ব্যালফোটের্ ভর করে সেমিতে আবাহনী

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
গোলের পর ঢাকা আবাহনীর খেলোয়াড়দের উচ্ছ¡াস। বৃহস্পতিবার আরামবাগকে ৩-২ গোলে হারিয়ে মৌসুমসুচক টুনাের্মন্ট ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে আসরের বতর্মান চ্যাম্পিয়নরা Ñবাফুফে
চ্যাম্পিয়নের তকমা দুই দলের গায়েই। ফেডারেশন কাপের বতর্মান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী। অন্যদিকে স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুনাের্মন্টের চ্যাম্পিয়ন আরামবাগ। সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে দুই দলের লড়াইটা কিন্তু দারুণ জমজমাট হয়েছে এবারের ফেডারেশন কাপ ফুটবল টুনাের্মন্টের প্রথম কোয়াটার্র ফাইনালে। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ গুরুত্বপূণর্ ম্যাচটি নিধাির্রত ৯০ মিনিটে শেষ হয়েছে ২-২ গোলের সমতায়। তবে ইনজুরি টাইমে গোল করে ৩-২ গোলের ব্যবধানে আরামবাগকে হারিয়ে আবাহনীকে সেমিতে পৌছে দেন ব্যালফোটর্। বতর্মান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে ম্যাচের শুরু থেকেই সমানতালে লড়াই করতে থাকে তারুণ্য নিভর্র দল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ৩ মিনিটে আবাহনীর প্রাণতোষের শট রুখে দেন আরামবাগ গোলরক্ষক। ৮ মিনিটে এগিয়ে যায় আরামবাগ। ক্যামেরুনের পল এমিলের বাড়িয়ে দেয়া বল চিনেদু ম্যাথিও বুক দিয়ে রিসিভ করে সামনে দাড়ানো শাহরিয়ার বাপ্পিকে দিলে ডান পায়ের গড়ানো শটে শহিদুল আলম সোহেলকে পরাস্ত করেন তিনি (১-০)। ১৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ এসেছিলো অফিস পাড়ার ক্লাবটির। তবে রকির দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। ২৭ মিনিটে সানডে চিজোবার শট বারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় ম্যাচে ফেরা হয়নি আবাহনীর। ৩০ মিনিটে জটলার ভিতর থেকে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় আবাহনীকে সমতায় ফেরান সানডে (১-১)। ৩২ মিনিটে আাবাহনীর গোলরক্ষক আরামবাগের শাহরিয়ার বাপ্পিকে বক্সে অবৈধভাবে বাধা দিলে রেফারী তাকে হলুদ কাডর্ এবং আরামবাগের পক্ষে পেনাল্টির বাশি বাজান। পেনাল্টি থেকে চমৎকার শটে আরামবাগকে আবারো এগিয়ে দেন নরমাতোভিচ (২-১)। ৪৪ মিনিটে বক্সের সামনে থেকে ডান পায়ের দারুন শটে গোল করে আবাহনীকে সমতায় ফেরান সোহেল রানা (২-২)। দ্বিতীয়াধের্ও আক্রমণের ধারা বজায় রাখে দুই দলই। ৫৪ মিনিটে দ্বিতীয়াধের্ও প্রথম কণার্র আদায় করে নেয় বতর্মান চ্যাম্পিয়নরা। কণার্র থেকে বল পেয়ে পোস্টের সামনে থেকে হেড নেন তপু বমর্ন। কিন্তু বল জড়ায়নি জালে। ৫৬ মিনিটে চিনেদু ম্যাথিও বল নিয়ে ঢুকে পড়েন আবাহনীর বক্সে। কিন্তু ডিফেন্ডারদের বাধার মুখে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেননি। ৫৮ মিনিটে আরামবাগের অধিনায়ক রবিউল হাসানের জোড়ালো শট ডান দিকে ঝাপিয়ে পড়ে কণাের্রর বিনিময়ে এ যাত্রা দলকে রক্ষা করেন সোহেল। জাহিদের কণার্র ফিস্ট করেন গোলরক্ষক সোহেল। ৬২ মিনিটে আবাহনীর হাইতিয়ান ফরোয়াডর্ কারভেন্স ব্যলফোডের্র ব্যকহ্যাড পোস্টের কাছে পেয়ে নিচু হেড নেন সানডে। কিন্তু বল খুজে পায়নি জাল। ৬৭ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বলের যোগান পেয়ে জাহিদের উদ্দ্যেশ্যে বল পাঠিয়েছিলেন শাহরিয়ার বাপ্পি। কিন্তু তার আগেই বল ক্লিয়ার করেন আবাহনীর ডিফেন্ডাররা। ৭৬ মিনি্েট আরামবাগের বক্সে বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে দারুণ বাকানো ক্রস চলন্ত বলে ভলি নেন রুবেল মিয়া। কিন্তু লক্ষ্যে স্থির থাকতে পারেননি। ৮৪ মিনিটে বিপদজনক স্থানে নাবিব নেওয়াজ জীবনকে ফাউল করেন আরামবাগের ডিফেন্ডাররা। ওয়ালী ফয়সালের মাপা স্পট কিক ব্যথর্ হয়েছে আরামবাগের রক্ষণে এসে। হেডে বল ক্লিয়ার করেছেন মারুফুল হকের শিষ্যরা। ৮৮ মিনিটে সানডের উচু ক্রস পোস্টের খুব কাছ থেকে দারুণ হেডে ক্লিয়ার করেন আরামবাগের রকি। নিধাির্রত ৯০ মিনিট শেষ হয়েছে ২-২ গোলের সমতায়। তবে ইনজুরি টাইমে আবাহনীর মহামূল্যবান গোলটি করেন ব্যালফোটর্। সতীথর্র পাসে প্রায় ফাকায় বল পেয়ে জালে ঠেলে দিয়ে আবাহনীর জয় নিশ্চিত করেন হাইতির এই ফরোয়াডর্ (৩-২)।