সেঞ্চুরি হাতছাড়া সৌম্যর

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনাকে তৃতীয়দিন নাগাদ ২০৪ রানের লিড এনে দেয়ার পথে সেঞ্চুরি থেকে ১৭ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। ১৬০ বলে ৮৩ রান করে বিদায় নেয়ার আগে আটটি চার এবং তিনটি ছয় হঁাকান এ বঁাহাতি। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে কক্সবাজারে ঢাকা বিভাগের পক্ষে পঁাচ উইকেট নিয়েছেন এনামুল হক জুনিয়র। বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগে চারদিনের এই ম্যাচে খুলনা আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ২৬১ রানে অলআউট হয়। তিন নম্বরে নেমে ওই ইনিংসে সৌম্য ২৬ রান করতে পারেন। ৪ উইকেটে ১২৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামে রংপুর। রংপুর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৪৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। মেহেদী মারুফ ৪২, সোহরাওয়াদীর্ শুভ ৪৮, ধীমান ঘোষ অপরাজিত ৫০ রান করেন। ৪ উইকেট নিয়েছেন খুলনার আব্দুর রাজ্জাক। এরপর তৃতীয়দিন বুধবার খুলনা দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৯২ রান তুলেছে। সৌম্য ছাড়া রান পেয়েছেন নুরুল হাসান সোহান (৫২)। তৃতীয় দিন শেষে খুলনার লিড ২০৪ রানের। তিনশ’র কাছাকাছি লক্ষ্য (২৮৪) ছুঁড়ে দিয়ে স্বস্তিতেই থাকার কথা ছিল বরিশালের। কিন্তু সেই রানকে মামুলি বানিয়ে টায়ার ওয়ানে তৃতীয়দিনে জয়ের পথে ভালোমতোই ছুটছে রাজশাহী। শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনে ২৮৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ১৮২ রান সংগ্রহ করেছে রাজশাহী। জুনায়েদ সিদ্দিকী ৬৫* ও জহুরুল ইসলাম ২৫* রানে অপরাজিত। হার এড়াতে এখনো ১০২ রানের প্রয়োজন রাজশাহীর। হাতে ৮ উইকেট। প্রথম ইনিংসে বরিশাল ৯৭ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ১৬০ রানে শেষ হয় রাজশাহীর প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ২৪৬ রানে তৃতীয়দিনের ব্যাটিং শুরু করে বরিশাল। শেষ পযর্ন্ত ৩৪৬ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। কক্সবাজারে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে তৃতীয়দিন শেষে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে সিলেট। সিলেট প্রথম ইনিংসে ২৩৮ রান সংগ্রহ করে। এরপর ঢাকা ব্যাট করতে নামলে এনামুল জুনিয়রের দুদার্ন্ত বোলিংয়ের পরও প্রথম ইনিংসে ৩৪৬ রানের বড় স্কোর গড়েছে ঢাকা। আগেরদিন সেঞ্চুরি পান আব্দুল মজিদ (১০৪)। এদিন অধর্শতক রান পান মোশাররফ হোসেন। ঢাকার বিপক্ষে পঁাচ উইকেট পেয়েছেন এনামুল হক জুনিয়র। ঢাকা অলআউট হওয়ার পর ৪ উইকেটে ১০২ রানে দিন শেষ করেছে সিলেট। ঢাকার থেকে এখনো তারা ৬ রানে পিছিয়ে। সেঞ্চুরিয়ান সাদিকুর রহমানকে হারিয়ে তৃতীয় দিনের শুরু চট্টগ্রামের। মাত্র একরান যোগ করেই ১০১ রানে মোহাম্মদ আশরাফুলের বলে বোল্ড হন সাদিক। ইয়াসিরের ৬৪ ও নাঈম হাসানের অপরাজিত ৪৩ রানে ভর করে মেট্রোর দেয়া ৩২৮ রান টপকে ৩৪৫ তোলে চট্টগ্রাম। লিড দঁাড়ায় ১৭ রানের। মেট্রোর পেসার আবু হায়দার রনি পেয়েছেন ৪ উইকেট। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে লিড পেয়েছে মেট্রোও। সেটা ৭৯ রানের। শেষদিনটা ৯৬ রানে শুরু হবে দলটির। উইকেট আছে সাতটি।