কলিন্ড্রেস জাদুতে সেমিতে বসুন্ধরা

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
গোলের পর বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের উদযাপন। রোববার টিম বিজেএমসিকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে দলটি Ñবাফুফে
ফেডারেশনকাপ ফুটবল টুনাের্মন্টের সেমিফাইনালে বসুন্ধরা কিংসকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলো শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। রোববার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেষ কোয়াটার্র ফাইনালে চলেছে কলিন্ড্রেস শো। সঙ্গে ছিলেন মতিন মিয়া আর সবুজ। বিজেএমসির বিপক্ষে ৫-১ গোলের বিশাল জয় পেয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে টুনাের্মন্টের অন্যতম হট ফেভারিট বসুন্ধরা। শক্তির বিচারে বিজেএমসির থেকে নিঃসন্দেহে এগিয়ে বসুন্ধরা। মাঠের লড়াইয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে নবাগত দলটি। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই প্রথম গোলটি আদায় করে নেয় তারা। বা প্রান্ত দিয়ে ইব্রাহিমের বাড়িয়ে দেয়া ক্রস বক্সে পেয়ে দারুণ শট নেন কলিন্ড্রেস। বিজেএমসির এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল চলে যায় জালে (আত্মঘাতী গোল)। ৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বসুন্ধরা। এবারো গোলের নায়ক দলীয় অধিনায়ক কলিন্ড্রেস। জজর্ গোটরের বাড়িয়ে দেয়া বল পেয়ে বল নিয়ে বিজেএমসির অধের্ ঢুকে পড়েন কলিন্ড্রেস। তাকে দু’পাশ থেকে চেপে ধরেছিলেন বিজেএমসির দুই ডিফেন্ডার। কিন্তু লাভ হয়নি। দুদার্ন্ত গতিতে ছুটে চলে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বঁাপায়ের গ্রাউন্ড শটে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন কলিন্ড্রেস। দুই গোল পাওয়ার পর হ্যাটট্রিকের সুযোগ খুঁজতে থাকেন কলিন্ড্রেস। ১৫ মিনিটে সেই স্বপ্ন সত্যি হয় তার। মাসুক মিয়া জনির একটি লম্বা পাসে বল পেয়ে দু’জনের মাঝখানে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চমৎকার টোকা দিয়ে হ্যাট্রিক উৎজাপনে মাঠের কোণায় চলে যান কোস্টারিকার জাতীয় দলে খেলে আসা এই ফুটবলার (৩-০)। ২২ মিনিটে ফ্রি কিক পায় টিম বিজেএমসি। ফোরগাতের স্পট কিক বসুন্ধরার রক্ষণ দেয়ালে লেগে প্রতিহত হয়। ৪০ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বসুন্ধরার মাহবুবুর রহমান সুফিল যে ক্রসটি বাড়ান লাফিয়ে উঠে বল ফিস্ট করে সেটি ফিরিয়ে দেন বিজেএমসি গোলরক্ষক। এর কিছুক্ষণ পর আবারও বিজেএমসির পোস্টে হানা দিয়েছিলেন সুফিল। কিন্তু বল লক্ষ্যে পাঠাতে ব্যথর্ হন। দ্বিতীয়াধের্ও আক্রমণের ধার ধরে রাখে বসুন্ধরা। ৬৩ মিনিটে ফ্রি কিক পায় তারা। কিন্তু কলিন্ড্রেসের সেট পিস কাজে লাগেনি। ৬৭ মিনিটে বিজেএমসির স্যামসন ইলিয়াসুর স্পটকিক চলে যায় বারের অনেক উপর দিয়ে। ৬৯ মিনিটে বঁাদিক থেকে ইব্রাহিমের চমৎকার ক্রসে ফিনিশিং টোকা দিয়ে বসুন্ধরাকে চতুথর্ গোল উপহার দেন বদলি খেলোয়াড় তৌহিদুল আলম সবুজ (৪-০)। ৭৫ মিনিটে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বল নিয়ে ভলি নিয়েছিলেন মতিন মিয়া। কিন্তু বিজেএমসির রক্ষণভাগ খুব ভালোভাবেই সামাল দিয়েছে। ৭৮ মিনিটে আর তাকে আটকে রাখতে পারেনি প্রতিপক্ষের রক্ষণ। ইব্রাহিমের ক্রসে দারুণ হেডে পঞ্চম গোল করেন মতিন মিয়া (৫-০)। ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে বিজেএমসির পক্ষে এক গোল করে ব্যবধান কিছুটা কমান স্যমসন ইলিয়াসু (৫-১)। শেষ পযর্ন্ত বিশাল ব্যবধানের হারে টুনাের্মন্ট থেকে বিদায় নেয় টিম বিজেএমসি।