সেঞ্চুরি পেয়েই খুশি টেলর!

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
সেঞ্চুরির পর ব্রেন্ডন টেলর
দিনের মাঝামাঝি সময় জিম্বাবুয়ে ছিল ফলোঅনের শঙ্কায়। দিনের শেষে সত্যি হলো সেটিই। তবে মাঝের সময়টায় দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল অতিথিরা। বাংলাদেশকে হতাশার অঁাধারে ডুবিয়ে জিম্বাবুয়ে শিবিরকে আশার আলো দেখিয়েছিল ব্রেন্ডন টেলর আর পিটার মুরের ব্যাট। কিন্তু শেষ বিকালে সেই আলোটা নিভে গেল। স্বাগতিক বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল জিম্বাবুয়ের লোয়ারঅডার্র। দলটি এখন পরাজয়ের শঙ্কায়। টেলর অবশ্য সেই শঙ্কাকে দূরে ঠেলে আনন্দ খুঁজলেন দেশের বাইরে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে। জিম্বাবুয়ের ইতিহাসসেরা ব্যাটসম্যানদের একজন টেলর। এই দুদিের্ন দলটি তাকিয়ে ছিল তার ব্যাটের দিকেই। নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন এই ডানহাতিও। খেলেছেন অসাধারণ এক ইনিংস। টাইগারদের সঁাড়াশি বোলিং সামলে নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পেরেছেন বলেও মনে করছেন তিনি। দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে টেলর বললেন, ‘আমার খুব ভালো লাগছে। কয়েক বছর পর দেশের বাইরে সেঞ্চুরি পেলাম। বিশ^মাপের স্পিন আক্রমণের বিপরীতে সেঞ্চুরি পাওয়া খুবই কঠিন। আমি খুবই আনন্দিত যে, দলকে বেশ অনেক দূর পযর্ন্ত নিয়ে যেতে পেরেছি। বাংলাদেশ যেখানে ৫২২ রানের ইনিংস খেলেছে, দলকে বড় রানে পিছিয়েপড়া থেকে বঁাচাতে আমি দায়িত্ব পালন করেছি।’ টেলর আর মুরের ১৩৯ রানের দারুণ জুটির পরও মিরপুর টেস্টে ফলোঅন এড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে তাদের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ৩০৪ রানে। ২১৮ রানের লিড পাওয়া বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে ফলোঅন করাবে কিনা, সেটি জানা যাবে চতুথর্ দিন সকালে। তৃতীয় দিন শেষে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল স্বাগতিক শিবিরের সফল বোলার তাইজুল ইসলামের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখন হয়নি। আসলে জিম্বাবুয়েকে আলাদা একটা চাপের মধ্যে রাখতেই এমন লুকচুরি টাইগারদের। মিরপুর টেস্টে জিম্বাবুয়ে অবশ্য এমনিতেই ভীষণ চাপের মধ্যে আছে। দেশের বাইরে পাওয়া টেলরের প্রথম সেঞ্চুরি কিংবা মুরের ৮৩ রানের ইনিংসেও সেই চাপ কাটাতে পারেনি অতিথিরা। বাংলাদেশের দুই স্পিনার তাইজুল আর মিরাজ যেভাবে ভেলকি দেখাচ্ছেন, তাতে অস্বস্তিটা আরও বেড়েছে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দলের। ধীরে ধীরে বোলিংবান্ধব হয়ে উঠছে মিরপুরের উইকেট। তাতে পরবতীর্সময়ে ব্যাটিং করা আরও কঠিন হবে। এরইমধ্যে ২১৮ রানে পিছিয়ে পড়া জিম্বাবুয়ে স্বস্তিতে থাকেই বা কি করে! পরাজয়ের শঙ্কা ভালোমতোই পেয়ে বসেছে তাদের। টেলর নিজেও বললেন, মিরপুরের বৈচিত্র্যময় উইকেটে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। তবে টেস্টটা পঞ্চম দিনে গড়াবে বলে আশাবাদ তার। উইকেট নিয়ে টেলর বললেন, ‘দিনের প্রথম ভাগে যা হয়েছে ঠিক আছে। কিন্তু দিনের মাঝামাঝিতে আমরা দুজন (টেলর আর মুর) দঁাড়াতে পেরেছি। কিন্তু বড় স্কোর দঁাড় করানো কঠিন। বিশেষ করে এই ভেন্যুর উইকেট বৈচিত্র্যময়। এরপর চতুথর্ ও পঞ্চম দিন ব্যাট করা কঠিন হয়ে উঠবে।’ টেলর সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আমি জানি না বুধবার চতুথর্ দিন বাংলাদেশ কি করবে। আমরা ব্যাট করবো, নাকি স্বাগতিকরা ব্যাট করবে সেটা জানতে পারিনি। কিন্তু ম্যাচটি পঞ্চম দিনে গড়াতেই পারে।’