বাংলাদেশের বোলিং কোচ হতে আগ্রহী টেইট

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেশ কিছু ভালো তরুণ ক্রিকেটার আছে, যারা ভবিষ্যতে দুর্দান্ত ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারে। আমাদের দলে তাদের বেশ ক'জন আছে। শরিফুল যেমন, আগ্রাসী বাঁতি বোলার। আমাদের দলেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে সে। নিজেকে তুলে ধরার মতো যথেষ্ট ক্রিকেট সে খেলে ফেলেছে এর মধ্যেই। তাদের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আমি।

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ম ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অনুশীলনে বুধবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের নেটে উঠতি পেসার রেজাউর রহমান রাজার সঙ্গে শন টেইট -ওয়েবসাইট
দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব ছিলেন ওটিস গিবসন। নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষ হতেই জানা গেল, মুস্তাফিজ-শরিফুলদের সঙ্গে আর থাকা হচ্ছে না তার। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়াতে বিদায় নিতে হয়েছে। গিবসনের শূন্যস্থান পূরণে এই মুহূর্তে পেস বোলিং কোচ খুঁজতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। এমন পরিস্থিতিতে বিসিবির কাজটা সহজ করে দিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পেস বোলিং কোচ হিসেবে আসা শন টেইট। সংবাদ মাধ্যমের কাছে আলাপকালে বাংলাদেশে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই পেসার। সর্বকালের সবচেয়ে গতিময় ফাস্ট বোলারদের একজন টেইটকে এবার বোলিং কোচ করে এনেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। গত টি২০ বিশ্বকাপে আফগানিস্তান জাতীয় দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিপিএলের আগে সেটিই ছিল তার উলেস্নখযোগ্য কোচিং অভিজ্ঞতা। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে শেষ হয় বাংলাদেশের দায়িত্বে গিবসনের মেয়াদ। বিসিবির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেননি তিনি। বাংলাদেশ যে একজন বোলিং কোচ খুঁজছে, এটা জানেন টেইট। বুধবার একাডেমিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন শন টেইট। সেখানে বলেছেন, 'অবশ্যই আমি আগ্রহী। তাদের হাতে সময় আছে কাকে বেছে নেবে। তবে সুযোগ পেলে সেটি আমার জন্য দারুণ হবে।' বিপিএলে কোচিং করাতে এসে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব পেয়ে গিয়েছিলেন ওটিস গিবসন। এবার তার পথে হেঁটেই তার শূন্য করে যাওয়া পদে নিজেকে দেখতে চান টেইট। আপাতত টেইট তাকিয়ে তার বিপিএল অধ্যায়ের দিকে। খেলোয়াড় হিসেবে তিনি খেলে গেছেন চট্টগ্রাম কিংসে। এবার চট্টগ্রামেরই অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কাজ করবেন তিনি ভিন্ন ভূমিকায়। এবারের বিপিএলে তারুণ্যনির্ভর দল গড়েছে চট্টগ্রাম। মুকিদুল ইসলাম, রেজাউর রহমান রাজা, মৃতু্যঞ্জয় চৌধুরীর মতো উঠতি পেসাররা আছেন এই দলে। বাংলাদেশ দলে এর মধ্যেই নিজের ছাপ রাখা আরেক তরুণ পেসার শরিফুল ইসলামও আছে। এই তরুণদের সঙ্গে কাজ করতে আর তর সইছে না টেইটের। শুধু চট্টগ্রাম দল বলে নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যই তরুণদের উঠে আসাকে দারুণ ইতিবাচক মনে করছেন তিনি,' এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেশ কিছু ভালো তরুণ ক্রিকেটার আছে, যারা ভবিষ্যতে দুর্দান্ত ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারে। আমাদের দলে তাদের বেশ কজন আছে। শরিফুল যেমন, আগ্রাসী বাঁতি বোলার। আমাদের দলেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে সে। নিজেকে তুলে ধরার মতো যথেষ্ট ক্রিকেট সে খেলে ফেলেছে এর মধ্যেই। তাদের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আমি। এমনিতেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে তরুণ ফাস্ট বোলার ও ক্রিকেটার উঠে আসছে। আগামী ৫-৬ বছর বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য হতে যাচ্ছে রোমাঞ্চকর।' সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড সফরে শরিফুল ইসলামের বোলিং নজর কেড়েছে টেইটের। তরুণ এই বাঁহাতি পেসারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন তিনি, 'সফরটি বাংলাদেশের জন্য দারুণ ছিল, তার জন্য তো বটেই। সে আক্রমণ করতে পছন্দ করে, স্টাম্পে বল রাখে। তার উৎসাহ ও উদ্যম সহজেই চোখে পড়ে। দূর থেকে তাকে দেখেই তার সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ জাগে, কারণ ফাস্ট বোলিংয়ের প্রতি তার মানসিকতা দারুণ।' বোলিং কোচ হিসেবে টেইটের মূল মন্ত্র, সবকিছু সাধারণ ও স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা। বিপিএলে তার কৌশলের বড় অংশ জুড়ে থাকবে শেষ দিকের বোলিং বললেন টেইট, 'ডেথ বোলিং নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি আমি। বিশেষ করে এখানে, এই মাঠে ডেথ বোলিং শেষ ৪-৫ ওভার আমাদের জন্য হতে যাচ্ছে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। আমার কৌশল হলো টুর্নামেন্ট জুড়ে সবকিছু সাধারণ ও গোছানো রাখা এবং আমাদের কৌশল ও ভাবনা থেকে সরে না যাওয়া। সাধারণ ও স্বচ্ছ পরিকল্পনা থাকবে।'