জুভেন্টাসে নাটকীয় জয় ম্যানইউর

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ম্যাচের শেষ মুহ‚তের্ গোল আদায় করার পর এভাবেই উচ্ছ¡াসে মাতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রা। জুভেন্টাসের খেলোয়াড়দের মাঝে তখন ভর করেছে নিশ্চিত পরাজয়ের হতাশা Ñওয়েবসাইট
ঘটনাটা ন্যু ক্যাম্পে ঘটেনি। গোলটাও তেমন নয়, যেটা হাইলাইটস রিলে জায়গা করে নেবে, যেমনটা নিতে পারে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর করা ম্যাচের প্রথম গোলটা। তবে ম্যাচের অন্তিম মুহ‚তের্ অ্যালেক্স সান্দ্রোর ওই আত্মঘাতী গোল নাটকীয় এক জয় উপহার দিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। ইংলিশ ক্লাবটিকে ফিরিয়ে এনেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পবের্ নাম লেখানোর দৌড়ে। প্রথম দেখায় ওল্ড ট্রাফোডের্ ম্যানইউকে হারিয়েছিল জুভেন্টাস। এদিন ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে তাই নিরুঙ্কুশ ফেভারিট ছিল ম্যাসিমিলিয়ানো আলেগ্রির দল। তাদের শুরুটাও ছিল ভালো। কিন্তু ম্যানইউ কোচ হোসে মরিনহোর কৌশল এদিন ছিল অব্যথর্। নিজেদের আন্ডারডগ মেনেই পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন ‘স্পেশাল ওয়ান’খ্যাত পতুির্গজ কোচ। রোনালদোর অসাধারণ এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও সেই পরিকল্পনায় ধরাশায়ী হয়েছে জুভেন্টাস। শেষ বেলায় এমন চকমই দেখিয়েছে ম্যানইউ, জুভেন্টাস সেই চমকের ধাক্কা সামলে উঠার আগেই ম্যাচ শেষ! ৮৫ মিনিট পযর্ন্ত ম্যাচে জুভেন্টাস এগিয়ে ছিল ১-০ ব্যবধানে। এর পরের চার মিনিটে দুবার তুরিনের বুড়িদের জালে বল পাঠিয়ে নাটকীয়ভাবে ম্যাচটা ২-১ গোলে জিতে নিয়েছে ম্যানইউ। এই হারেও অবশ্য ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘এইচ’ গ্রæপের শীষের্ই রয়েছে জুভেন্টাস। জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অক্ষত রেখেছে ম্যানইউ। গ্রæপের আরেক ম্যাচে ইয়ং বয়েজকে ৩-১ গোলে হারিয়েও ৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ভ্যালেন্সিয়া। গোলশূন্য প্রথমাধের্র পর ৬৫ মিনিটে রোনালদোর চোখ ধঁাধানো এক গোলে এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। ওই গোলেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু ১৯৯৯ সালে ন্যু ক্যাম্পে যে প্রত্যাবতের্নর রূপকথা লিখেছিল ম্যানইউ, প্রায় দুই দশক আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে ইংলিশ ক্লাবটি, কে জানত? ৭৯ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠে নেমেই দৃশ্যপট পাল্টে দেন হুয়ান মাতা। ৮৬ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে দুদার্ন্ত এক গোলে ম্যানইউকে সমতায় ফেরান এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। তখনও মনে হচ্ছিল সমতায় শেষ হবে ম্যাচ। কিন্তু ম্যাচের ৯০ মিনিটে এলো সেই নাটকীয় মুহ‚তর্। অ্যাশলে ইয়ংয়ের নেয়া ফ্রিকিক জটলার মধ্যে পড়ে জুভেন্টাস ডিফেন্ডার অ্যালেক্স সান্দ্রোর গায়ে লেগে ঢুকে যায় জালে (২-১)। এর খানিক পর শেষ বঁাশি বাজে, উৎসবে মাতে ম্যানইউ শিবির। এরই মধ্যে উত্তেজনা, যার কেন্দ্রে কোচ মরিনহো। ম্যাচ শেষে জুভেন্টাসের সমথর্কদের ব্যঙ্গ করেছেন। যদিও এই কোচ দাবি করেছেন, ‘আমি শুধু এই বাতার্ দিতে চেয়েছি, তাদের (দশর্কদের) থেকে আরও উচ্চস্বরে আওয়াজ চাই। সম্ভবত আমি সেটা বুঝাতে পারিনি। ঠাÐা মাথায় কাজটা করতে পারিনি।’ এদিকে, রবাটর্ লেভানদোস্কির জোড়া গোলে এইকে এথেন্সকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ‘ই’ গ্রæপের শীষের্ উঠেছে বায়ানর্ মিউনিখ। চার খেলায় ১০ পয়েন্ট তাদের। গ্রæপের অপর ম্যাচে আয়াক্সের বিপক্ষে শেষ মুহ‚তের্র গোলে বেনফিকা সমতায় না ফিরলে নকআউট পবর্ নিশ্চিত হয়ে যেত বায়ানের্র। ১-১ গোলের ওই ড্রয়ে নকআউটে খেলার শেষ আশাটা বঁাচিয়ে রেখেছে বেনফিকা, চার খেলায় ৪ পয়েন্ট তাদের। সমান খেলায় ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আয়াক্স।