আজকের যায়যায়দিন

প্রায় চলিস্নশ বছর আগের কথা। ১৯৮৪ সালের ৬ এপ্রিল পাকিস্তান-শ্রীলংকা ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু শারজাহ স্টেডিয়ামের। এরপর থেকে ওয়ানডে ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় ভেনু্যতে পরিণত হয় এই মাঠ। ২৬ বছর পর শারজাহর নস্টালজিয়ায় ডুবেছে বাংলাদেশ। টি২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে শারজাহ মাঠে নামে বাংলাদেশ।

১৯৯০ সালে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। ১৯৯৫ সালের এশিয়া কাপে শেষবার এখানে খেলেছিল তারা। সব মিলিয়ে নব্বইয়ের দশকে পাঁচটি ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। সবকটিই হেরেছিল। তবে এবারই প্রথম টি২০ খেলতে নামে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

তিন ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ২৬৬ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এই শারজাহ স্টেডিয়ামে। কেবল শতবর্ষী সিডনি (২৭৭) ও মেলবোর্ন (২৭৫) তাদের চেয়ে ম্যাচ আয়োজনে এগিয়ে আছে। তবে ওয়ানডে আয়োজনে (২৪০) শীর্ষে শারজাহ।

১৯৯০ সালে বাংলাদেশ প্রথমবার এই মাঠে খেলতে নামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ওপেনার আজহার হোসেনের ব্যাটে দেখা মেলে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ফিফটির। ওই টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১ রানে ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৫ সালে পেপসি এশিয়া কাপে আরও তিনটি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি ভারত, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের বিপক্ষেই ম্যাচগুলো খেলে বাংলাদেশ। যেখানে বাংলাদেশের হারের ব্যবধানও বিশাল। ভারতের কাছে ৯ উইকেটে, শ্রীলংকার কাছে ১০৭ রানে ও পাকিস্তান ৬ উইকেটে হারায় বাংলাদেশকে।

প্রতিশোধের ম্যাচেও আবাহনীর কাছে হারল শেখ জামাল

২৬ বছরে সময় অনেক পাল্টেছে। এসেছে নতুনের জয়গান। বাংলাদেশ ক্রিকেটও এখন ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি। এবার শারজাহয় নতুনের জয়গানে জয়ের খাতা খুলবে এমনটাই প্রত্যাশা কোটি ক্রিকেট ভক্তের।