সুস্থ হয়ে বঁাচার স্বপ্ন চামেলীর

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

রাজশাহী অফিস
উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার রাজশাহী থেকে ঢাকা আনা হয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় চামেলী খাতুনকে Ñযাযাদি
পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে ও মেরুদÐের দুই হাড়ের ডিস্ক নষ্ট হয়ে মৃত্যুশয্যায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অলরাউন্ডার চামেলী খাতুন। তিনি বঁাচতে চান, সুস্থ হয়ে আবার ফিরতে চান ক্রিকেটে। চামেলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী থেকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের তত্ত¡াবধানে আকাশ পথে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। চামেলীর সঙ্গে তার বোন, দুলাভাই, ভাবি ও জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেট গেছেন। এছাড়া বাড়ি থেকে বিমানবন্দর নেয়া পযর্ন্ত তাদের সঙ্গে রাজশাহীর একজন আনসার সদস্য ছিলেন। ঢাকায় আলাদা আরেকজন আনসার সদস্য চামেলীর সঙ্গে সাবর্ক্ষণিক থাকবেন। রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চামেলীর চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। তার নিদের্শনা মোতাবেক চামেলীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোডর্ (বিসিবি) তাকে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা করাবে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে। দেশে তার চিকিৎসা সম্ভব না হলে বিদেশে পাঠানো হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। বিমানে ওঠার আগে চামেলী বলেন, ‘আমার কথা হয়তো সবাই ভুলেই গিয়েছিলেন। আমিও সেভাবে কাউকে কিছু জানাতে পারিনি। মিডিয়ার কারণে সবাই জানতে পেরেছেন। প্রধানমন্ত্রী আমার দায়িত্ব নিয়েছেন। এখনই মানসিক সুস্থতা অনুভব করছি। শারীরিক সুস্থতাও হয়তো পেয়ে যাব। সম্ভব হলে দেশের হয়ে আবার খেলব।’ নারী ক্রিকেটার চামেলীর বাড়ি রাজশাহী নগরীর দরগাপাড়া এলাকায়। ২০১১ সালে জিম করার সময় পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেলে চামেলী জাতীয় দল থেকে অবসর নেন। তবে আনসারের চাকরি চালিয়ে যান তিনি। কিন্তু লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পাশাপাশি চামেলীর মেরুদÐের দুই হাড়ের ফঁাকে থাকা নরম ডিস্কগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তার শরীরের পুরো ডান পাশ অবশ হয়ে যাচ্ছে। আথির্ক অনটনে প্রায় আট বছর ধরে প্রায় বিনা চিকিৎসায় ধুঁকছিলেন এক সময়ের মাঠ কঁাপানো এই অলরাউন্ডার। গত এক মাস ধরে বিছানগত হয়ে পড়েন। খবরটি গণমাধ্যমে এলে তার পাশে দঁাড়ানোর ঘোষণা দেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মুসফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন। এছাড়াও চামেলীর বাড়িতে ছুটে যান রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বিসিবি পরিচালক স্বপন চৌধুরীসহ অনেকেই। মেয়র ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা আথির্ক সহায়তাও পান চামেলী। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে পড়েন চামেলী। এখন উন্নত চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বঁাচার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। ১৯৯৯ থেকে ২০১১ সাল পযর্ন্ত বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন চামেলী খাতুন। শুধু ক্রিকেটেই নয় সমান তালে ফুটবলও খেলেছেন।