টাইগারদের নয় বাবরদের ভয় কন্ডিশন

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
টি২০ সিরিজে বাংলাদেশ দলকে ৩-০ ব্যবধানে হারানো পাকিস্তান দল টেস্ট সিরিজের আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী। মাঠের লড়াইয়ে স্বাগতিকদের একেবারেই তোয়াক্কা করছেন না বাবর আজমরা। মুমিনুল হকদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নশিপে দুই ম্যাচ জিতবে ধরে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সফরকারীরা। শঙ্কা বা ভয় যেটুকু আছে, পুরোটাই কন্ডিশন ঘিরে। শুক্রবার চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বললেন, 'কন্ডিশন এখানে কিছুটা কঠিন। তবে আমাদের যে ব্যাটিং লাইনআপ, তা অভিজ্ঞ ও স্পিনারদের বেশ ভালো খেলে। আগেও দেখেছি, বেশ ভালো ভালো স্পিনারদের বিপক্ষে রান করেছে। আমি বলতে পারি, এখানেও ওরা ভালো করবে ও দলকে জেতাবে।' সঙ্গে যোগ করেন বাবর, 'কন্ডিশনই তাই মূল পার্থক্য আমার মতে। এছাড়া খুব একটা কিছু আর নেই। টেস্ট ম্যাচে ধৈর্য রাখতে হবে। যতটা ধৈর্য আমরা ধরতে পারব, ধীরস্থির রাখতে পারব নিজেদের, সিদ্ধান্ত ঠিকঠাক নিতে পারব, তা পারলে ফল আমাদের পক্ষে আসবে।' টি২০ বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগে গত ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশে আসে পাকিস্তান দল। যদিও ২০ সদস্যের টেস্ট দলের ১৪ জনই এসেছেন ২১ নভেম্বর। বাবরের শঙ্কাটা সেখানেই। তবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল বাদ দিলে মাঠে পারফরম্যান্সে যেমন অপ্রতিরোধ্য পাকিস্তান, প্রতিপক্ষকে তোয়াক্কা না করা তো তাদেরই মানায়। বাবর আজমদের এমন কথার উত্তর দিতে গেলে সেটি মাঠেই দিতে হবে মুমিনুল হকের দলের। এই বছরে পাঁচটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাত্র একটিতে জিতেছে এবং তিনটি হেরেছে তারা। দু'টি হার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে এবং একটি শ্রীলংকার বিপক্ষে। তবে শ্রীলংকার সাথে একটি টেস্ট ড্রও করেছে টাইগাররা। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুই টেস্টেই হারাতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু বাজে বোলিংয়ের কারণে তার আর সম্ভব হয়নি। টি২০ ক্রিকেট বাদে, পাঁচ টেস্টে বাংলাদেশের টেস্ট ব্যাটিং ভালোই ছিল। কিন্তু জয়-হারের অনুপাত কমিয়ে দেয়। পাকিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর এবং তার আগে টি২০ বিশ্বকাপে বাজে পারফরমেন্সের পর টেস্ট লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ। উভয় লড়াইয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং পারফরমেন্স ছিল অত্যন্ত হতাশার। কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন ফরম্যাট হওয়ায় টেস্টে ভাগ্য ফেরানোর আশা করতে পারে টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে এ পর্যন্ত ১০টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে একটি ড্র বাদে সবগুলোই জিতেছে পাকিস্তান। সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে আসা সিরিজে টেস্টটি ড্র হয়েছিল। ড্র হওয়া টেস্টে ২০৬ রান করেছিলেন তামিম। যা টেস্টে বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এছাড়া ঐ ম্যাচে ১৫০ রান করেছিলেন ইমরুল কায়েস। উদ্বোধনী জুটিতে ৩১২ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন তামিম ও ইমরুল। অন্যদিকে টেস্ট ক্রিকেটে দারুন ছন্দে রয়েছে পাকিস্তান। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ ড্র করেছে। ইংল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজেও দুর্দান্ত লড়াই করে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১২১টি টেস্ট খেলেছে, জিতেছে ১৪টিতে হেরেছে ৯১টিতে। এর মধ্যে ৪৩টি ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে। বাকি ১৬ টেস্ট ড্র করেছে। পরিসংখ্যানই বলছে এই ফরম্যাটে টাইগাররা কতটা দুর্বল। কিন্তু ঘরের মাঠে খেলা হবার কারণে বড় স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ।