মাশরাফিকে নিয়ে শঙ্কার মেঘ কেটেছে

আজকের খেলা (২৪ জানুয়ারি) ফরচুন বরিশাল-মিনিস্টার ঢাকা, দুপুর ১২: ৩০ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স-খুলনা টাইগার্স, বিকাল ৫: ৩০

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ম ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিপিএলে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মিনিস্টার ঢাকার হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামতে পারেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, প্রতিপক্ষ সাকিব আল হাসানদের ফরচুন বরিশাল -ওয়েবসাইট
বিপিএলের শুরুটা সুখকর হয়নি তারকায় ঠাসা মিনিস্টার ঢাকার। মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদদের নিয়ে গড়া ফ্র্যাঞ্চাইজিটি দুই ম্যাচেই হেরেছে। কোমর ব্যথায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরুর দুই ম্যাচে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে পায়নি মিনিস্টার ঢাকা। আপাতত ঢাকা শিবিরে মাশরাফিকে নিয়ে বিরাজ করছে স্বস্তি। বিসিবি একাডেমি মাঠের নেটে বোলিংয়ের পরীক্ষায় পাস করে গেছেন এই ডানহাতি পেসার। তাকে নিয়ে কেটেছে শঙ্কার মেঘ। সোমবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মাশরাফিকে নিয়েই নামার সম্ভাবনা জোরালো। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সাকিব আল হাসানের বরিশালের বিপক্ষে মাঠে নামবে ঢাকা। এই ম্যাচের আগে গতকাল রোববার বিসিবি একাডেমি মাঠে পরীক্ষা হয় মাশরাফির। মাশরাফির এই পরীক্ষার কথা গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন ঢাকার ফিজিও এনামুল হক, 'মাশরাফি প্রথমে তিন ওভারের মতো বোলিং করেছে। শেষ দুই ওভারটাই তাকে মূলত দেখা হয়েছে, সে খেলতে পারবে কী পারবে না।' গতকাল অনুশীলনে এসে মূলত দুই ধাপে বোলিং করেছেন মাশরাফি। প্রথমে তিন ওভার করেছেন। শুরু করেন ছোট রানআপে। ধীরে ধীরে লম্বা রানআপে বোলিংয়ের চেষ্টা করেছেন। আসল পরীক্ষা হয় শেষ দুই ওভারে। তখনই মূলত দেখা হয়েছে মাশরাফি ফেরার জন্য ফিট কী না। শেষ দুই ওভারে তিনি লম্বা রানআপে বোলিং করেছেন ঠিকঠাক ভাবে। একবার ভেঙেছেন একমাত্র স্ট্যাম্পও। ফিজিও দিয়েছেন স্বস্তির খবরও, 'লম্বা রানআপে মাশরাফি বোলিং করেছে। আপাতত তার কোনো সমস্যা দেখছি না। তৃতীয় ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনা জোরালো। ফিটনেসের দিক থেকে কোনো সমস্যা আমি দেখছি না।' এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি লম্বা রানআপে বোলিং করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত পারেননি মাশরাফি। প্রথমবার বল ছুড়তে পেরেছিলেন। পরের দুইবার পারেননি। ব্যথা থাকায় মাঠেই শুয়ে পড়েন তিনি। এরপরেই জানা যায় প্রথমদিকে মাশরাফির না খেলার কথা। মাশরাফি সর্বশেষ বল হাতে দৌড়ান ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর। বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপের ফাইনালে খেলেছিলেন জেমকন খুলনার হয়ে গাজী গ্রম্নপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে। এরপর আর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নামেননি তিনি। বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণ দিয়ে ফেরার কথা ছিল, ফিট না থাকায় পারেননি। বিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচে ঢাকা হেরেছে খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে। রুবেল হোসেন ও এবাদত হোসেনকে নিয়ে পেস আক্রমণ সাজিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। দুই ম্যাচে রুবেল ৬৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আর ইবাদত ৫৩ রান দিয়ে ২ উইকেট। মাশরাফি একাদশে আসলে দুজনের যে কাউকে জায়গা হারাতে হতে পারে। মাশরাফি তো ফিরছেন কিন্তু জয়ে ফিরবে তো ঢাকা?