বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হারানো গৌরব ফেরানোর প্রত্যাশায় শেখ জামাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে ঢাকা আবাহনীর পরই অন্যতম সফল যে ক্লাবটি তার নাম শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এখন পর্যন্ত মোট তিনবার চ্যাম্পিয়ন ও তিনবার রানার্স আপ হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছে ধানমন্ডির জায়ান্টরা। স্বাধীনতারও পূর্বে ১৯৬২ সালে ধানমন্ডির একটি খোলা মাঠকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল তৎকালীন 'ধানমন্ডি ক্লাব'। এরপর ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় ছেলে শেখ জামালের নামে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল অঙ্গনে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব নামে পরিচিতি পায় ক্লাবটি।

শুধু প্রিমিয়ার লিগ নয়। ফেডারেশন কাপেও তিনটি শিরোপা জিতেছে শেখ জামাল। দেশের বাইরে থেকেও সাফল্য বয়ে এনেছে। ২০০২ ও ২০১১ সালে নেপাল থেকে বুদ্ধা সুব্বা কাপ ও পোখারা কাপের শিরোপা জয় করে ফেরে শেখ জামাল। এরপর ২০১৪ সালে ভুটানে অনুষ্ঠিত কিংস কাপে চ্যাম্পিয়ন ও একই বছর ভারতের ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট আইএফএ শিল্ডে রানার্স আপ হয় তারা। শেখ জামালের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ভারতীয় দর্শকদেরও প্রশংসা কুড়ায়। পেশাদার লিগের প্রথম দিকে একক আধিপত্য ছিল ধানমন্ডিরই আরেক ক্লাব ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আবাহনীর। একের পর এক শিরোপা জিতে আবাহনীর সাফল্য যখন তুঙ্গে ঠিক তখনই ২০১০-১১ মৌসুমে লিগের নতুন শিরোপাধারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে শেখ জামাল। তবে পরের মৌসুমেই আবারও শিরোপা যায় আবাহনীর ঘরে। কিন্তু ২০১৩-১৪ মৌসুমে হারানো শিরোপা পুনরুদ্ধার করে শেখ জামাল। পরের মৌসুমেও শিরোপা ধরে রাখে তারা (২০১৪-১৫)। তবে এরপর আর লিগের শিরোপা জেতা হয়নি। প্রিমিয়ার লিগে তিনবার রানার্স আপ হয় শেখ জামাল। ২০১২-১৩, ২০১৭-১৮ এবং সর্বশেষ গত আসরে (২০২০-২১ মৌসুমে) রানার্স আপ হয় তারা। গত আসরে মাঝারি মানের একটি দল নিয়ে স্থানীয় কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক জামালকে নিয়ে গিয়েছিলেন পয়েন্ট টেবিলের সুবিধাজনক অবস্থানে। কিন্তু সাফল্য পাওয়া সত্ত্বেও লিগের মাঝপথে এসে তাকে বরখাস্ত করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। যদিও শেষ পর্যন্ত এই দলটিই লিগের রানার্স আপ হয়ে চমক দেখায় এবং এএফসি কাপের পেস্ন অফ খেলার সুযোগ পায়। তবে ক্লাব লাইসেন্স না থাকায় এএফসি কাপের পেস্ন অফ খেলার সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি তারা।

গত মৌসুমে শেখ জামালের জার্সিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড পা ওমর জোবে। জোবের পাশাপাশি আরও দুই গাম্বিয়ান সলোমন কিং ও সুলায়মান সিলস্নাহও ছিলেন দুর্দান্ত। এশিয়ান কোটায় উজবেক মিডফিল্ডার ওতাবেকও নামের প্রতি সুবিচার করেছেন। নতুন মৌসুমের দলে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড পা ওমর জোবে ছাড়া বাকি তিন বিদেশি ফুটবলারদের এবারও ধরে রেখেছে শেখ জামাল। গত মৌসুমে চট্টগ্রাম আবাহনীতে খেলা নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিনেদু ম্যাথিউ এই মৌসুমে যোগ দিয়েছেন শেখ জামালে। স্থানীয় ফুটবলারদের মধ্যে রায়হান হাসান, ইয়াসিন খানের মতো অভিজ্ঞ এবং আতিকুজ্জামান, রাহবার ওয়াহেদ খান, মোহাম্মদ নাঈম, মিতুল মারমাদের মতো তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলারদের দলে ভিড়িয়েছে ক্লাবটি। নতুন মৌসুমের জন্য শেখ জামালের কোচের ভূমিকায় রয়েছেন স্প্যানিশ কোচ হুয়ান মার্টিনেজ সায়েজ। এবারের মৌসুমে স্বাধীনতাকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে তারা। বসুন্ধরার কাছে ৪-০ গোলে হেরে শেষ আট থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে। ফেডারেশন কাপেও তাদের বিদায় নিতে হয় কোয়ার্টার থেকেই। তবে এবারের হারটা ছিল আরও বড় ব্যবধানে। ঢাকা আবাহনীর কাছে ৬-০ গোলে হেরে গিয়েছিল শেখ জামাল। তবে সব ভুলে এখন লিগের শিরোপায় চোখ রাখছে শেখ জামাল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে