আজকের যায়যায়দিন

পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগের সন্ধ্যায় বাংলাদেশের স্কোয়াড ১৫ জন থেকে বেড়ে হয়ে গেল ১৭। হঠাৎ করেই দলে নেওয়া হলো সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও শহিদুল ইসলামকে। প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য এই দুই পেসার দলের সঙ্গেই ছিলেন জৈব-সুরক্ষা বলয়ে। চট্টগ্রামে অনুশীলনও করেছেন দলের সঙ্গে। তাদের এবার যোগ করা হলো টেস্ট দলের মূল স্কোয়াডে।

আর এই দু'জনকে দলে নেওয়ার পেছনে যুক্তি অবশ্য অদ্ভুত। বিসিবির বিবৃতিতে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, 'পেসারদের কিছু চোট সমস্যা আছে। তাসকিন ও শরিফুলকে আমরা এই টেস্টে পাচ্ছি না এবং অন্য সিমারদের জন্য কাভার রাখা দরকার ছিল আমাদের। খালেদ ও শহিদুল ফিট ও প্রস্তুত।'

তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের চোট নতুন কিছু নয়। চোটের কারণে এই টেস্টের স্কোয়াডেই তারা নেই। নতুন কাউকে যোগ করার সঙ্গে তাসকিন-শরিফুলদের সম্পর্কই থাকার কথা নয়! মিনহাজুল পরে সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন, আগে থেকেই স্কোয়াডে থাকা আবু জায়েদ চৌধুরী, ইবাদত হোসেন চৌধুরী ও রেজাউর রহমান রাজার কোনো চোট সমস্যা নেই। তার পরও তারা সতর্কতা হিসেবে খালেদ-শহিদুলকে দলে যোগ করার প্রয়োজনীয়তা দেখেছেন।

২৯ বছর বয়সি খালেদ বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন দুটি টেস্ট। একটি ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, আরেকটি পরের বছর হ্যামিল্টনে। কোনো উইকেট পাননি এখনো। শহিদুল ইসলামের আন্তর্জাতিক অভিষেক হলো পাকিস্তানের বিপক্ষে এবার টি২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে। টেস্ট দলের অংশ হয়ে গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফর করে এসেছেন ২৬ বছর বয়সি পেসার। খালেদ ও শহিদুলকে নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে পেসার এখন পাঁচজন, স্পিনার আছেন তিনজন।

সেমিতে মোহামেডানের সঙ্গী হলো পুলিশ

বাংলাদেশ টেস্ট দল : মুমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, ইয়াসির আলি চৌধুরী, আবু জায়েদ চৌধুরী, ইবাদত হোসেন, মাহমুদুল হাসান জয়, রেজাউর রহমান রাজা, খালেদ আহমেদ ও শহিদুল ইসলাম।