কোচের সমথর্ন পাচ্ছেন মুমিনুল-শান্ত

জাতীয় দলের যারা জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলেছে তাদের মধ্যে শান্ত ১৮০ করেছে, লিটন দুশো করেছে, মুমিনুল সেঞ্চুরি করেছে, আরিফুল ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। কাজেই তারাই অনেক রান করেছে। যাদের কথা বললেন (তুষার ইমরান) তাদের চেয়ে বেশি রান করেছে। তারাই এই মুহূতের্ সেরা খেলোয়াড়

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
মুমিনুল হককে নিয়ে নেটে গিয়ে ফুটওয়াকর্ দেখাচ্ছিলেন প্রধান কোচ স্টিভ রোডস। কীভাবে শরীর বলের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন তা। আগের দিন কাইল জাভিের্সর বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়েছেন। ভুলটা কোথায় হয়েছিল, তা বোঝাতেই ক্লাস চলল অনেকক্ষণ। ব্যাটিং অনুশীলনে ছিলেন নাজুমল হোসেন শান্তও। মুমিনুলের মতো তিনিও সিলেট টেস্টে পুরোপুরি ব্যথর্। এরপর কোচের সমথর্ন পাচ্ছেন দুজন। একদিন আগে সিলেট টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ায় বুধবার টাইগাররা ঐচ্ছিক অনুশীলনে। দলের বেশির ভাগই ফিরেছেন ঢাকায়। যারা রয়ে গেছেন তাদের নিয়ে সকালে মাঠে হাজির তিন কোচ। সিলেট টেস্টের একাদশে যারা ছিলেন তাদের দেয়া হয়েছিল ছুটি। ছুটি পেয়ে সকালেই ফ্লাইট ধরে ঢাকায় ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা। তবে মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত আগের দিন খেলেও এদিন অনুশীলনে হাজির নিজের তাড়না থেকেই। এক পাশে মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম, খালেদ আহমেদদের নিয়ে কাজ করেছেন কোটির্ন ওয়ালশ। তখন মুমিনুল, শান্তদের নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন রোডস। জিম্বাবুয়ের কাছে সাড়ে তিন দিনে ১৫১ রানের বিশাল হারের পর দেশের ক্রিকেটে বড় ঝাঁকুনি লেগেছে। লজ্জার হারে কাঠগড়ায় দঁাড়িয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। সিলেট টেস্টে হারের মূল কারণ ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বহীনতা। একাদশ নিবার্চনে অদূরদশির্তাও ব্যথর্তার কারণ হিসেবে দেখছেন অনেকেই। সব কিছুই ছিল অনুক‚লে। স্পিন উইকেটে সুবিধা নিতে গিয়ে নিজেদের ফাঁদে পা দিয়েছে বাংলাদেশ। উল্টো প্রথম ইনিংসে টাইগারদের চোখ রাঙিয়ে ফায়দা নিয়েছেন সফরকারীরা। সাবেক ক্রিকেটারদের মতে, টেস্টে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মূল্যায়ন করার সময় এসেছে। ভাবা যেতে পারে আলাদা টেস্ট দল গঠন নিয়েও। জাতীয় লিগের কয়েক মৌসুম থেকেই রানের বন্যা বইয়ে দেয়া তুষার ইমরানের নাম এসেছে সবার আগে। এই মৌসুমেও রান সংগ্রহে তিনি আছেন দুই নম্বরে। কোচের কাছেও গেল এই প্রশ্ন। টেস্টে তরুণদের ব্যথর্তার সময়ে এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে কি সুযোগ দেয়া যায় না? তুষার যেখানে রান করেছেন, সেই জাতীয় লিগের উদাহরণ টেনেই রোডস এগিয়ে রাখলেন শান্ত-মুমিনুলদেরই, ‘জাতীয় দলের যারা জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলেছে তাদের মধ্যে শান্ত ১৮০ করেছে, লিটন দুশো করেছে, মুমিনুল সেঞ্চুরি করেছে, আরিফুল ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। কাজেই তারাই অনেক রান করেছে। যাদের কথা বললেন (তুষার ইমরান) তাদের চেয়ে বেশি রান করেছে। তারাই এই মুহূতের্ সেরা খেলোয়াড়। আমি মনে করি সাকিব, তামিম না থাকলে এদের ওপরই আমাদের ভরসা করতে হবে।’ সবের্শষ আট টেস্ট ইনিংসেও বাংলাদেশ করতে পারেনি দুশো রান। তবু কোচের চোখে এটা কেবলই আরেকটি খারাপ দিন, ‘সবারই খারাপ দিন যায়। আপনারা কাজ করেন আপনাদেরও খারাপ দিন আসে। প্রথম ইনিংসের ব্যথর্তা নিয়ে আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি।‘ তীব্র সমালোচনা চলছে চারপাশে। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও বলছেন এভাবে টেস্ট খেলার মানে নাই। তবু এই দুঃসময় থেকে নিজেদের বৈশিষ্ট্যেই ফিরে আসবে বাংলাদেশ, এমন বিশ্বাস কোচের, ‘ছেলেরা ভুল শোধরাতে মুখিয়ে আছে। বাংলাদেশে ড্রেসিং রুমে আমি যেটা উপভোগ করি তা হচ্ছে দারুণভাবে ফিরে আসার মানসিকতা। খুব খারাপ অবস্থা থেকেও ফিরে আসার শক্তি রাখে সবাই। পরের টেস্টেই তাই ফিরে আসবে সবাই।’