দায়িত্বটা এখন বোলারদের কঁাধে

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
মিরপুর টেস্টে বুধবার জিম্বাবুয়ের ওপেনার ব্রায়ান চারিকে আউট করার পর বোলার তাইজুল ইসলামকে ঘিরে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা Ñবিসিবি
চরম ব্যাটিং ব্যথর্তায় হারতে হয়েছিল সিলেট টেস্টে। বোলারদের দারুণ বোলিংও বঁাচাতে পারেনি দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশকে পিছিয়ে পড়া থেকে। মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে টাইগাররা লড়ছে সিরিজ বঁাচাতে। সেই লড়াইয়ে দলের ব্যাটিং বিভাগ তাদের দায়িত্বটা ঠিকঠাকই পালন করেছে। বড় লিড এনে বোলারদের করে দিয়েছে দারুণ সুযোগ। সেই সুযোগ কাজে লাগানোর দায়িত্বটা বতাের্চ্ছ তাইজুল ইসলাম-মেহেদী হাসান মিরাজদের কঁাধে। প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম, সেঞ্চুরি এসেছে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকেও। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি হঁাকিয়েছেন দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাতে জিম্বাবুয়ের সামনে ছুড়ে দেয়া হয়েছে ৪৪৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে ৭৬ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে। হঁারিয়েছে দুটি উইকেট। জিততে হলে শেষ দিনে আরও ৩৬৭ রান করতে হবে অতিথিদের, বাংলাদেশের লাগবে ৮টি উইকেট। মিরপুর টেস্ট এখন এমন এক অবস্থানে দঁাড়িয়ে, বোলাররা ভালো করলেই কেবল সেখান থেকে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলতে পারবে বাংলাদেশ। প্রথম দিন থেকেই মিরপুর টেস্টের চালকের আসনে বাংলাদেশ। চতুথর্ দিন শেষেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। তবে বড় রানের বোঝা মাথায় নিয়েও বুধবার চতুথর্ দিনের শেষ বিকালে যেভাবে প্রতিরোধ গড়েছে জিম্বাবুয়ে, সেটা চিন্তার বিষয় হয়েই দঁাড়িয়েছে। এরমধ্যে কিছুটা স্বস্তি, পড়ন্ত বিকালে অতিথিদের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে টাইগাররা। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে ফিরিয়েছেন মিরাজ, আরেক ওপেনার ব্রায়ান চারিকে তাইজুল ইসলাম। পঞ্চম দিনের উইকেটে মিরাজ আর তাইজুলের দিকেই আশার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ। দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরাজ জানালেন, এই পরিস্থিতিতে দায়িত্বটা নিতে হবে বোলারদেরই, ‘চতুথর্ দিন শেষে আমরা খুব ভালো অবস্থানে আছি। পঞ্চম দিনে যদি বোলাররা ভালো বল করতে পারি তাহলে ম্যাচ জেতা কঠিন কিছু হবে না। আমাদের দিকেই আছে ম্যাচটা।’ জিম্বাবুয়েকে ৩০৪ রানে থামিয়ে দিয়ে প্রথম ইনিংসে ২১৮ রানের লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ। স্বাগতিকরা চাইলে চতুথর্ দিনের সকালে অতিথিদের ফলোঅন করাতে পারত। সেটা না করে নিজেরাই দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে পড়ে মাহমুদউল্লাহর দল। এরপর জিম্বাবুয়ের পেসারদের তুপের মুখে পড়ে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, সুযোগ থাকার পরও কেন ফলোঅন করানো হলো না জিম্বাবুয়েকে? সেই প্রশ্নের উত্তর মিরাজ দিলেন এভাবে, ‘আমাদের প্রথম টাগের্ট ছিল যে, আমাদের সেভ রাখতে হবে। দিনের শুরুতে আমরা কিন্তু বিপদে পড়েছিলাম। খুব তাড়াতাড়ি ৪টি উইকেট পড়ে গেছে। তবে রিয়াদ ভাই, মিঠুন ভাইয়ের জুটিতে ভালো রান এসেছে। দল নিরাপদ জায়গায় পেঁৗছেছে।’ এ প্রসঙ্গে মিরাজ আরও বলেছেন, ‘আমাদের সামনে দুইদিন সময় ছিল। প্রতিপক্ষকে শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে সুযোগ নেয়ার কারণেই তাদেরকে চতুথির্দনের শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়নি। উইকেটের সুবিধা নিতেই তাদেরকে শেষ দিনে ব্যাটিং করানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আমরা প্রথম টেস্টে হেরে ব্যাকফুটে আছি। তাই এই টেস্টটা জিততে তাদেরকেই ঝঁুকিতে রাখার জন্য এটা করা হয়েছে। আমরা ঝুঁকিতে থাকতে চাইনি। আমাদের চিন্তা ছিল যে, আমাদের চারশোর উপরে রান করতে হবে। প্রতিপক্ষকে যদি চারশোর উপর লক্ষ্য দিতে পারি তাহলে আমরা নিরাপদে থাকব। সেদিক দিয়ে আমাদের টাগের্টটা ঠিক আছে। দিনটা ভালো গেছে।’ মিরপুরের ২২ গজি উইকেট কি অবস্থায় আছে, মিরাজ সেটাও জানালেন এভাবে, ‘উইকেটটা কিন্তু এখনো তেমন পরিবতর্ন হয়নি। এখনো তেমন বল লো হচ্ছে না। পঞ্চম দিনে উইকেট পরিবতর্ন হতে পারে।’ প্রথম টেস্ট থেকেই তাইজুল ভালো উইকেট পাচ্ছে, একজন স্পিনার হিসেবে মিরাজও কী তাইজুলের মতো উইকেট পেতে পারে? জবাবে মিরাজ বলেন, ‘তাইজুল ভাই প্রথম টেস্ট থেকে ভালো বোলিং করছে। আমার জন্যও সুযোগ আছে।’