগের। কলকাতার ইডেন গাডের্নও সেটি অনুসরণ করছে ২০১৬ সাল থেকে। ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক কপিল দেবের হাতে বেজেছে স্টেডিয়ামটির প্রথম ঘণ্টা। টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা সিলেট আন্তজাির্তক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ শুরুর আগেও বাজবে ঘণ্টা। সেই ঘণ্টা বাজাবেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান। সিলেট আন্তজাির্তক স্টেডিয়ামটি যেন সৌন্দযের্র আধার। দেশের অষ্টম টেস্ট ভেন্যু হিসেবে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছে এই স্টেডিয়াম। শনিবার নতুন যুগ শুরু করবে লাক্কাতুরার নয়নাভিরাম স্টেডিয়ামটি। সিলেট আন্তজাির্তক স্টেডিয়ামে শনিবার বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের আগে বাজবে ‘ফাইভ মিনিট বেল’। স্টেডিয়ামটির টেস্ট অভিষেকের মঞ্চে ঘণ্টা বাজানোর সম্মান পাচ্ছেন ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিজয়ী দলের অধিনায়ক আকরাম খান। বিসিবি পরিচালক ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান জিম্বাবুয়ে সিরিজে টাইগারদের ম্যানেজারের দায়িত্ব পাওয়ায় আছেন দলের সঙ্গেই। তিনিই বাজাবেন গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের সামনে ঝোলানো ১৮ ইঞ্চি উচ্চতার ভারী ঘণ্টাটি। বিসিবির পরিচালক ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জানান, ‘শুধু অভিষেক টেস্ট বলেই নয়, এখানে টেস্ট ম্যাচ হলেই ঘণ্টা বাজবে। ক্রিকেটের এই রীতিটি আমরা অনুসরণ করবো।’ ‘দ্য ফাইভ মিনিট বেল’ নামে পরিচিত ঘণ্টা প্রতিদিন খেলা শুরুর পাঁচ মিনিট আগে বাজানো হয়। বিরতির সময় নিয়ে খেলোয়াড়দের সতকর্ করতেও বাজানো হয় এটি। নতুন রংয়ে সাজছে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা সিলেট আন্তজাির্তক স্টেডিয়াম। সিলেট আন্তজাির্তক ক্রিকেট স্টেডিয়াম টেস্ট ম্যাচে অভিষিক্ত হওয়ার দিনটি বণির্ল করে রাখতে ব্যতিক্রমী আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোডর্ (বিসিবি)। অভিষেক ম্যাচ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণীয়কায় সিলেটের ক্রিকেটের ইতিহাস, ঐতিহ্যসহ নানা বিষয় নিয়ে বিশেষ প্রকাশনা থাকছে। এছাড়া টসে খেলার স্মারক কয়েন করা হয়েছে। যেটা দিয়ে ম্যাচের টস হবে। এছাড়া উভয় দলের ক্রিকেটার, কমর্কতার্ ও সাংবাদিকদের জন্য থাকছে বিশেষ স্মারক। অভিষেক টেস্টে দশর্কদের ক্রয় করা টিকিটটাও একটা ‘স্মারক’। স্টেডিয়ামের দশর্ক ধারণক্ষমতা ১৮ হাজার। অভিষেক টেস্ট ম্যাচকে ঘিরে দুদিন ধরে প্রচারণা। অভিষেক টেস্টে সিলেটের সাবেক টেস্ট খেলোয়াড়দের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ঢাকা থেকে সিলেট পৌঁছেছেন আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক শফিউল হক হীরা। এছাড়াও হাসিবুল হোসেন শান্ত, এনামুল হক জুনিয়র, রাজিন সালেহ, আবুল হাসান রাজু থাকবেন উদ্বোধনী মঞ্চে। উপস্থিত থাকতে পারবেন না অলক কাপালি। ইনজুরিতে থাকায় নাজমুল ইসলাম আসতে পারছে না। তাপস বৈশ্য মাকির্নমুলুকে পাড়ি জমানোয় থাকতে পারছেন না নিজ শহরে। সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে-সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অধীনে একটি ক্রিকেট একাডেমি কাযর্ক্রম শুরু হচ্ছে। বিভাগের ৪ জেলায় ক্রিকেটার হান্টিং শেষ হয়েছে। তাদের নিয়ে এক মাসের ক্যাম্প হবে। শনিবার বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অধীনে ক্রিকেট একাডেমির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সৌন্দযর্, আবাসন ব্যবস্থা ও যোগাযোগর দিক দিয়ে সিলেট আন্তজাির্তক ক্রিকেট স্টেডিয়াম অনেক এগিয়ে। এই ভেন্যুর প্রতি বিসিবির আন্তরিকতা আছে বলে দাবি সিলেট ক্রীড়া সংস্থার। তারা আশা করছে, প্রতি সিরিজেই এখানে ম্যাচ থাকবে। তবে যতো বেশি ভেন্যুতে খেলা হবে, ততোই স্থানীয় পযাের্য় ক্রিকেটের জন্য উপকার হবে। স্টেডিয়ামটি ২০০৭ সালে নিমির্ত হয়। এটি বতর্মানে ক্রিকেটের জন্য ব্যবহৃত হয়। ক্রিকেটের অধীনে যাওয়ার আগে এখানে ফুটবল খেলাও অনুষ্ঠিত হতো। ৬১৫ ফুট দৈঘ্যর্ ৪৮৫ ফুট প্রস্থ নিয়ে এই ক্রিকেট মাঠটি দেশের অন্যতম বড় একটি মাঠ। সবুজ পাহাড়টিলা আর নয়নাভিরাম চা বাগানের মনোরম পরিবেশ বেষ্টিত এই স্টেডিয়ামটি সিলেট আন্তজাির্তক বিমানবন্দর থেকে স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত।