বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
বিপিএল দল পর্যালোচনা

তরুণদের নিয়েই চ্যালেঞ্জে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

এবারের বিপিএলে বড় কোনো তারকা পায়নি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলটির বিশেষত্ব হলো- যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার দলে রেখেছে তারা
ম ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

দরজায় কড়া নাড়ছে ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি২০ ক্রিকেটের আসর বিপিএলের অষ্টম আসর। আর দুই দিন পরই মাঠে গড়াবে জমজমাট এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বিপিএলের ছয় দলের মধ্যে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স একটি। বিপিএলের গত আসরে অন্যতম শক্তিশালী ছিল দল চট্টগ্রাম। যদিও ভাগ্যের ফেরে সেবার খেলা হয়নি ফাইনালে। তবে এবারের আসরে দলটি স্কোয়াডে ভিড়িয়েছে ফর্মে থাকা ক্রিকেটারদের।

ড্রাফটের বাইরে থেকে খেলোয়াড় নেওয়ায় চট্টগ্রাম হাঁটে বেশ ব্যতিক্রম পথে। সবাইকে অবাক করে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে সবার আগে দলে নেয় তারা। বিদেশি বাছাইয়েও বড় কোনো তারকা পায়নি দলটি। দলটির বিশেষত্ব হলো- যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার দলে রেখেছে তারা।

বিপিএলে এবারও চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা আক্তার গ্রম্নপের। তারা দলটির নাম দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সর্বশেষ বিপিএলেও চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি ছিল তাদের কাছে।

বিপিএলের পেস্নয়ার্স ড্রাফটের আগে একজন দেশি ও তিনজন করে বিদেশি ক্রিকেট নেওয়ার সুযোগ ছিল সবার। চট্টগ্রাম এই সুযোগ গ্রহণ করে শুরুতেই দলে নেয় 'বি' ক্যাটাগরিতে থাকা নাসুমকে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সিনিয়র তারকাদের দিকে নজর দেয়নি তারা। নাসুম টি২০তে নিঃসন্দেহে ঘরের মাঠে খুব কার্যকর বোলার। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কয়েকজন বাঁহাতি স্পিনার থাকায় এই জায়গা ড্রাফট থেকেও পূরণ করতে পারত। তবে বিপিএলে সবশেষ আসরেও নাসুম তাদের দলের হয়ে দারুণ খেলেছিলেন। সেটি মাথায় রেখেই হয় নাসুমকে কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চায়নি তারা। যে তিনজন বিদেশি তারা দলে নিয়েছে, তাদের কেউই বড় কেউ নন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেনার লুইসের সঙ্গে আছে ইংল্যান্ডের বেনি হাওয়েল ও উইল জ্যাকস। বাংলাদেশের মন্থর উইকেট বিবেচনায় তারা কেমন করবেন- সেই প্রশ্ন তোলাই যায়।

ড্রাফটে তরুণদের দিকে ঝোঁক বেশি ছিল চট্টগ্রামের। যুব বিশ্বকাপ-জয়ী দলের শরিফুল ইসলাম, শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও আকবর আলিকে দলে নিয়েছে তারা। চোটের কারণে সেই বিশ্বকাপ খেলতে না পারা পেস অলরাউন্ডার মৃতু্যঞ্জয় চৌধুরীও গেছেন তাদের দলে। পেস আক্রমণে রেজাউর রহমান রাজা, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধরাও তরুণই। জাতীয় দলের আফিফ হোসেন ধ্রম্নব নিশ্চিতভাবেই সেরা পছন্দ। তবে তাকে সরাসরি না নিয়ে ড্রাফট থেকে নেওয়ার ঝুঁকি নিয়েছে চট্টগ্রাম।

অনেক তরুণের ভিড়ে দেশের ক্রিকেটের অভিজ্ঞদের একজন নাঈম ইসলামকে দলে নেওয়ায় বেশ চমকের। মূলত দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে প্রমাণিত ব্যাটসম্যান নাঈমের টি২০ স্কিলে আস্থা রেখেছে তারা। আস্থা রেখেছে ঘরোয়া ক্রিকেটেও কোথাও ছন্দ রাখতে না পারা সাব্বির রহমানের ওপরও। আন্তর্জাতিক টি২০তে বিবেচিত না হলেও ঘরোয়া পর্যায়ে মেহেদী হাসান মিরাজ রাখতে পারেন বড় ভূমিকা। তার চার ওভার অফ স্পিনের পাশাপাশি ব্যাটিংটাও কাজে লাগবে চট্টগ্রামের। বিদেশিদের মধ্যে ড্রাফট থেকে দুই ক্যারিবিয়ান চ্যাডউইক ওয়ালটন ও রায়াদ এমরিটকে বেছে নিয়েছে চট্টগ্রাম। দুইজনই মাঝারি মানের খেলোয়াড়।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জন্য প্রথমে বড় চ্যালেঞ্জ অধিনায়ক বাছাই। সিনিয়র হিসেবে নাঈম পেতে পারেন দায়িত্ব। তবে টি২০'র ছন্দ বিচারে এর আগে একাদশে জায়গাটা নিশ্চিত করতে হবে, সাব্বির কোনো পর্যায়েই অধিনায়কত্ব করেননি। তার সম্ভাবনা তাই নেই। এ ছাড়া মিরাজ ও আকবরের নাম আসবে। দুইজনেই যুব পর্যায়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মিরাজের বিপিএলেও অধিনায়কত্বের নজির আছে। এই দুইজন থেকে কাউকে বেছে নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স স্কোয়াড

নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন ধ্রম্নব, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, রেজাউর রহমান রাজা, সাব্বির রহমান, মৃতু্যঞ্জয় চৌধুরী, মেহেদী হাসান মিরাজ, আকবর আলী ও নাঈম ইসলাম, কেনার লুইস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), বেনি হাওয়েল (ইংল্যান্ড), উইল জ্যাকস (ইংল্যান্ড), চ্যাডউইক ওয়ালটন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রায়াড এমরিট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে