বিসিএলে দল না পাওয়া শাহাদতের চ্যালেঞ্জ

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
শাহাদাত হোসেন
জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে সিঁড়ি হয়ে দঁাড়ায় বিসিএল, ডিপিএল, এনসিএলর মতো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। যেখানে পারফমর্ করেই জাতীয় দলে খেলার সৌভাগ্য হয়। আবার অনেকের হয়ও না। যেমন তুষার, ইমরান, শাহরিয়ার নাফিস, আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আশরাফুলদের কপালে বোধহয় জাতীয় দল লেখা নেই। আগামী ২১ নভেম্বর মাঠে গড়াবে ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম আসর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। এজন্য শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে প্লেয়াসর্ ড্রাফট। কিন্তু আশ্চযের্র ব্যাপার সেখান থেকে কোনো দলই নেয়নি শাহাদাত হোসেনকে। বিস্ময়করভাবে মোহাম্মদ আশরাফুলকেও নেয়নি কোনো দল। তার মানে দীঘর্ ফরম্যাটের এ টুনাের্মন্টে খেলা হচ্ছে না সাবেক এ অধিনায়কের। আগামী বিপিএলের ৬ষ্ঠ আসরে শাহাদাত হোসেন ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলবেন। প্লেয়াসর্ ড্রাফটের মাধ্যমে সাকিব আল হাসানের দলটি তাকে কিনেছে। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় ক্রিকেট লিগে ৫ ম্যাচ খেলে ১৭টি উইকেট পেয়েছেন ডানহাতি পেসার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের হয়েও খেলেছেন তিনি। অথচ এবারের বিসিএলে দল পাননি। তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণমাধ্যমের কাছে। শাহাদাত দাবি করেন, আসন্ন বিসিএলে পারফমর্ করতে পারলে নিবার্চকদের প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী আগামী ফেব্রæয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট দলে ফেরার সুযোগ হতো। কিন্তু সেই বিসিএলই তার জাতীয় দলে ফেরার পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। চার দলের কোনোটিই তাকে নেয়নি। ফলে ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো বিসিএল খেলা থেকে বঞ্চিত হলেন শাহাদাত। রোববার মিরপুর স্টেডিয়ামে ক্ষোভের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শাহাদাত বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে কী আমার আসলে ওই ধরনের ক্রিকেট খেলার কোনো ইচ্ছা নেই। কাউকে বলে খেলব এমন ক্রিকেট খেলার কোনো ইচ্ছা নেই। কারণ আমার জবাব তো মাঠে। মাঠে ভালো খেলার পরও যদি আমাকে না নেয় তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আমার চেয়ে যদি কেউ ভালো করতে পারে আমি খেলা ছেড়ে দেব এটা আমার চ্যালেঞ্জ! আপনাদের সামনে আমি চ্যালেঞ্জ করলাম।’ শাহাদাত বিগত বছরগুলোতে বিসিএলে খেলেছেন ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের হয়ে। সেই দলটিও এবার তাকে হতাশ করেছে। নেয়নি কোচের ওপর দায় চাপিয়ে। এটা তার জন্য খুবই কষ্টের এবং অপমানজনক। শাহাদাত বলেন, ‘আমরা যারা সিনিয়র ক্রিকেটার রয়েছি তারা এখনো বুড়ো হয়ে যায়নি। আর আমি এখনো চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি যে কোনো ফাস্ট বোলার আমার চেয়ে যদি ভালো বল করতে পারে তাহলে আমি খেলা ছেড়ে দেব। আপনাদের সামনে এই আমি বললাম। এটাই আমার শেষ কথা। আমার চেয়ে যদি কেউ ভালো করতে পারে আমি খেলা ছেড়ে দেব এটা আমার চ্যালেঞ্জ! আপনাদের সামনে আমি চ্যালেঞ্জ করলাম। আর সেরকম সক্ষমতা যদি আমার না থাকতো তাহলে আমি আগে থেকেই ক্রিকেট খেলতাম না। আমাদের সময় অনেক ফাস্ট বোলার ছিল যারা এখন খেলতে পারছে না। কারণ তাদের সক্ষমতা নেই। আমি তো এখনও প্রায় ১৪০ কিমি বেগে বল করছি। বয়সও বেশি না। ভালো জায়গায় বল করছি, ফিটনেস ভালো রয়েছে তাহলে কেন সুযোগ পাব না?’ হতাশা প্রকাশ করে রাজীব আরও বলেন, ‘অনেক বড় একটা হতাশা। বিশ্বাস ছিল কেউ না কেউ আমাকে দলে নেবে। ভেবেছিলাম কোনো ফাস্ট বোলারকে যদি নেয়া হয় তাহলে হয়তো আমি সুযোগ পাবই। ভেবেছিলাম বিসিএলটা ভালো খেললে হয়তো টেস্ট দলে ফেরার পথটা সহজ হবে। সামনে নিউজিল্যান্ড সিরিজ আছে। আমার জন্য একটু ভালো হতো। টেস্ট ক্রিকেটে আসার জন্য এত কিছু করা। জাতীয় লিগটা ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে বিসিএলে সুযোগ পাইনি। বলে বোঝাতে পারব না আসলে কতটা খারাপ লেগেছে।’