অনায়াস জয়ে সিরিজ ইংল্যান্ডের

এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন টেস্টের সিরিজটা ২-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিল ইংল্যান্ড। অধিনায়ক হিসেবে দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলেন জো রুট, আর ১৭ বছর পর শ্রীলংকার মাটিতে সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
স্টাম্প হাতে করে মুখে চওড়া হাসি নিয়ে ম্যাচ শেষে মাঠ ছাড়ছেন জো রুট। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে দেশের বাইরে প্রথম সিরিজ জয় পেয়েছেন তিনি, অন্যদের তুলনায় তার আনন্দটা তাই একটু বেশি Ñওয়েবসাইট
মিলিন্দা পুষ্পকুমারাকে ফিরতি ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন জ্যাক লিচ। তাতে পঞ্চম দিনে আধঘণ্টার মধ্যেই ক্যান্ডি টেস্টের সব রোমাঞ্চের ইতি ঘটল, স্বাগতিক শ্রীলংকার বিপক্ষে ইংল্যান্ড পেল ৫৭ রানের অনায়াস জয়। ওই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন টেস্টের সিরিজটা ২-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিল জো রুটের দল। অধিনায়ক হিসেবে দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলেন রুট, আর ১৭ বছর পর শ্রীলংকার মাটিতে সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড। বৃষ্টির বাধায় চতুথর্ দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগ পযর্ন্ত রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে ক্যান্ডি টেস্ট। ধারণা করা হয়েছিল, টেস্টের শেষদিনটা হবে আরও বেশি রোমাঞ্চকর। কারণ, জয়ের জন্য ৭৫ রান দরকার ছিল শ্রীলংকার, ইংল্যান্ডের ৩ উইকেট। বলতে গেলে জয়ের সমান সম্ভাবনা নিয়েই পঞ্চম এবং শেষ দিনে মাঠে নামে দুই দল। মাঠে নামার পরই শ্রীলংকার সম্ভাবনা ফিকে হয়ে যায় মঈন আলির ঘূণিের্ত। টপাটপ নিরোশান ডিকওয়েলা আর আকিলা ধনঞ্জয়ার উইকেট তুলে নেন তিনি। এরপর পুষ্পকুমারাকে ফিরিয়ে টেস্টে প্রথমবার পঁাচ উইকেট শিকারের আনন্দে মাতেন লিচ, ম্যাচ আর সিরিজ জয়ের আনন্দে মাতে ইংল্যান্ড। শ্রীলংকা আশা দেখেছিল ডিকওয়েলার ব্যাটে। কিন্তু এই বঁাহাতিকে এদিন আর থিতু হতে দেননি মঈন। ড্রাইভ করতে গিয়ে ¯িøপে বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৩৫ রান করে ডিকওয়েলা ফেরার দুই বল পরই সুরাঙ্গা লাকমল বোল্ড। তাতে ৭২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইনিংস শেষ করেন মঈন। নিজেদের ইতিহাসে চতুথর্বার ৩০০ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়া করে টেস্ট জয়ের আশাও শেষ হয় শ্রীলংকার। আনুষ্ঠানিকভাবে যেটা শেষ হয় লিচের হাতে পুষ্পকুমারার ফিরতি ক্যাচ দেয়ার মধ্য দিয়ে। মাত্র ২২ রানের ব্যবধানে শেষ ৫ উইকেট হারানোর মাশুলই দিতে হয়েছে লংকানদের। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৯০ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। জবাবে ৩৩৬ রান করে ৪৬ রানের লিড নিয়েছিল শ্রীলংকা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে রুটের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ড ৩৪৬ রান করলে জয়ের জন্য ৩০১ রানের লক্ষ্য পায় শ্রীলংকা। সেই লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে ৫ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান তুলে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু ২২ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। তাতে ২০০১ সালের পর শ্রীলংকার মাটিতে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় ইংল্যান্ড। শুধু তাই নয়, ২০১৫-১৬ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর আরেকটি সিরিজ জিতল ক্রিকেটের জনকরা। রুটের ইংল্যান্ডের সামনে সুযোগ রয়েছে শ্রীলংকাকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করারও। সুযোগটা কাজে লাগাতে আগামী শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া কলম্বো টেস্টে জিততে হবে তাদের।